বিষয় নং-০৫: হযরত আদম عليه السلام এর সৃষ্টির চৌদ্দ হাজার বছর পূর্বে আমি আল্লাহর নিকট নূর হিসেবে বিদ্যমান ছিলাম
মাওলানা মুতীউর রহমান তার ‘এসব হাদীস নয়’ গ্রন্থের ১৯৫ পৃষ্ঠায় উক্ত সহীহ হাদিস সম্পর্কে লিখেছেন-‘‘প্রখ্যাত মুহাদ্দিস শায়েখ আব্দুল্লাহ ইবনে সিদ্দীক আল-গুমারী (রহ.) এ সম্পর্কে লেখেন, ‘এটাও একটা জাল বর্ণনা’।’’
মাওলানা মুতীউর রহমানের ইলমের দৌড় দেখে আমি রীতিমত অবাক, তিনি আর কোনো দলিল পেলেন না উপস্থাপনের জন্য, কিছুদিন আগেরকার এক আলেমের অভিমতকেই একমাত্র সম্বল ভেবে বসে আছেন। অপরদিকে মাওলানা মুতীউর রহমান হাদিসটি বিকৃতি করে বর্ণনা করেছেন, যাতে জাল বানাতে সহজ হয়। তাই তিনি বাংলায় উদ্ধৃতি দিয়েছেন। তিনি হাদিসের ভাষ্য হিসেবে লিখেছেন, ‘‘হযরত আদম (আ.)-এর জন্মের চৌদ্দ হাজার বছর আগে আমি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নূর আকারে বিদ্যমান ছিলাম।’’
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! আপনারাই লক্ষ্য করুন যে, হাদিসে এসছে (قبل خلق آدم) হযরত আদম عليه السلام সৃষ্টির পূর্বে। মহান রব যেন এ সমস্ত ধোঁকাবাজদের থেকে আমাদের ঈমান ও আমলকে হেফাযত রাখুন। আমিন
প্রথম সূত্র:
❏ ইমাম আলী ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল মালেক হিমইয়ারী আল মারুফ আবুল হাছান ইবনে কাত্তান (رحمة الله) ওফাত ৬২৮ হিজরী তদীয় ‘কিতাবুল আহকাম’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন,
عن علي بن الحسين عن أبيه عن جده أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: كنت نورًا بين يدي ربي قبل خلق آدم بأربعة عشر ألف عام
-“হযরত আলী ইবনে হুছাইন ইবনে আলী (رضي الله عنه) তাঁর পিতা ও দাদা সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন: আমি হযরত আদম عليه السلام সৃষ্টির ১৪ হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহর কাছে নূর হিসেবে বিদ্যমান ছিলাম।”
(ইমাম ইবনে কাত্তান: কিতাবুল আহকাম, ১ম খণ্ড, ১৪২ পৃ;; শরফুল মোস্তফা, ১ম খণ্ড, ৩০৮ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ১ম খণ্ড, ৭২ পৃ:; ইমাম যুরকানী: শরহে মাওয়াহেব, ১ম খণ্ড, ১৯৫ পৃ:; আনওয়ারে মুহাম্মদিয়া; কাশফুল খফা, ১ম খণ্ড, ২৩৮ পৃ:; সিরাতে হলবিয়া, ১ম খণ্ড, ৪৭ পৃ:; তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খণ্ড, ৪২৯ পৃ:; নশরুত্বিব, ২৬ পৃ:; জিকরে হাসীন, ৩০ পৃ:)
❏ ইমাম আজলূনী, ইমাম ইবনে সালেহী শামী, ইমাম কাস্তাল্লানী ও ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) সকলেই এভাবে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন:
وفي أحكام ابن القطان فيما ذكره ابن مرزوق عن علي بن الحسين عن أبيه عن جده أن النبي صلى الله عليه وسلم قال...
-“ইবনে কাত্তান তার আহকাম গ্রন্থে উল্লেখ করেন, যা ইবনে মারজুক (رحمة الله) হযরত আলী ইবনে হুছাইন (رضي الله عنه) এর পিতা ও দাদার সূত্রে উল্লেখ করেছেন।”
(ইমাম আজলূনী: কাশফুল খাফা; ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ১ম খণ্ড, ৯৪ পৃ:; ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১ম খণ্ড, ৬৯ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী: আল মাওরিদুর রাবী, ৩৭ পৃ.)
