ব্যান্ডেজের ওপর মসেহ করার বর্ণনা
بيان المسح على الجبائر (১)
وامّا المسح على الجبائر فى مواضع –
(১) ان الغسل فى اى وقت يسقط – ويشرع المسح على الجبائر .
(২) ان المسح على الجبائر .
(১) ان كان الغسل مما يضربا لعضو المنكر والجرح والقرح فانه يسقط- ويشرع المسح على الجبائر وكذا اذا كان لايضره – ولكن فى نزع الجبائر خوف زيادة العلة اوزيادة الضرر- واصل ذلك ماروى عن على رضى الله عنه انه قال كسر زنداى يوم اُحد فسقط اللواء من يدى- فقال عليه الصلوة والسلام – اجعلوها فى يساره فانه صاحب لواى فى الدنيا والآخرة فقلت يارسول الله ﷺ ما اصنع بالجبائر ؟ فقال امسح عليها – هذا اذا مسح على الجبائر والخرق التى فوق الجراحة فاما اذا كانت زائدة على راس الجرح .
هل يجوز المسح على الخرقة الزائداة ؟ وكذلك اذا اقتصدوربط عليه رباطا؟ ينظر .
(২) ان كان حل الخرقة وغسل ماتحتها مما يضربالجرح والقرح – فانه يجوز المسح على الخرقة الزائدة كما يجوز المسح على الخِزَقة التى على موضع الجرح.
(৩) وان كان الحل ممَّا لايضر بالجرح – ولايضره المسح ايضافانه لايجزئه المسح على الجبائر – بل عليه ان ينزع الجبائر – ويحل الخرق – ويغسل ماحول الجراح ويمسح عليها لا على الخرقة .
(৪) وان كان يضره المسح – ولكن لايضره الحل فانه يمسح على الخرقة التى على الجرح ويغسل حواليها وماتحت الخرق الزائدة .
كذا ذكره الحسن بن زياد مفسرا – لان جواز المسح بطريق الضرورة فيتقدر بقدرها .
পট্টী বা ব্যান্ডেজের মসেহ করার অবস্থা একাধিক-
১) গোসল কখন রহিত হবে এবং ব্যান্ডেজের ওপর মসেহ কখন বৈধ হবে? গোসল করলে ক্ষত ও আহত অঙ্গের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে গোসল রহিত হবে এবং ব্যান্ডেজের ওপর মসেহ বৈধ হবে। অনুরূপ ক্ষতি না হলেও পট্টী দূরীভূতে রোগ বৃদ্ধি কিংবা ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলেও মসেহ বৈধ হবে। এর দলীল-
হযরত আলী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত হাদীস, তিনি বলেন- উহুদ যুদ্ধের দিন আমার হাত হতে পতাকা ছোঁড়ে গিয়েছিল; নবী করিম (ﷺ) বললেন, উহা বাম হাতে লও। ইহা দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতে পতাকা ধারণ করার উপযোগী। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ব্যান্ডেজ কি করব? তিনি উত্তর দিলেন, এর ওপর মসেহ কর। মসেহ করতে হয় পট্টীর ওপর ও ক্ষতস্থানে কাপড়ের টুকরার ওপর। ক্ষতস্থানে কাপড়ের টুকরা অতিরিক্ত হলে মসেহ বৈধ হবে কি অনুরূপভাবে ব্যান্ডেজ শক্ত করে বাঁধা হলে? দেখতে হবে-
২) কাপড় খোলে ক্ষতস্থানের নীচে ধোয়া হলে ক্ষতস্থানে ক্ষতি হবে তাহলে অতিরিক্ত কাপড়ের ওপর মসেহ করা বৈধ হবে যেমন ক্ষতস্থলের কাপড়ের ওপর মসেহ বৈধ হয়। যদি অতিরিক্ত কাপড় ক্ষত-বিক্ষত অঙ্গ থেকে দূরীভূত করলে কোন অসুবিধা না হয় এবং মসেহ করলেও কোন সমস্যা না হয় তাহলে ব্যান্ডেজের ওপর মসেহ বৈধ হবে না বরং ব্যান্ডেজ খোলে ক্ষতস্থানের ওপর মসেহ করতে হবে। মসেহ করলে ক্ষতি হলে, কাপড় দূরীভূতে ক্ষতি না হলে, ক্ষতস্থানের কাপড়ের ওপর মসেহ করবে এবং উহার চতুষ্পার্শ্বে ও অতিরিক্ত কাপড়ের নীচে ধৌত করতে হবে। এভাবে হাসান বিন জিয়াদ বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। কেননা মসেহ বৈধ হয় জরুরী ত্তিতে তাই জরুরী পরিমাণ বৈধ হবে।
ব্যান্ডেজের ওপর মসেহ ওয়াজিব কি না?
بيان ان المسح على الجبائر واجب ام لا
ذكر فى ظاهر الرواية وقال اذا ترك المسح على الجبائر وذلك يضره جاز عند ابى حنيفةؒ-وقال اذا كان لايضره لايجزئه .
وبعض مشائخنا قالوا : ان القول مثل قولهما فى ان المسح على الجبائر واجب عند تعذر الغسل وانما يسقط اذا كان المسح يضره – لما روينا من الحديث ان النبى ﷺ امر بالمسح على الجبائر .
وظاهر الامر لوجوب العمل – الا انه اذا كان يخاف الضرر فى المسح يسقط لان الغسل يسقط عند خوف زيادة الضرر – فالمسح اولى ان يسقط. وبعض مشائخنا قالوا بان المسألة على الخلاف على قول ابى حنيفةؒ المسح على الجبائر مستحب وليس بواجب وعند هما واجب .
وكذا ذكر هذا فى الكتاب – ولكن القول الاوّل اصح ولوترك المسح على بعض الجبائر ومسح على البعض لم يذكر هذا فى ظاهر الرواية .
জাহেরুর রেওয়ায়তে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, মসেহ বর্জন করে ক্ষতির সম্মুখীন হলে, ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) এর মতে মসেহ বৈধ হবে; সাহেবাইনের মতে ক্ষতি না হলে যথেষ্ট বা বৈধ হবে না। হানাফি মাজহাবের কতিপয় ইমাম বলেন, ইমাম আজম ও সাহেবাইনের অভিমতে কোন পার্থক্য নেই। অবশ্যই ধৌত করতে অপারগ হলে ব্যান্ডেজের ওপর মসেহ করা ওয়াজিব হয়। তাহাও (মসেহ) ক্ষতি হলে রহিত হয়। কেননা আমাদের বর্ণিত হাদীসে নবী করিম (ﷺ) নির্দেশ দিয়েছেন পট্টীর ওপর মসেহ করতে। প্রকাশ্যভাবে নির্দেশ মোতাবেক আমল করা ওয়াজিব। তবে মাসেহ এর মধ্যে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে রহিত হয়ে যাবে। যেমন ক্ষতির ভয়ে ধৌত করা রহিত হয়েছে অনুরূপ মসেহ রহিত হওয়া অধিক যুক্তি সংগত। কতিপয় হানাফী শেখ বলেন, পট্টীর ওপর মসেহ করার মাসআলাটি মতবিরোধ মাসআলা। ইমাম আবু হানিফার মতে মসেহ করা মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়; সাহেবাইনের মতে ওয়াজিব। অনেক কিতাবে এরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু প্রথম উক্তি অধিক বিশুদ্ধ। যদি ব্যান্ডেজের কিছু অংশে মসেহ করে বাকী অংশ বর্জন করলে- এ সম্পর্কে জাহের রেওয়ায়তে বর্ণনা করেননি।