প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন (প্রথম খণ্ড) 

গ্রন্থনা ও সংকলনেঃ মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর

প্রকাশনায়ঃ সাকলাইন প্রকাশন, বাংলাদেশ।


সম্পাদনায় :

মুফতি কাযি আব্দুল ওয়াজেদ (মা.জি.আ)

ফকিহ্, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা, ষোলশহর,  চট্টগ্রাম।

মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আলাউদ্দিন জিহাদী

মহাপরিচালক, আবতাহী মুজাদ্দেদীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ


টেক্সট রেডীঃ মাসুম বিল্লাহ সানি, সিরাজুম মুনির তানভির 


সার্বিক তত্ত্বাবধানে :

মুফতি মুহাম্মদ আলী আকবার (মা. জি. আ.)

বহু গ্রন্থ প্রনেতা ও সভাপতি, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত,  নারায়নগঞ্জ।


আক্ষরিক নিরক্ষণে:

মাওলানা মুফতি আবদুল আজিজ রযভী


গ্রন্থস্বত্ব : প্রকাশক কর্তৃক সংরক্ষিত।


প্রকাশনায়: সাকলাইন প্রকাশন


প্রথম প্রকাশ :

১২ রবিউল আউয়াল,  ১৪৩৬ হিজরি, ৪ জানুয়ারী,  ২০১৫ ইংরেজী

দ্বিতীয় প্রকাশ: ০৫.০৯.১৮ ইং


বাঁধাই: হাসান বুক বাইণ্ডিং হাউস, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম। ০১৮৩০১৩৮৭৯৯


শুভেচ্ছা হাদিয়া : ৫২০/=


যোগাযোগঃ দেশ-বিদেশের যে কোন স্থানে বিভিন্ন সার্ভিসের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে মোবাইল: ০১৮৪২-৯৩৩৩৯৬, ০১৭২৩-৯৩৩৩৯৬


 



مَوْلَايَ صَلِّ وَسَلِّمْ دَائِمًا أَبَدًا

عَلىٰ حَبِيْبِكَ خَيْرِ الْخَلْقِ كُلِّهِم

مُحَمَّدٌ سَيِّدُ الْكَوْنَيْنِ وَالثَّقَلَيْنِ

وَالْفَرِيْقَيْنِ مِنْ عُرْبٍ وَّمِنْ عَجَمِ




صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَعَلٰى آلِه وَصَحْبِه وَبَارِكْ وَسَلَّمَ




যে সব পুস্তকের দাঁতভাঙ্গা জবাব


    ১।     আহলে হাদীস শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী’র

            সিলসিলাতুল আহাদিসুদ্-দ্বঈফাহ সহ তার বিভিন্ন পুস্তকের।


    ২।    ড.আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রচিত ‘হাদীসের নামে জালিয়াতি’ (৫ম সংস্করণ, এপ্রিল ২০১৭ ঈসায়ী) আস্-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স,  ঝিনাঈদহ,  বাংলাদেশ।


   ৩।    মাওলানা মুতীউর রহমান কৃত ‘এসব হাদীস নয়’, তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক {সাবেক নাম ‘প্রচলিত জাল হাদীস} (দ্বিতীয় প্রকাশ,  অক্টোবর, ২০১৬ ঈসায়ী) মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া,  ঢাকা।


   ৪।    মাওলানা মুহাম্মদ জাকারিয়া হাসনাবাদী লিখিত ও মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী সম্পাদিত “প্রচলিত জাল হাদীস” (তৃতীয় প্রকাশ ১৭ ফেব্র“য়ারী ২০১২ ঈসায়ী) থানভী লাইব্রেরী,  হাটহাজারী,  চট্টগ্রাম।


উল্লেখিত গ্রন্থসমূহের আপত্তিকর বিষয়গুলি নিষ্পত্তি করা হয়েছে আমার এই গ্রন্থে।









                            উৎসর্গ 


সিরাজুল উম্মাত, ইমাম আযম, আবূ হানিফা (رضي الله عنه),

বাণীয়ে জামেয়া শাহেনশাহ সিরিকোট সৈয়দ আহমদ শাহ সিরকোটি (رحمة الله),

মাছিয়াতা দরবার শরীফের পীরে মুকাম্মেল মুরশীদে কামেল মাওলানা শাহ সৈয়দ কুতুবুর রহমান (رحمة الله)

এবং

আমার শ্রদ্ধেয় দাদা-দাদী ও নানা-নানীর মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে।





নাম : .........................................................................



