হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه)-এর আক্বিদা


দরূদ পাঠকারীর আওয়াজ সরাসরি শুনাঃ-


❏হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযূর (ﷺ) ইরশাদ করেন-


لَيْسَ مِنْ عَبْدٍ يُصَلِّي عَليّ إِلَّا بَلَغَنِيْ صَوْتُه حَيْثُ كَانَ قُلْنَا وَبَعْدَ وَفَاتِكَ قَالَ وَبَعْدَ وَفَاتِي إِنَّ اَللهَ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَنْ تَأْكُلَ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ


-‘‘এমন ব্যক্তি নেই, যে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করে যার আওয়াজ আমার কাছে পৌঁছে না (অর্থাৎ আমি তার আওয়াজ সরাসরি শুনি) সে যেখানে থাকুন না কেন। সাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার ওফাতের পরও (শুনবেন)? তিনি বললেন, আমার ওফাতের পরও। কেননা আল্লাহ তা‘আলা নবীদের শরীর খাওয়া যমীনের প্রতি হারাম করে দিয়েছেন।’’  ২৯৬

{২৯৬. আল্লামা ইবনুল কাইয়্যুম জাওযিয়্যাহ, জালাউল আফহাম, ১৮১ পৃ. হা/১৪৪, দারু ইবনে জাওযী, বয়রুত, লেবানন।}


আক্বিদা

এ হাদিস থেকে বুঝা গেল রাসূল (ﷺ)‘র সরাসরি তাঁর রওজা মুবারক হতে আমাদের সবার দরূদের আওয়াজ শুনেন, আর এটাই সাহাবায়ে কিরামের আক্বিদা।  ২৯৭

{২৯৭. সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}


সমস্ত নবীরা তাদের নিজ নিজ মাজারে জীবিত এবং রিযিক প্রাপ্ত হনঃ-


❏হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযূর (ﷺ) একজনের প্রশ্নের জবাবে ইরশাদ করেন-


إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَنْ تَأْكُلَ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ، فَنَبِيُّ اللَّهِ حَيٌّ يُرْزَقُ


-‘‘নিশ্চয় মহান রব তা‘আলা নবীদের শরীরকে যমীনের জন্য খাওয়া হারাম করে দিয়েছেন। ফলে নবীরা তাদের মাজারে জীবিত এবং সেখানে তাদের রিযিক দেয়া হয়।’’  ২৯৮

{২৯৮. ইমাম ইবনে মাযাহ, আস-সুনান, ১/৫২৪ পৃ. হা/১৬৩৭, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/৪৩১ পৃ. হা/১৩৬৬, আহলে হাদিস আলবানীও একে সহীহ বলেছেন।}


আক্বিদা

এ হাদিস থেকে সুস্পষ্ট বুঝা গেল যে, শুধু আমাদের নবীই নন বরং সমস্ত নবীরাই তাদের মাজারে জীবিত এবং সেখানে তাদের রিজিক দেয়া হয়। আর এ বিষয়ে সকলে একমত যে দেহ এবং রুহ একসাথে না হলে রিজিক গ্রহণ করার কথা বলে হাস্যকরের ন্যায় হত। ২৯৯

{২৯৯. সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}

Top