হযরত উমর (رضي الله عنه)
❏ হাদিস ৩০:
ইবনে সা’আদ ও ইবনে আবি শায়বা হযরত আবু আল-আশহাব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি (মদীনার সন্নিকটে) মুযায়না অঞ্চলের এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত উমর (رضي الله عنه)কে কোনো নির্দিষ্ট জামা পরতে দেখে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন:
أَجَدِيدٌ ثَوْبُكَ قَالَ: غَسِيلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْبَسْ جَدِيدًا، وَعِشْ حُمَيْدًا، وَتَوَفَّ شَهِيدًا، يُعْطِيكَ اللَّهُ قُرَّةَ عَيْنَيْنِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ»..
এটা কি নতুন, না ইতোমধ্যেই ধোয়া হয়েছে?” হযরত উমর (رضي الله عنه) উত্তর দেন: “এটা ইতোমধ্যেই ধোয়া হয়েছে।” এমতাবস্থায় মহানবী (ﷺ) বলেন, “ওহে উমর! নতুন কাপড়-চোপড় পরো, অনিন্দনীয় জীবন যাপন করো, আর শাহাদাত বরণ করো!” এটি মুরসাল হাদীস।[৩৭]
🔺৩৭. [নোট-১: ইবনে আবি শায়বা (৮:৪৫৩, ১০:৪০২) ও ইবনে সা’আদ (৩:৩২৯) কর্তৃক দুর্বল মুরসাল সনদে বর্ণিত, কেননা হযরত আবু আল-আশহাব জা’ফর ইবনে হায়্যান আল-উতারিদী (رضي الله عنه) ওই সাহাবীর সাক্ষাত পান নি; তবে আল-দুলাবী (১:১০৯) আল-বুসিরী (رحمة الله)-এর ‘মিসবাহ আল-যুজাজা’ (৪:৮২) বইয়ের ভাষ্যমতে আল-যুহরীর সূত্রে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের মুত্তাসিল সনদে এটি বর্ণনা করেছেন; এঁদের সবগুলোই আল-বুখারী ও মুসলিম ব্যবহার করেছেন যা আল-হায়তামী (৯:৭৩-৭৪)-এর ভাষ্য দ্বারা সমর্থিত; এই হাদীস বর্ণনা করেছেন হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকে ইমাম আহমদ তাঁর ‘মুসনাদ’ (আরনাওত সংস্করণের ৯:৪৪০-৪৪২ #৫৬২০) এবং ফযায়েলে সাহাবা (১:২৫৫ #৩২২-৩২৩) গ্রন্থ’গুলোতে, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান (আরনাওত সংস্করণের ১৫:৩২০-৩২২ #৬৮৯৭), আল-বাযযার (যাওয়াইদ #২৫০৪), আবু এয়ালা তাঁর ‘মুসনাদ’ পুস্তকে (#৫৫৪৫), আত্ তাবারানী নিজ ‘আল-কবীর’ (১২:২৮৩ #১৩১২৭) এবং আদ্ দু’আ (পৃষ্ঠা ১৪৩ #৩৯৯) কিতাব দুটোতে, ইবনে আল-সুন্নী ও আল-নাসাঈ নিজেদের ‘আমল আল-এয়াওম ওয়াল-লাইলা’ বইগুলোতে (যথাক্রমে #২৬৯ এবং ১:২৭৫ #৩১১), আবু নুয়াইম তাঁর ‘আখবার আসবাহান’ (১:১৩৯), আল-আযদী নিজ জামে’ পুস্তকে (১১:২২৩), আবদ্ ইবনে হুমায়দ স্বরচিত ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে’ (পৃষ্ঠা ২৩৮ #৭২৩), ইবনে আবদ্ আল-বারর নিজ ‘আল-এস্তিয়াব’ কিতাবে (৩:১১৫৭) আল-বাগাবী তাঁর ‘শরহে সুন্নাহ’ পুস্তকে (১২:৫০ #৩১১২), এবং আল-বায়হাকী নিজ ‘শুয়াব’ গ্রন্থে’; এঁদের সবাই বর্ণনা করেছেন হযরত আবদুর রাযযাকের (#২০৩৮২) মাধ্যমে যাঁর সম্পর্কে কোনো কোনো ইমাম বলেছেন যে আল-যুহরীর মাধ্যমে এই হাদীস বর্ণনায় তাঁর ভ্রান্তি ছিল, যা ইবনে রাজাব