ঠিকানা : ......................................................................



.................................................................................



কে 

উপহার দিলাম











কৃতজ্ঞতায়


শাইখুল হাদিস, আল্লামা ওবাইদুল হক নঈমী (মা. জি. আ)

মুহাদ্দিস, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম।

আল্লামা হাফেয আশরাফুজ্জামান আল-কাদেরী (মা. জি.আ)

মুহাদ্দিস, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম।

মাওলানা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জোবাইর রযভী (মা. জি.আ)

খতিব, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া দায়েম নাজির জামে মসজিদ, চট্টগ্রাম।

আলহাজ্ব হাফেয মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ আশেকী

পীর সাহেব, খানাকায়ে কাদেরীয়া হামীদীয়া ওয়ালিয়া দরবার শরীফ, আশকোনা, আমতলা, ঢাকা-১২০৩

হাফেয ক্বারী মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া

প্রতিষ্ঠাতা, আল-আযীয তাহ্ফিজুল কুরআন ক্যাডেট মাদ্রাসা, অক্সিজেন, চট্টগ্রাম।


সার্বিক সহযোগিতায়


ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আলম (অবঃ)

খাদেম, মকিমীয়া মোজাদ্দেদীয়া দরবার শরীফ, টানপাড়া, নিকুঞ্জ, ঢাকা।

ইঞ্জিনিয়ার সিপাহিদ খাঁন মানিক, প্রতিষ্ঠাতা, আবতাহী ফাউন্ডেশন, ঢাকা।

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বন্দর, নারায়নগঞ্জ।

ইঞ্জিনিয়ার আতাউর রহমান (খোকন), নারিন্দা, ঢাকা।

মুহাম্মাদ নু‘মান হাবিবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হাফেয মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন

শিক্ষার্থী, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা, ঢাকা।


সূচিপত্র


প্রথম সংস্করণের ভূমিকা/১৮

দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা/২৩

সম্পাদকীয়/২৪

মুহাদ্দিসীনে কিরামের বাণী/২৫-৩০


প্রথম অধ্যায়: উসূলে হাদিসের কতিপয় মূলনীতি:


  1. বিষয় নং-০১: বর্তমান আহলে হাদিসদের দৃষ্টিতে দ্বঈফ হাদিস বলতে কী বুঝায়?/৩১

  2. বিষয় নং-০২: কোনো মুহাদ্দিসের উক্তি হাদিসটি ‘সহীহ নয়’ বলতে কী বুঝায়?/৩৩

  3. বিষয় নং-০৩: দ্বঈফ সনদ বিশিষ্ট হাদিসের উপরে আমল করার হুকুম/৪৩

  4. বিষয় নং-০৪: দুর্বল সনদ একাধিক সূত্রে বর্ণিত হলে ‘হাসান’ স্তরে উপনীত হয়/৫৬

  5. বিষয় নং-০৫: দ্বঈফ সনদকে অবহেলা করার ভয়ংঙ্কর পরিণতি/৬১

  6. বিষয় নং-০৬: কোনো সনদের ক্ষেত্রে একজন রাবীর হেফ্যে (স্মৃতিশক্তিতে) সামান্য দুর্বলতা দ্বারা হাদিস ‘হাসান’ হয়, যঈফ নয়/৬৪

  7. বিষয় নং-০৭: সনদে কোনো একজন বর্ণনাকারী মুনকার, অথবা মুদ্ত্বরাব  অথবা মাতরুক থাকলে সে হাদিসকে জাল বলা হবে না/৬৫

  8. বিষয় নং-০৮: সিকাহ রাবীর মুরসাল হাদিস গ্রহণযোগ্য/৬৮

  9. বিষয় নং-০৯: সহীহ হাদিস কি শুধু বুখারী মুসলিমেই সীমাবদ্ধ/৭০

  10. বিষয় নং-১০: পৃথিবীর সবচেয়ে ভূয়া তাহক্বীক কারী শায়খ আলবানীর ধোঁকা থেকে সাবধান/৭৫

