যে ধরণের প্রাণী খাওয়া জায়েয আর না-জায়েয



মাসআলাঃ কুকুর ও ছাগলের মিলনের ফলে ছাগলের পেট থেকে বাচ্চা এরূপ হলে বাচ্চার মাথা কুকুরের আকৃতি আর সমস্ত অঙ্গ ছাগলের আকৃতির ন্যায় হয় তাহলে এমতাবস্থায় বাচ্চার সামনে ঘাস ও গোস্ত রেখে দিতে হবে। অতএব যদি বাচ্চা গোস্ত খায় তা হলে উক্ত বাচ্চা খাওয়া জায়েয হবেনা। আর যদি উক্ত বাচ্চা ঘাস খায় তাহলে উক্ত বাচ্চাকে যবেহ করে মাথা ফেলে দিতে হবে এবং অবশিষ্ট অঙ্গসমূহ খাওয়া জায়েয আছে। আর যদি গোস্ত ও ঘাস উভয়টি খায় তাহলে উক্ত বাচ্চা খাওয়া জায়েয নেই। তবে যদি ছাগলের আওয়াজের ন্যায় আওয়াজ করে তাহলে মাথা ফেলে দিয়ে অবশিষ্ট অঙ্গসমূহ খাওয়া জায়েয আছে। আর যদি কুকুর ও ছাগল উভয়ের আওয়াজের ন্যায় আওয়াজ দেয় তাহলে দেখতে হবে পেটের মধ্যে শুধু আতঁড়ী বা পাকস্থলী, যদি শুধু আতঁড়ী হয় তাহলে উহা খাওয়া জায়েয হবেনা। আর যদি পাকস্থলী হয় তাহলে উহার মাথা ফেলে দিয়ে অবশিষ্ট অঙ্গসমূহ খাওয়া জায়েয আছে।  ১৮১

 ➥১৮১. ফতোয়ায়ে কাযীখান।


মাসআলাঃ হরিণ খাওয়া জায়েয আছে।  ১৮২

 ➥১৮২. সিরাজুল ওয়াহ্হাজ।


মাসআলাঃ বুলবুলি ও লাল এবং মেটে রঙ্গের পাখি খাওয়া জায়েয আছে।  ১৮৩

 ➥১৮৩. হায়াতুল হায়ওয়ান, আলমগীরী।

 

মাসআলাঃ তোতা পাখি খাওয়া জায়েয নেই।


মাসআলাঃ হিংস্র প্রাণী অর্থাৎ বাজ পাখি, উহা খাওয়া হারাম। ১৮৪

➥১৮৪. ফতওয়ায়ে তাতারখানিয়া।


মাসআলাঃ হুদহুদ পাখি খাওয়া জায়েয আছে। ইহা আলমগীরীতে উল্লেখ আছে। কিন্তু বায্যাযিয়া গ্রন্থে উহাকে মাকরূহ লিখেছেন।


মাসআলাঃ বাদুড় খাওয়া জায়েয নেই। ১৮৫

 ➥১৮৫. খোলাসা, তাতারখানিয়া।


মাসআলাঃ পিঁপড়া খাওয়া জায়েয নেই। ১৮৬

 ➥১৮৬. বাহর্রুরায়িক।


মাসআলাঃ উট পাখি খাওয়া হালাল।  ১৮৭

 ➥১৮৭. জামেউর রুমূয।


মাসআলাঃ যত প্রকারের পোকা রয়েছে সবই হারাম। কেননা পোকা নাপাক। আর প্রত্যেক নাপাক হারাম।


মাসআলাঃ ঘুন (যে পোকা কাঠ কেটে দেয়) যাকে বাংলা ভাষায় সামদক বলে উহা খাওয়া হারাম।

Top