রুহুল আযম ও রুহে ইনসানীর বর্ণনা


হাক্বীক্বতে আসমা, সর্বপ্রথম উহাকে সৃষ্টি করেছেন। রুহুল আযম, রুহে ইনসানীর একটি প্রকার যা রবুবিয়্যাতের দৃষ্টিতে আল্লাহর জাতের বিকাশ স্থল। এ দৃষ্টিতে উহার হাক্বীক্বত আল্লাহ্ তায়ালা ব্যতীত কেউ জানতে পারবেনা। “হুজ্জাতুল হক্ব আলাল খালক্ব” এটা ইনসানে কামেলের জন্য ব্যবহার হয়। আর এটাই খলীফায়ে আকবর ও নূরানী জাওহার, যার জাওহারিয়ত জাতে ইলাহী এবং উহার নূরানীয়ত এবং উহার জ্ঞানের বিকাশ স্থল। আর এ রুহ জাওহারিয়ত এর দৃষ্টিতে নাফসে ওয়াহিদা এবং নূরানীয়তের দৃষ্টিতে আক্বল বলা হয় এবং যেভাবে বড় পৃথিবীতে উহার বিকাশস্থল ও নাম রয়েছে। যেমন- আক্বলে আউয়াল, ক্বলমে আ’লা, নফসে কুল­ী, লাউহে মাহফুজ, এ ছোট পৃথিবীতে এটাই উহার বিকাশস্থল ও নাম, যেমন- ছির, খফী, রুহ, ক্বলব, রাও, ফুয়াদ, সদরে আক্বল, নফস।


রুহে ইনসানী: একটি এমন সু² জাওহার যার নাম রুহে ইনসানী, যা আল্লাহ্ তায়ালা মানুষের মধ্যে আমানত রেখেছেন, এটাই প্রত্যেক বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। এ রুহ রুহে হাইওয়ানীর উপর পরিপূর্ণভাবে প্রভাব বিস্তার করে। ইহা একটি আল্লাহর রহস্য যার হাক্বীক্বত জানা মানুষের আক্বল অক্ষম। এরুহ কখনো শরীর থেকে পৃথক হয় এবং কখনো উহার সাথে থাকে উহার মধ্যে ক্ষমতা প্রয়োগ করে। ইহা রুহে ইনসানীর সাথে নির্দিষ্ট এবং মানুষদের মধ্যেও বড়দের সাথে নতুবা ছোটদের সাথে এবং প্রাণীদের মধ্যে হয়না।


রুহে হায়ওয়ানী: ইহা একটি সু² শরীর- যার স্বভাব, অন্তর এবং রগ সমূহের মাধ্যমে সমস্ত অঙ্গসমূহের মধ্যে ছড়িয়ে আছে। ২৪০

➥২৪০. ইসলামী মা’লুমাত, পৃষ্ঠা-৩৫৯।

Top