সায়্যিদুনা হযরত হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর আক্বিদা
কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি ফিতনার সংবাদঃ-
সায়্যিদুনা হুযায়ফা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, আল্লাহর শপথ! প্রতিটি ফিতনা সম্পর্কে আমি সকল মানুষ থেকে অধিক জানি। যেগুলো আমার ও কিয়ামতের মাঝে সংঘটিত হবে।
إِلَّا أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسَرَّ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ شَيْئًا، لَمْ يُحَدِّثْهُ غَيْرِي
-‘‘এটি এ জন্য, রাসূল (ﷺ) আমাকে গোপনে বলেছেন, যা আমি ব্যতীত আর কাউকে বলেন নি।’’ ২৭৮
{২৭৮. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/২২১৬ পৃ. হা/২৮৯১, পরিচ্ছেদ: بَابُ إِخْبَارِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَكُونُ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ ।, ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ৩৮/৪৪৭ পৃ. হা/২৩৪৬০, নুয়াইম বিন হাম্মাদ মারুজী, আল-ফিতান, ১/২৮ পৃ. হা/৩, ইবনে আছির, জামেউল উসূল, ১০/২৯ পৃ. হা/৭৪৮২}
আক্বিদা
কিয়ামাত পর্যন্ত যত ফিতনা হবে, সে সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) জানেন। আর সাহাবায়ে কিরামগণের (رضي الله عنه) এটার উপর বিশ্বাস ছিল। এ জন্য হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه) শপথ করে বলেন-
وَاللهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ النَّاسِ بِكُلِّ فِتْنَةٍ هِيَ كَائِنَةٌ، فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَ السَّاعَةِ
-‘আল্লাহর শপথ! আমার ও কিয়ামাতের মাঝে যে সব ফিতনা হবে, তা আমি জানি।’ খাদিমের শান এতটুকু হলে মালিকের শান কতটুকু হবে! ২৭৯
{২৭৯. উক্ত সাহাবী অনুরূপ আরেকটি বর্ণনা রয়েছে। মিশকাত শরীফের ‘বাবুল ফিতান’ নামক অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে হযরত হুযাইফা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে,
مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَائِدِ فِتْنَةٍ، إِلَى أَنْ تَنْقَضِيَ الدُّنْيَا، يَبْلُغُ مَنْ مَعَهُ ثَلَاثَ مِائَةٍ فَصَاعِدًا، إِلَّا قَدْ سَمَّاهُ لَنَا بِاسْمِهِ، وَاسْمِ أَبِيهِ، وَاسْمِ قَبِيلَتِهِ -
-‘‘হুযুর আলাইহিস সালাম পৃথিবীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য কোন ফিত্না পরিচালনাকারীর কথা বাদ দেন নি, যাদের সংখ্যা তিনশত কিংবা ততোধিক হবে; এমন কি তাদের নাম, তাদের বাপের নাম ও গোত্রের নামসহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন।’’ (ইমাম আবু দাউদঃ আস-সুনানঃ ৪/৪৪৩ হাদিসঃ ৪২৪৩, খতিব তিবরিযীঃ মিশকাতঃ ৫/৪৬৩ হাদিসঃ ৫৩৯৩) তাই প্রমাণিত হল পৃথিবীতে কিয়ামত পর্যন্ত যত ফিতনাকারী আসবে সে সম্পর্কে নবীজীর জ্ঞান রয়েছে।}
কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনার সংবাদঃ-
❏ইমাম মুসলিম (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-
عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامًا، مَا تَرَكَ شَيْئًا يَكُونُ فِي مَقَامِهِ ذَلِكَ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ
-“হযরত হুজায়ফা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, একদা আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আমাদের মাঝে (খুতবা দেয়ার উদ্দেশ্যে) দাঁড়ালেন। সে বয়ানে তখন থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে সব কিছুই বলেছেন কোন কিছুই বাদ দেননি।” ২৮০
{২৮০. সহীহ্ বুখারী; সহীহ্ মুসলিম, হা/২৮৯১; মুসনাদে বায্যার, হা/২৮৬২; সুনানে আবু দাউদ; মুস্তাদরাকে হাকেম, ৪/৫৩৩ পৃ: হা/৮৪৫৬; তিরমিযি শরীফ; মুসনাদে আহমদ, ৩৮/৩০৭ পৃ. হা/২৩২৭৪ এবং ৩৮/৩৩৮ পৃ. ২৩৩০৯; মিশকাত শরীফ, (ভারতীয়) ৪৬১ পৃ:; মিরকাত শরহে মেসকাত, ১১তম খণ্ড, ৩ পৃ:; মু‘জামে ইবনু আসাকির, হা/৪৮}
আক্বিদা
এ হাদিস থেকে বুঝা গেল কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে সব কিছু আল্লাহর প্রিয় হাবিব জানেন, আর তিনি জানেন বলেই এ সংবাদ পরিবেশন করেছেন। ২৮১
{২৮১. সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত।}