 

দ্বিতীয় অধ্যায়: আল্লাহ সম্পর্কীত বর্ণনা


  1. বিষয় নং ১: আমি ছিলাম গুপ্ত ভাণ্ডার, ইচ্ছা হল পরিচিত হওয়ার,  অত:পর আমি সমগ্র জগত সৃষ্টি করলাম/৮৬

  2. আলোচ্য হাদিসের বিষয়ে মুহাদ্দিসগণের বক্তব্য/৮৭

  3. বিষয় নং-২: মি‘রাজে নব্বই হাজার কালাম হওয়া প্রসঙ্গ/৯১

  4. বিষয় নং-৩: ‘মু‘মিনের কলব আল্লাহর আরশ’ হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা/৯২

  5. বিষয় নং-৪: জিবরাঈল (আ.) হতে আল্লাহ তা‘য়ালার দূরত্ব ৭০ হাজার নূরের পর্দা/৯৫

  6. বিষয় নং-৫: আল্লাহ্ তা‘য়ালার সাথে আমার বিশেষ মুহুর্ত/৯৯


তৃতীয় অধ্যায়: রাসূল (ﷺ)’র সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়সমূহ:


বিষয় নং-১: রাসূল (ﷺ) এর নাম শুনে চুমু খাওয়ার হাদিস সম্পর্কে তাত্তি¡ক দীর্ঘ আলোচনা/১০২

ক. এ ব্যাপারে হযরত আদম (আ.) এর আমল/১০২

খ. হযরত মূসা (আ.)-এর যুগে আমল/১০৩

গ. হযরত খিযির (আ.) কর্তৃক রাসূল (ﷺ)‘র নাম শুনে চুমু খাওয়ার আমল/১০৭

ঘ. প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (আ.)‘র আমল/১০৭

এ হাদিসের বিষয়ে মুহাদ্দিসগণের অভিমত/১০৮

১. ইমাম সাখাভী (رحمة الله)‘র অভিমত/১০৮

২. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রহ.)‘র অভিমত/১০৯

৩-৪. আল্লামা তাহের পাটনী ও শাওকানীর অভিমত/১০৯

৫. আল্লামা আজলূনী (রহ.)‘র অভিমত/১১০

৬. ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (রহ.)‘র অভিমত/১১০

আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (رحمة الله)‘র অভিমত/১১১

ঙ. ফকিহগণের দৃষ্টিতে এ হাদিসের ব্যাপারে আমল/১১২

আল্লামা শামসুদ্দীন বিন আবু নসর বুখারী (রহ.)-এর দৃষ্টিতে এ আমল/১১৬

আল্লামা আবুল হাসান আলী বিন মুহাম্মদ (রহ.)-এর দৃষ্টিতে এ আমল/১১৬

আল্লামা ইমাম ফকীহ মুহাম্মদ বিন শায়বানী (রহ.)-এর দৃষ্টিতে এ আমল/১১৬

এ বিষয়ে মিশরের পুরাতন আলেমদের আমল/১১৭

আল্লামা ইবনে সালেহ (رحمة الله)‘র দৃষ্টিতে আমল/১১৭

এ হাদিসের বিষয়ে আহলে হাদিস আলবানীর তাহকীক/১১৮

বিষয় নং-২: আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর বিবাহের মোহরানা/১১৯