নিজ ‘শরহে এলাল আল-তিরমিযী’ পুস্তকে (২:৫৮৫) ব্যাখ্যা করেছেন। এর ফলশ্রুতিতে আল-বুখারী এটাকে আত্ তিরমিযীর ‘এলাল’ (পৃষ্ঠা ৩৭৩) পুস্তকে ‘লা শাইয়’ তথা অনির্ভরযোগ্য বলেন; ইবনে আদি নিজ ‘আল-কামিল’ কিতাবে (৫:১৯৪৮) ‘মুনকার’ বলেন; আল-নাসাঈ স্বরচিত ‘আমল আল-এয়াওম ওয়াল-লায়লা’ যেখানে এয়াহইয়া ইবনে সাঈদ আল-কাত্তান (رحمة الله)-এর উদ্ধৃতি রয়েছে। দেখুন আল-বায়হাকী প্রণীত ‘আল-সুনান আল-কুবরা’ (৬:৮৫ #১০১৪৩) এবং ইবনে আবি হাতিম (যিনি ‘বাতিল’ বলেছেন) কৃত ‘আল-এলাল’ (১:৪৯০)। আত্ তাবারানী (رحمة الله) আল-যুহরীর পরিবর্তে আল-সাওরীর সূত্রে আরেকটি সনদে এই হাদীস বর্ণনা করেন নিজ ‘আল-দোয়া’ পুস্তকে (#৪০০)। দেখুন — আল-হায়তামী, মাওয়ারিদ আল-যামান (১:৫৩৬ #২৩৮১) এবং হযরত জাবের (رضي الله عنه)-এর সূত্রে একটি দুর্বল সনদে আল-বাযযার এটি বর্ণনা করেন নিজ ‘মুসনাদ’ বইয়ে (যাওয়াইদ #২৫০৩)। সংক্ষেপে, ইবনে হিব্বান এটাকে মৌলিক তথা নির্ভরযোগ্য বিবেচনা করেন; আর ইবনে হাজর তাঁর ‘নাতাইজ আল-আফকার’ (১:১৩৭-১৩৮) গ্রন্থে’ সিদ্ধান্ত নেন যে এটা কমপক্ষে ‘হাসান’ (বিশুদ্ধ), যেমনিভাবে ইবনে হিব্বানের ’আল-আরনাওত’ সংস্করণও তাই মনে করে।]
❏ হাদিস ৩১:
ইমাম বুখারী ও মুসলিম রওয়ায়াত করেন যে,
হযরত উমর ইবনে আল-খাত্তাব (رضي الله عنه) একদিন জিজ্ঞেস করেন:
أَيُّكُمْ يَحْفَظُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الفِتْنَةِ؟ قَالَ: قُلْتُ: أَنَا أَحْفَظُهُ كَمَا قَالَ، قَالَ: إِنَّكَ عَلَيْهِ لَجَرِيءٌ، فَكَيْفَ؟ قَالَ: قُلْتُ: ” فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ، وَوَلَدِهِ، وَجَارِهِ، تُكَفِّرُهَا الصَّلاَةُ، وَالصَّدَقَةُ وَالمَعْرُوفُ – قَالَ سُلَيْمَانُ: قَدْ كَانَ يَقُولُ: الصَّلاَةُ وَالصَّدَقَةُ وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ – وَالنَّهْيُ عَنِ المُنْكَرِ “، قَالَ: لَيْسَ هَذِهِ أُرِيدُ، وَلَكِنِّي أُرِيدُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ البَحْرِ، قَالَ: قُلْتُ: لَيْسَ عَلَيْكَ بِهَا يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ بَأْسٌ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابٌ مُغْلَقٌ، قَالَ: فَيُكْسَرُ البَابُ أَوْ يُفْتَحُ، قَالَ: قُلْتُ: لاَ بَلْ يُكْسَرُ، قَالَ: فَإِنَّهُ إِذَا كُسِرَ لَمْ يُغْلَقْ أَبَدًا، قَالَ: قُلْتُ: أَجَلْ، فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَهُ مَنِ البَابُ فَقُلْنَا لِمَسْرُوقٍ: سَلْهُ، قَالَ: فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قُلْنَا، فَعَلِمَ عُمَرُ مَنْ تَعْنِي؟ قَالَ: نَعَمْ، كَمَا أَنَّ دُونَ غَدٍ لَيْلَةً وَذَلِكَ أَنِّي حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ..