❏ হাদিসটি মূলত ইমাম ইবনে মারজুক (رحمة الله) এর কিতাবে সনদসহ রয়েছে। ইবনে মারজুক (رحمة الله) এর সম্পূর্ণ নাম হল: أَحْمَدُ بنُ مُحَمَّدِ بنِ القَاسِمِ المِصْرِيُّ “আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে কাশেম আল মিছরী ”। তিনি ابْنُ مَرْزُوْقٍ ইবনে মারজুক (رحمة الله) নামে প্রসিদ্ধ। তার ইন্তেকাল ৪১৮ হিজরী।
(ইমাম যাহাবী: সিয়ারে আলামিন নুবালা, রাবী নং ২৫৬)
দ্বিতীয় সূত্র:
❏ আল্লামা হুছাইন ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাছান দিয়ারবকরী (رحمة الله) [ওফাত ৯৬৬ হিজরী] তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ كنت نُورًا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ تَعَالَى، قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ آدَمَ بِأَلْفَيْ عَامٍ،
-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) নবী করিম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবীজি (ﷺ) বলেছেন: আমি আদম عليه السلام সৃষ্টির ১ হাজার বছর পূর্বেও আল্লাহর কাছে নূর হিসেবে ছিলাম।”
(তারিখুল খামিস, ১ম খণ্ড, ২১ পৃ:)।
❏ হাদিসটি অন্যান্য কিতাবে এভাবেও রয়েছে,
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَتْ رُوحُهُ نُورًا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ تَعَالَى، قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ آدَمَ بِأَلْفَيْ عَامٍ،
-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন: আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর রুহ মোবারক আল্লাহর কাছে আদম (عليه السلام) সৃষ্টির ১ হাজার বছর পূর্বে নূর হিসেবে ছিলেন।”
(কাজী আয়্যায: শিফা শরীফ, ১ম জি: ১৮২ পৃ:; সিরাতে হালভিয়া, ১ম খণ্ড, ৪৬ পৃ:; ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১ম খণ্ড, ৬৯ পৃ:; ইমাম সুয়ূতী: খাসায়েসুল কুবরা, ১ম খণ্ড, ৬৬ পৃ:; শরফুল মুস্তফা, ১ম খণ্ড, ৩০৪ পৃ:)।
এই হাদিস গুলো দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ হয়, আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) এর সৃষ্টির ১ হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহর রাসূল (ﷺ) নূর হিসেবে ছিলেন। মাটির তৈরী প্রথম মানুষ হল হযরত আদম (عليه السلام), আর সেই আদম (عليه السلام) সৃষ্টির বহুকাল পূর্বে নূর হিসেবে সৃষ্টি ছিলেন।
তৃতীয় সূত্র:
❏ বিখ্যাত হাদিস বিশারদ চার মাযহাবের অন্যতম ইমাম হযরত আহমদ ইবনে হাম্বল (رحمة الله) একটি হাদিসেপাক সংকলন করেছেন-