বিষয় নং-৩: ১২ই রবিউল আউয়াল মিলাদুন্নবীই, ওফাতুন্নবী নয়/১২১

ওফাতুন্নবী পালন না করার প্রথম কারণ/১২১

১২ ই রবিউল আউয়াল রাসূল (ﷺ)‘র ওফাত হওয়ার গ্রহণযোগ্যতা/১২১

ওফাতুন্নবী (ﷺ) পালন না করার দ্বিতীয় কারণ/১২৫

ওফাতুন্নবী (ﷺ) পালন না করার তৃতীয় কারণ/১২৬

ওফাতুন্নবী (ﷺ) পালন না করার চতুর্থ কারণ/১২৭

ওফাতুন্নবী (ﷺ) পালন না করার পঞ্চম কারণ/১২৮

বিষয় নং-৪: হযরত জাবির (رضي الله عنه)-এর দুই মৃত সন্তানদের জীবিত করার ঘটনা/১২৯

বিষয় নং-৫: রাসূল (ﷺ) এর নামে নাম রাখা ব্যক্তির জান্নাতী হওয়ার সুসংবাদ/১৩১

প্রথম সূত্র/১৩১

দ্বিতীয় সূত্র/১৩২

তৃতীয় সূত্র/১৩২ 

চতুর্থ সূত্র/১৩৩ 

পঞ্চম সূত্র/১৩৩

হাদিসটির মান/১৩৪

পঞ্চম সূত্র/১৩৪

৬ষ্ঠ সূত্র/১৩৫

বিষয় নং-০৬: (لَوْلاكَ لَمَا خَلَقْتُ الأَفْلاكِ) ‘রাসূল (ﷺ) সৃষ্টি না হলে কিছুই সৃষ্টি হত না’ হাদিসের তাত্তি¡ক বিশ্লেষণ/১৩৬

প্রথম হাদিস/১৪০

দ্বিতীয় হাদিস/১৪৫

তৃতীয় ও চতুর্থ হাদিস/১৪৭

পঞ্চম ও ৬ষ্ঠ হাদিস/১৪৯

সপ্তম হাদিস/১৫৩

অষ্টম হাদিস/১৫৪

নবম হাদিস/১৫৫

দশম হাদিস/১৫৫

বিভিন্ন মুহাদ্দিস, মুফাস্সিরদের মমার্থ বর্ণনা/১৫৫

বিষয় নং-০৭: মি‘রাজের রজনীতে রাসূল (ﷺ)-এর তাশাহহুদ লাভের ঘটনা/১৬৩

বিষয় নং-০৮: জুতা মোবারক নিয়ে আরশে গমন ও আল্লাহ্ তা‘য়ালার দর্শন লাভ/১৬৪

এ বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদা/১৭৩

একটি আপত্তি ও নিষ্পত্তি/১৭৫

বিষয় নং-০৯: হযরত আয়েশা (আ.) এর হারানো সুঁই ফিরে পাওয়া/১৭৬

বিষয় নং-১০: রাসূল (ﷺ)‘র চেহরা আনওয়ারের আলোতে অন্ধকার আলোকিত হওয়া/১৭৯

বিষয় নং-১১: রাসূল (ﷺ)-এর সুচিতা দাঁত মোবারক থেকে জ্যোতি প্রকাশ:

এ বিষয়ের সমর্থিত বিভিন্ন হাদিসে পাক/১৮২

বিষয় নং-১২: মিলাদ মাহফিলে হুযূর (ﷺ) উপস্থিত হতে পারেন বলে ধারণা রাখা/১৮৭

এ বিষয়ে সাধারণ পাঠকদের উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্য/১৮৮

বিষয় নং-১৩: রাসূল (ﷺ) দরূদ শুনেন এবং দরূদ পাঠকারীকে চিনেন/১৯৯

বিষয় নং-১৪: রাসূল (ﷺ)-এর ছায়া থাকা প্রসঙ্গ/২১০

রাসূল (ﷺ)-এর ছায়া থাকার বিষয়ে কয়েকটি হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা ও সঠিক ব্যাখ্যা/২১১

প্রথম হাদিস ও তার ব্যাখ্যা/২১১

উত্থাপিত দ্বিতীয় হাদিস ও তার পর্যালোচনা/২১৫

রাসূল (ﷺ) এর ছায়া না থাকার আরও কিছু গ্রহণযোগ্য প্রমাণ/২২০

এ বিষয়ে বিভিন্ন ইমাম, মুহাদ্দিস, ইতিহাসবিদদের অভিমত/২২২

বিষয় নং-১৫: রাসূল (ﷺ) এর ইলমে গায়ব সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস পর্যালোচনা/২২৮

বিষয় নং-১৬: প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী ১২ ই রবিউল আউয়াল রাসূল (ﷺ) এর শুভাগমনের দিন/২৩২