তোমাদের মধ্যে কে কে স্মরণ করতে পারো রাসূলে পাক (ﷺ) সেই ফিতনা সম্পর্কে কী বলেছিলেন যা সাগরের ঢেউয়ের মতো উত্তাল হবে?” হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه) বলেন, “এয়া আমিরাল মোমেনীন, আপনার এ সম্পর্কে চিন্তা করা লাগবে না। কেননা, আপনার এবং ওই ফিতনার মাঝে একটি দরজা আছে যা বন্ধ।” আতঃপর হযরত উমর (رضي الله عنه) বলেন, “ওই দরজা কি খোলা হবে, না ভেঙ্গে ফেলা হবে?” হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه) উত্তর দেন: “ভাঙ্গা হবে।” এমতাবস্থায় হযরত উমর (رضي الله عنه) জবাব দেন: “দরজা খুলে দেয়ার চেয়ে ওটাই বেশি যথাযথ।” পরবর্তীকালে হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه)কে জিজ্ঞেস করা হয় ওই দরজা বা ফটক কে, আর তিনি উত্তর দেন, “ওই ফটক-ই হযরত উমর (رضي الله عنه)।” তাঁকে মানুষেরা আবারো জিজ্ঞেস করে, “তিনি কি এটা জানতেন?” উত্তরে হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه) বলেন, “হাঁ, অবশ্যঅবশ্যই দিনের আগে যেমন রাত অতিক্রান্ত হয়, (তেমনি) আমিও তাঁর সাথে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কথা বলছিলাম।”[৩৮]
🔺৩৮. [নোট-২: হযরত আবু ওয়াইল শাকীক ইবনে সালামা থেকে ইমাম বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেন এটি।]
❏ হাদিস ৩২:
আত্ তাবারানী হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি প্রাচীর ঘেরা বাগানে অবস্থান করছিলেন, যখন হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) তাতে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করেন। হুযূর পাক (ﷺ) এরশাদ করেন,
“তাকে প্রবেশের অনুমতি দাও এবং বেহেশতপ্রাপ্তির সুসংবাদও প্রদান করো।” এরপর হযরত উমর ফারুক (رضي الله عنه) ওই বাগানে প্রবেশের অনুমতি চাইলে তিনি বলেন, “তাকে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে বেহেশত ও শাহাদাতের সুসংবাদ প্রদান করো।” অতঃপর হযরত উসমান (رضي الله عنه) অনুরূপ অনুমতি চাওয়ার পর তিনি আবার এরশাদ ফরমান, “তাকেও প্রবেশের অনুমতি দিয়ে বেহেশত ও শাহাদাতের সুসংবাদ প্রদান করো।”[৩৯]
🔺৩৯.[নোট-১১: হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকে দুর্বল সনদে আত্ তাবারানী নিজ ‘আল-কবীর’ গ্রন্থে (১২:৩২৭); আল-হায়তামী (৯:৭৩)।]
❏ হাদিস ৩৩:
আল-বাযযার, আত্ তাবারানী ও আবু নুয়াইম হযরত উসমান ইবনে মাযউন (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে হযরত উমর (رضي الله عنه) প্রসঙ্গে বলতে শুনেছি,
هَذَا غَلْقُ الْفِتْنَةِ – وَأَشَارَ بِيَدِهِ – لاَ يَزَالُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ الْفِتْنَةِ بَابٌ شَدِيدُ الْغَلْقِ مَا عَاشَ هَذَا بَيْنَ ظَهْرَانَيْكُمْ..