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ قثنا أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ الْعِجْلِيُّ قثنا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ قثنا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ زَاذَانَ، عَنْ سَلْمَانَ قَالَ: سَمِعْتُ حَبِيبِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: كُنَّا أَنَا وَعَلِيٌّ نُورًا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ آدَمَ بِأَرْبَعَةَ عَشَرَ أَلْفَ عَامٍ
-‘‘তাবেয়ী যাযান (رحمة الله) তিনি হযরত সালমান ফারসী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করতে শুনেছি, আমি ও আলী আদিপিতা আদম (আ.) সৃষ্টির চৌদ্দ হাজার বছর পূর্বে মহান রবের সমীপে নুর হিসেবে ছিলাম।’’ ১১৬
➥{ইমাম আহমদ, ফাযায়েলুস সাহাবা, ২/৬৬২ পৃ. হা/১১৩০, মুয়াস্সাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ. ১৪০৩ হি.}
সনদ পর্যালোচনা:
❏ এ হাদিসটির সনদ সহীহ। কেননা, সনদের কোন রাবীই যঈফ নয়। ইমাম যাহাবী আহমাদ ইবনু মিকদাম (رحمة الله) কে সিকাহ বলেছেন। ১১৭
➥{যাহাবী, দিওয়ানুল দ্বুআফা, ১/১০ পৃ. ক্রমিক. ১০৮}
❏ ইমাম ইবনে হিব্বান তাকে সিকাহ রাবীর তালিকায় স্থান দিয়েছেন। ১১৮
➥{ইবনে হিব্বান, কিতাবুস সিকাত, ৮/৩২ পৃ. ক্রমিক. ১২১২৪}
❏ ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) বলেন, তিনি সহীহ বুখারীর রাবী। ১১৯
➥{ইমাম বুখারী, আস-সহীহ, ৩/৫৪ পৃ. হা/২০৫৭, ৯/৩৩ পৃ. হা/৬৯৯৮}
❏ তিনি আরও উল্লেখ করেন- بصري صدوق -‘‘তিনি বসরার অধিবাসি এবং সত্যবাদি ছিলেন।’’ ১২০
➥{ইবনে হাজার, তাক্বরিবুত তাহযিব, ৮৫ পৃ. ক্রমিক. ১১০}
❏ আর সাওর ইবনে ইয়াযিদ সিহাহ সিত্তার রাবী। ১২১
➥{ইবনে হাজার তাক্বরীবুত তাহযিব, ১৩৫ পৃ. ক্রমিক.৮৬১, উদাহারণ- বুখারী, আস-সহীহ, ৪/৪২ পৃ. হা/২৯২৪, ৭/৮২ পৃ. হা/৫৪৫৯}
❏ আর ইমাম ফুযাইল ইবনে আয়্যায (ওফাত. ১৮৭ হি.) সম্পর্কে ইমাম ইবনে সা‘দ (رحمة الله) বলেন-
وكان ثقة ثبتا فاضلا عابدا ورعا كثير الحديث.
-‘‘তিনি সিকাহ, দৃঢ় বর্ণনাকারী, মর্যাদাবান ব্যক্তি, ইবাদত পরায়ন, দুনিয়াবিমুখ, অধিক হাদিস বর্ণনাকারী।’’ ১২২
➥{ইবনে সাদ, আত-তবকাতুল কোবরা, ৬/৪৩ পৃ. ক্রমিক. ১৬৪৮}
❏ ইমাম নাসাঈ (رحمة الله) বলেন- قَالَ النَّسَائِيُّ: ثِقَةٌ مَأْمُونٌ. -‘‘ইমাম নাসাঈ (رحمة الله) বলেন, তিনি সিকাহ, (দ্বীনের বিষয়ে) নিরাপদ ব্যক্তি।’’ ১২৩
➥{যাহাবী, তারিখুল ইসলাম, ৪/৬৯৪ পৃ.}
তিনিও সহীহ বুখারী মুসলিমের রাবী।
(ইমাম ইবনে হাজার, তাক্বরীবুত তাহযিব, ৪৪৮ পৃ. ক্রমিক. ৫৪৩১)
❏ কিন্তু কেউ কেউ ইমাম আহমদ (رحمة الله)-এর মত মুহাদ্দিসের উস্তাদ ‘হাসান’ কে যঈফ বলে একে উড়িয়ে দিতে চান। তাদের দাবী হলো ইমাম যাহাবী (رحمة الله) উল্লেখ করেছেন- قال أبو أحمد الحاكم: فيه نظر -‘‘ইমাম আবূ আহমদ হাকেম (رحمة الله) বলেন, তার বিষয়ে আপত্তি রয়েছে।’’
(মিযানুল ইতিদাল, ১/৫০৮ পৃ.)
