তৃতীয় প্রশ্নঃ উত্তরদাতার উক্তি-রাসুলে পাক (ﷺ)-এর জ্ঞানে সকল অদৃশ্য বস্তুসমূহ শামিল রয়েছে, এটা বিশুদ্ধ কিনা? 


জবাবঃ  (সকল) এ অর্থের ভিত্তিতে যে, আল্লাহর সকল জ্ঞান বিস্তারিত, প্রকৃত পরিবেষ্টন ও পরিব্যাপ্ত হয়ে যাওয়া তা আমি আপনাদের বলিনি, এটা কোন মাখলুকের জন্য নিশ্চিত-অকাট্যভাবে যুক্তি ও শরীয়ত উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব। আর এ অর্থের ভিত্তিতে-যা কিছু প্রথম দিবস থেকে সংঘটিত হয়েছে এবং শেষ দিবস পর্যন্ত হতে থাকবে এ সবের পরিব্যাপ্ত হওয়া, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ইরশাদ শ্রবণ ও স্বীকার করার ভিত্তিতে বিশুদ্ধ ও সঠিক। হায়রে দুঃখ! আল্লাহ তায়ালা যখন ইরশাদ করেছেন প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা আরাে ইরশাদ করেন প্রত্যেক কিছুর বিস্তারিত বর্ণনা’ রাসুলে (ﷺ) ইরশাদ করেন-“প্রত্যেক বস্তু আমার উপর সুস্পষ্ট হয়ে গেছে’ ওলামা কিরাম বলেন-“রাসুলে পাক (ﷺ)-এর সকল আংশিক পরিপূর্ণ জ্ঞান হাসিল হয়েছে এবং সব কিছু তিনি পরিবেষ্টন করেছেন। আরাে বলেন রাসুলে পাক (ﷺ) প্রত্যেক বস্তু বর্ণনা করেছেন। আরাে বলেছেন, রাসুলের জ্ঞান সমগ্র বিশ্ব পরিব্যাপ্ত। আরাে বলা হয়েছে পূর্বাপর সকল বস্তু যা সংঘটিত হয়েছে ও হবে, সব সম্পর্কে তিনি অবগত রয়েছেন। তিনি সব কিছু এভাবেই শুনেন দেখেন, যেন সব তাঁর চক্ষুর সামনেতারা আরাে বলেনরাসুলে সৈয়দে আরম (ﷺ) সকল বস্তু সম্পর্কে জ্ঞাত। তিনি প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য আদি-অন্ত সব কিছুর জ্ঞান বেষ্টন করে নিয়েছেন। 

কথাও পূর্বে উল্লেখ হয়েছে যে, আল্লাহর পরিচয় লাভকারীর উপর সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যায়। (একজন আরিফের অবস্থা যদি এমন হয়) তাহলে (রাসুলে পাক (ﷺ) এর জন্য) সকল অদৃশ্য জ্ঞান বললে কি অসাধারণ উক্তি হয়ে যায়? এর ব্যাপকতা কি আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুলের বাণী, ইমামদের উক্তি ও - ওলামায়ে কিরামের বক্তব্যের ব্যাপকতা থেকে অধিক জ্ঞান করছেনযদি আপনারা বিবেক দ্বারা চিন্তা ভাবনা করেন তাহলে অধিকাংশ বাণী যা 

অতিবাহিত হয়েছে, তা এর চেয়ে অপ্রশস্ত পাবেন। সুতরাং মর্মার্থ তাই, যা গত হয়েছে ও সাব্যস্ত হয়েছে। যদি তা কুফর, গােমরাহ, ভুল বা মুখতা হয়, তাহলে সর্বপ্রথম আল্লাহ ও রাসুলের কালাম পরিবর্তন করুন আর শীর্ষস্থানীয় আলিমদেরকেই কাফির, পথ ভ্রষ্ট এবং মুখ বলুন, তার পরেই উত্তরদাতার দিকে প্রত্যাবর্তন করুন।

Top