পবিত্র ঘাম মুবারকঃ 


প্রিয় নবী (ﷺ) এর পবিত্র ঘাম মুবারক থেকে মেশক আম্বরের চেয়েও বেশি সুঘ্রান বের হতো। ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার শান কত মহান। কে আছে আল্লাহ পাকের সৃষ্টিজগতে আমাদের প্রিয় নবীর মতো। 

হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন- “এক ব্যক্তি হুযুর (ﷺ) এর খেদমতে আরজ করলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার নিজ কন্যা বিবাহ দিতে হবে। অথচ আমার কাছে কোন সুগন্ধি নেই। আপনি কিছু সুগন্ধি দান করুন। তিনি ফরমালেন- আগামীকাল খোলা মুখ বিশিষ্ট একটি শিশি নিয়ে আসবে। পরের দিন লোকটি একটি শিশি নিয়ে এলো। হুজুরে আকরাম (ﷺ) তাঁর উভয় বাহু থেকে শিশিতে ঘাম ঢালতে লাগলেন। এমনকি তা ভরে যায়। অতঃপর ইরশাদ করলেন, এটা নিয়ে যাও। আর তোমার কন্যাকে বলবে যেনো এ থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করে।” 

فَكَانَتْ اِذَا تُطِيْبَتْ بِهِ شم اَهْلُ الَمدِيًنة رَائحَةً ذَلِكَ الَطيِّب فَسَمُّوْا بَيْتُ الْمُطَيِّبِيْنَ

অর্থাৎ- “যখন উক্ত মহিলা নবীজির ঘাম মুবারক সুগন্ধি হিসাবে ব্যবহার করতো, তখন সমস্ত মদিনা বাসীর কাছে তার সুগন্ধি পৌছে যেতো। এমনকি তারা ঐ ঘরকে ‘বায়তুল মুতায়্যেবীন’ বা সুবাসিতদের ঘর নামে আখ্যায়িত করলো।” (তাবরানী, খাসায়েসে কুবরা)


নবী করীম (ﷺ) এরশাদ করেছেন, “মেরাজের ভ্রমণ শেষে আমি যখন পৃথিবীতে পদার্পণ করি, তখন আমার ঘামের একটি ফোঁটা মাটিতে পড়ে গোলাপের সৃষ্টি হয়। কেউ যদি আমার দেহের ঘ্রাণ গ্রহণ করতে চায়, তবে সে যেনো গোলাপের ঘ্রাণ গ্রহণ করে।”

Top