❏ প্রশ্ন : কোনো বিবেকবান ব্যক্তি যদি রাসূল (ﷺ) এর শানে অপমানজনক একথা বলে যে, কোনো ভালো মজলিসে আগমনের ব্যাপারে বললো, রাসূল কোথায় বসেছে? কোথায় শুয়েছে? কোথায় দাড়িয়েছে? আমরা তো দেখছি না। কোনো মানুষ কি দেখছে? রাসূল (ﷺ) হাজির নাজির নয়। এমন আকীদা রাখা শিরক ছাড়া আর কী? ইত্যাদি ।

এমন কথা বললে কি রাসূল (ﷺ)কে অপমান করা আবশ্যক হয়?


✍ জবাব : حامدا ومصليا ومسلما রাসূল (ﷺ) সম্পর্কে এমন আকীদা রাখা এবং বয়ান করা বে আদবী মনে হয়। এটা একটা রুহানিয়াত ও ঈমানিয়াতের মাসআলা। প্রশ্নে উল্লিখিত বিবরণে নবীর অপমানের গন্ধ পাওয়া যায়। যা স্পষ্ট কুফরী ছাড়া আর কী? চাই সে আকীদা নববী ইলম সম্পর্কীয় হোক, বা আল্লাহ প্রদত্ত মুস্তফাবী অধিকারের সাথে সম্পৃক্ত হোক। সর্বাবস্থায় কুফরী।

من استخف بجنابه صلى الله عليه وسلم فهو كافر ملعون مردود في الدنيا والأخرة

‘যে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হালকা মনে করবে, সে কাফের অভশপ্ত দুনিয়া আখেরাতে প্রত্যাখ্যাত।’ (তাফসীরে সাবী)

বরং কেউ যদি রাসূল (ﷺ) এর শাআর (চুল) কে ছোট করার জন্য শোআইর ( ছোট চুল) বলে তাহলে কাফের হয়ে যাবে।

ولو قال لشعر النبي صلى الله عليه وسلم الشعير يكفر ولو عاب النبي صلى الله عليه وسلم بشئ من العيوب يكفر ولو قال لا أدري ان النبي صلى الله عليه وسلم كان انسيا او جنيا يكفر أو عاب نبيا بشئ او لم يرض بسنته من سنن المرسلين عليهم السلام فقد كفر

‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শাআরকে যদি শোআইর বলে, কাফের হয়ে যাবে। যদি রাসূল (ﷺ) এর উপর কোনো দোষ চাপায় তাহলে কাফের হয়ে যাবে। কেউ যদি বলে, আমি জানি না যে, রাসূল মানুষ ছিলেন নাকি জিন ছিলেন, তাহলে কাফের যাবে। অথবা কোনো নবীর উপর দোষ দিলো। বা কোনো নবীর কোনো সুন্নাতকে পছন্দ করলো না তাহলে কাফের হয়ে যাবে।’ (ফতোয়া তাতারখানিয়া : ২/৩২৬)

Top