মায়ের অধিকার নষ্ট করে স্ত্রীর কথামত কাজ করা কিয়ামতের লক্ষণ
হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, আমার উম্মতের মধ্যে যখন ১৫টি কাজ হতে লাগল তখনই তাদের উপর নানা প্রকার বিপদাপদ আসতে লাগল। জিজ্ঞেস করা হলো, সেগুলো কি হে আল্লাহর রাসূল ! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বলেন-
১.গনীমতের মালকে যখন নিজের ভাবতে শুরু করেছে।
২.আমানতের মালকে গনীমতের মাল ভাবতে শুরু করেছে।
৩.যাকাতকে যখন বোঝা ভাবতে শুরু করেছে।
৪.মাকে বাদ দিয়ে স্ত্রীর কথা মত চলা শুরু করেছে।
৫.পিতার সাথে অসৎ আচরণ করে বন্ধুর সাথে সুন্দর আচরণ শুরু করেছে।
৬.মসজিদসমূহে উচ্চ আওয়াজে কথাবার্তা শুরু হয়েছে।
৭.গোত্রের নেতৃত্বে আসবে চরিত্রহীন লোক। কারণ তার অশুভ থাবা থেকে বাঁচতে লোক তার আনুগত্য করবে।
৮.মদ হয়ে যাবে অতি সাধারণ বিষয়।
৯.রেশম ব্যবহার করা হবে।
১০.গায়িকা হবে অনেক।
১১.মানুষের অনুপস্থিতিতে একে অপরের কুৎসা রটনা করা হবে। ২৭৬
২৭৬.তিরমিযি, খণ্ড ২, পৃ. ৪৪
আর এ সময় জমিন ধসে যাবে। এবং তখন চেহারা বিকৃতির জন্য অপেক্ষা কর। আজকাল অনেকেই পিতা-মাতার মোকাবেলায় এমন কি আল্লাহ ও রাসূলের মোকাবেলায় স্ত্রীর গোলামী করে। পিতা-মাতার প্রতি অবিচার করা হলেও তাতে কিছু এসে যায় না। স্ত্রীর যাতে কোন কষ্ট না হয় সেদিকে নজর থাকে ভাল। স্ত্রীর হক আদায় করতে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। ইসলাম এটাকে উৎসাহিত করেছে। কিন্তু গোলামী করার কথা কেউ বলেনি। বরং পিতা-মাতার গোলামী করার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং তাই করতে হবে।