এটা গালক্কু আল-ফিতনা (বিবাদ-বিসম্বাদের বজ্র)। এই ব্যক্তি (অর্থাৎ, হযরত উমর) যতোক্ষণ তোমাদের মাঝে জীবিত থাকবেন, ততোক্ষণ তোমাদের এবং ফিতনার মাঝখানে একটি দরজা শক্তভাবে বন্ধ থাকবে’।”[৪০]
🔺৪০.[নোট-৩: এই হাদীস বর্ণনা করেছেন আত্ তাবারানী তাঁর ‘আল-কবীর’ গ্রন্থে (৯:৩৮ #৮৩২১), আল-বাযযার, আল-ওয়াসিতী নিজ ‘তারিখে ওয়াসিত’ বইয়ে (পৃষ্ঠা ২৪৪-৪৫), এবং দুর্বল সনদে ইবনে কানী’ তাঁর ‘মু’জাম আল-সাহাবা’ কিতাবে (২:২৫৮ #৭৭৪); দেখুন – আল-হায়তামী (৯:৭২); তবে এই রওয়ায়াতের বিশুদ্ধতা সমর্থিত হয়েছে আত্ তাবারানীর ‘আল-আওসাত’ পুস্তকে বিধৃত বর্ণনায়, যেখানে ইবনে হাজর (رحمة الله)-এর ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে (১৯৫৯ সংস্করণের ৬:৬০৬) উদ্ধৃত তাঁরই মতানুযায়ী নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের সূত্রে হযরত আবু যর গিফারী (رضي الله عنه) হযরত উমর (رضي الله عنه)কে ‘ক্কুফল আল-ফিতনা’ তথা ’বিবাদের জন্যে তালা’ বলেছেন; আল-হায়তামী (৯:৭৩) অবশ্য এর ব্যতিক্রমস্বরূপ সন্দেহ করেন যে হযরত হাসান বসরী (رضي الله عنه) ও হযরত আবু যর (رضي الله عنه)-এর মধ্যে কোনো বর্ণনাকারীর ছেদ পড়েছে। একই বর্ণনা হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে আদ্ দায়লামী নিজ ’আল-ফেরদৌস’ কিতাবে (১:৪৩৮ #১৭৮৫) উদ্ধৃত করেছেন।]
❏ হাদিস ৩৪:
আত্ তাবারানী হযরত আবু যর (رضي الله عنه) হতে আরও বর্ণনা করেন যে নবী পাক (ﷺ) বলেন:
لا تصيبنكم فتنة ما دام هذا فيكم يعني عمر.
তোমাদেরকে কোনো ফিতনা-ই ছুঁতে পারবে না যতোক্ষণ এই ব্যক্তি (উমর ফারুক) তোমাদের মাঝে আছেন।”[৪১]
🔺৪১.[নোট-৪: কুফল বর্ণনার একই সনদে আত্ তাবারানী এটি বর্ণনা করেছেন তাঁর ‘আল-আওসাত’ পুস্তকে (২:২৬৭-২৬৮ #১৯৪৫)।]
❏ হাদিস ৩৫:
একদিন হযরত খালেদ বিন ওয়ালিদ (رضي الله عنه) শাম (সিরিয়া) দেশে মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছিলেন; এমতাবস্থায় এক লোক তাঁকে বলে,
اصبر أيها الأمير فإن الفتن قد ظهرت قال خالد وابن الخطاب حي إنما ذلك بعده..
“ফিতনা আবির্ভূত হয়েছে!” হযরত খালেদ (رضي الله عنه) উত্তর দেন, “যতোদিন ইবনে আল-খাত্তাব জীবিত আছেন, ততোদিন নয়। তা শুধু তাঁর সময়ের পরেই হবে।” [৪২]
🔺৪২.[নোট-৫: ইমাম আহমদ, আত্ তাবারানী নিজ ‘আল-কবীর’ কিতাবে (৪:১১৬ #৩৮৪১), নুয়াইম ইবনে হাম্মাদ তাঁর ‘আল-ফিতান’ গ্রন্থে’ (১:৪৫, ১:২৮১ #৮১৯) বর্ণনা করেছেন; এঁদের সবাই সনদের মধ্যে কায়স ইবনে খালেদ আল-বাজালী নামের এক অপরিচিত তাবেঈর সূত্রে এটি বর্ণনা করেন। তবে এই নিষ্কলুষ তাবেঈ গ্রহণযোগ্য বিধায় ইবনে হাজর তাঁর ‘ফাতহুল বারী’ বইয়ে (১৯৫৯ সংস্করণের ১৩:১৫) এই এসনাদকে ‘হাসান’ (নির্ভরযোগ্য) হিসেবে চিহ্নিত করেন। দেখুন আল-হায়তামী (৭:৩০৭-৩০৮) এবং আল-মোবারকপুরী প্রণীত ‘তোহফাত আল-আহওয়াযী’ (৬:৩৬৮)।]
হযরত খালেদ বিন ওয়ালিদ (رضي الله عنه) নিজ মতামত এভাবে ব্যক্ত করার কথা না; অতএব, দৃশ্যতঃ তিনি মহানবী (ﷺ) থেকে এটা শুনেছিলেন, নতুবা এমন কারো কাছ থেকে শুনেছিলেন যিনি স্বয়ং মহানবী (ﷺ) থেকে শুনেছিলেন।