বিষয় নং-২৫: রাসূল (ﷺ)-এর ইলমে গায়েব সংক্রান্ত হযরত মু’য়ায বিন জাবাল (رضي الله عنه)-এর হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা:
হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফী তার ‘সুন্নাত বিদআতের সঠিক পরিচয়’ এর ১৪৭ পৃষ্ঠায় নিম্নের হাদিসটি সম্পর্কে বলেন-“ইমাম বায়হাকী দ্বিতীয় হাদিসটিকে দূর্বল বলেছেন।”
মিথ্যাবাদী আহমদ শফি ইমাম বায়হাকী (رحمة الله)-এর কোন কিতাবে সনদ দুর্বল বলেছেন তা উল্লেখ করেন নি। সে মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছিল।
❏ অথচ উক্ত হাদিসটি সম্পর্কে ইমাম খতীব তিবরিযী (رحمة الله) বলেন,
رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَسَأَلْتُ مُحَمَّد ابْن إِسْمَاعِيل عَن هَذَا الحَدِيث فَقَالَ: هَذَا حَدِيث صَحِيح
-‘‘ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল তার ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে এবং ইমাম তিরমিযী তার ‘আস-সুনান’ গ্রন্থে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদিসটি হাসান, সহীহ। তারপর ইমাম তিরমিযী আরো বলেন, আমি মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বুখারী (رحمة الله) কে উক্ত হাদিস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, উক্ত হাদিসটি সহীহ।’’৩১৯
৩১৯.
ক. আল্লামা ইমাম খতিব তিবরিযী : মেশকাতুল মাসাবীহ : ১/৭২ পৃ. হা/৬৯২
খ. ইমাম তিরমিযী : আস-সুনান : কিতাবুত-তাফাসীর : ৫/১৬০ পৃ. হা/৩২৩৫
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! আপনারা অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন, আহমদ শফীর জঘন্য মিথ্যাচারিতা।
যে হাদিসটিকে ইমাম বুখারী, তিরমিযী এবং মিশকাত প্রণেতা সহীহ বলেছেন আর সে ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) এর নামে মিথ্যা অপবাদ চালিয়েছে। সে মনে করেছিল কেউ কিতাব খুলে দেখবে না। হাদিসটি হল-
❏ হযরত মু’য়ায বিন যাবাল (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান- আমি আল্লাহ্ তাআলাকে উত্তম আকৃতিতে দেখেছি। ... ‘‘আল্লাহ্ তা‘য়ালা তার কুদরতি হাত মোবারক আমার কাঁধ মোবারকে রাখলেন। অতঃপর
فَتَجَلَّى لِي كُلُّ شَيْءٍ وَعَرَفْتُ
-‘‘তখন প্রত্যেক কিছুই আমার কাছে প্রকাশিত হল এবং সবগুলিকে চিনতেও পেরেছি।’’ ৩২০
৩২০.
ক. ইমাম তিরমিযী : আস-সুনান : কিতাবুত-তাফাসীর : ৫/১৬০ পৃ. হা/৩২৩৫
খ. খতিব তিবরিযী : মিশকাত : মসজিদ অধ্যায় : ১/৭১-৭২ পৃ. হা/৬৯২