আমি বলবো এ হাদিসটি অনেকগুলো সূত্র একত্রিত হওয়ায় এটি শক্তিশালী হয়েছে।
❏ এই হাদিসে প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর সাথে হযরত আলী (رضي الله عنه) এর কথাও রয়েছে কারণ মাওলায়ে আলী (رضي الله عنه) হলেন পাক পাঞ্জাতনের অংশ। যেমন হাদিস শরীফে আছে,
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: حَدَّثَنِي حَبَشِيُّ بْنُ جُنَادَةَ السَّلُولِيُّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلِيٌّ مِنِّي، وَأَنَا مِنْهُ،
-“হাবাসী ইবনে জুনাদা ছালুলী (رضي الله عنه) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন: আলী আমার থেকে আমি তার থেকে।”
(ইমাম নাসাঈ: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৮০৯১; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৭৫১১; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১১৯; ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ৩৫১১; মুসনাদে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ৮৪৪)
অর্থাৎ আহলে বাইতের সবাই নবীর অংশ।
চতুর্থ সূত্র:
❏ ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (رحمة الله) সংকলন করেন-
وَأخرج ابْن ابي عمر الْعَدنِي فِي مُسْنده عَن ابْن عَبَّاس ان قُريْشًا كَانَت نورا بَين يَدي الله تَعَالَى قبل ان يخلق آدم بألفي عَام يسبح ذَلِك النُّور وتسبح الْمَلَائِكَة بتسبيحه فَلَمَّا خلق الله آدم ألْقى ذَلِك النُّور فِي صلبه قَالَ رَسُول الله ﷺ فأهبطني الله إِلَى الأَرْض فِي صلب آدم وَجَعَلَنِي فِي صلب نوح وَقذف بِي فِي صلب إِبْرَاهِيم ثمَّ لم يزل الله ينقلني من الأصلاب الْكَرِيمَة والأرحام الطاهرة حَتَّى أخرجني من بَين أَبَوي لم يلتقيا على سفاح قطّ-
-‘‘হযরত ইবনে আবী ওমর আদনী (رضي الله عنه)তার “আল-মুসনাদ” গ্রন্থে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে রেওয়ায়েত করেন যে, নিশ্চয়ই কুরাইশ [নূরে মুহাম্মাদী (ﷺ)] আদম সৃষ্টির দু‘হাজার বছর পূর্বে আল্লাহর সামনে একটি নূর আকারে বিদ্যমান ছিল। এই নূর যখন তাসবীহ পাঠ করত, তখন ফেরেশতারাও তাঁর সঙ্গে তাসবীহ পাঠ করতো। আল্লাহ্ তা‘য়ালা আদম কে সৃষ্টি করে এই নূর তাঁর ঔরসে রেখে দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরও বলেন : এরপর আল্লাহ্ আমার নূর আদমের ঔরসের মাধ্যমে পৃথিবীতে নামালেন। তারপর হযরত নূহ এর ঔরসে স্থানান্তর করলেন। অতঃপর হযরত ইব্রাহীম (عليهم الصلاة والسلام)-এর ঔরসে।
❏ এমনিভাবে আল্লাহ্ পাক আমাকে সম্মানিত বান্দাদের ঔরসে এবং পবিত্রাত্মা নারীদের গর্ভে স্থানান্তর করতে থাকেন। অবশেষে আমার পিতা মাতার কাছে আগমন করান, যাদের মাধ্যমে দুনিয়ায় আগমন করি। আমার পিতৃপুরুষদের মধ্যে কেউ কখনও ব্যভিচারের ভিত্তিতে সঙ্গম করেনি।’’ ১২৪
➥{ইমাম সুয়ূতি : খাসায়েসুল কুবরা, ১/৬৯ পৃ. হা/১৭১, অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন, ইমাম কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : ১/১৭ পৃ. শায়খ ইউসুফ নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ১/২১ পৃ. ইমাম ইবনে সালেহ, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১/৬৯ পৃ. বুরহান উদ্দিন হালবী, সিরাতে হালবিয়্যাহ, ১/৪৬ পৃ. , জুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব, ১/৯৫ পৃ., ইসমাঈল হাক্কী, তাফসীরে রুহুল বায়ান, ২/৩৭০ পৃ. সূরা মায়েদা, আয়াত.১৭}
উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম এ হাদিসটি অনেকগুলো সূত্রে হওয়ার দরুণ বিষয়টি সুস্পষ্ট প্রমাণিত।