এ বিষয়ে সাহাবী ও তাবেয়ীদের অভিমত/২৩২

বিখ্যাত ঐতিহাসিকদের বর্ণনা/২৩৪

বিষয় নং-১৭: নবি প্রেমে হরিণী আর্তনাদ/২৩৮

সামগ্রীকভাবে এ বিষয়ক হাদিসের মান/২৪৪

বিষয় নং-১৮: রাসূল (ﷺ) ‘র কুরআন পড়তে এবং লিখতে জানা প্রসঙ্গ/২৪৭

বিষয় নং-১৯: রাসূল (ﷺ) এর ইন্তিকালের সময় মালাকুল মাওতের আগমন ও কথাবার্তা/২৫৩

বিষয় নং-২০: হে আবু বকর আমার হাকীকত আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ জানে না/২৫৫

বিষয় নং-২১: সমস্ত নবীগণ তাদের নিজ নিজ সমাধীতে জীবিত এবং সেখানে তাঁরা সালাতে রত/২৫৬

বিষয় নং-২২: অস্তমিত সূর্য রাসূল (ﷺ)-এর উসিলায় পুনরায় উদিত হওয়া:

রাবী ফাতেমার কি অজ্ঞাত ব্যক্তি?/২৬৯

বিষয় নং-২৩: আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদম (আ.) মাটি ও পানির সাথে মিশ্রিত/২৮০

বিষয় নং-২৪: সমগ্র দুনিয়া হাতের তালুতে/২৮৩

বিষয় নং-২৫: রাসূল (ﷺ)-এর ইলমে গায়েব সংক্রান্ত হযরত মু’য়ায বিন জাবাল (رضي الله عنه)-এর হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা/২৯০

বিষয় নং-২৬: আমাকে যে দেখবে তাকে জাহান্নামের আগুন

স্পর্শ করবে না/২৯১


চতুর্থ অধ্যায়: কিতাবুল মানাকিব বা ব্যক্তিত্ব ফযিলত


বিষয় নং-১: আমি ইলমের শহর হযরত আলী তার দরজা/২৯২

সামগ্রীকভাবে এ হাদিসটির মান/২৯৯

বিষয় নং-২: হযরত আলী (رضي الله عنه)-এর যিক্র (আলোচনা) হলো ইবাদত/৩০২

বিষয় নং-৩: বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল (ﷺ) দুটি বস্তু রেখে যাওয়া/৩০৩

ক. আহলে বায়াতের বর্ণনা/৩০৩

খ. দ্বিতীয় বিষয় ‘আস-সুন্নাহ’-এর বর্ণনা/৩০৫

বিষয় নং-০৪: আমার সাহাবীদের মতভেদ রহমত স্বরূপ/৩০৭

বিষয় নং-০৫: পিতা-মাতার দিকে নেক নজরে তাকালে কবুল হজ্জের সাওয়াব/৩১২

বিষয় নং-০৬: আমার পরে কেউ নবী হলে উমরই হতো/৩১৫

বিষয় নং-০৭: ‘যখন সালেহীনদের যিক্র করা হয় তখন রহমত বর্ষণ হয়/৩১৬

বিষয় নং-০৮: হাশরের ময়দানে তিন ধরনের ব্যক্তি সুপারিশ করবে/৩১৯

বিষয় নং-০৯: ‘আমার সাহাবাগণ আকাশের তারকা তুল্য/৩২০

মুহাদ্দিসগণের অভিমত/৩২৯


পঞ্চম অধ্যায়: বায়‘আত ও বেলায়াত প্রসঙ্গ


বিষয় নং-০১: খোদাভীরুগণের  জন্য দুনিয়া ও আখিরাত সবই হারাম/৩৩১

বিষয় নং-০২: যার কোন পীর নেই তার পীর শয়তান/৩৩২

বিষয় নং-০৩: ওলীগণের কারামত বা অলৌকিক ক্ষমতা সত্য/৩৩৬

বিষয় নং-০৪: নবীগণের যিক্র ইবাদত ও ওলীগণের আলোচনা গুনাহের কাফ্ফারা/৩৩৮

বিষয় নং-০৫: তোমরা মু‘মিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় করো, কেননা তারা আল্লাহর নূর দ্বারা দেখে/৩৩৮

বিষয় নং-০৬: একজন শায়েখ তাঁর মুরিদের কাছে তেমন,  

যেমনি নবী তাঁর উম্মতের কাছে/৩৪৫

বিষয় নং-০৭: যে নিজকে চিনেছে সে তার রবকে চিনেছে/৩৪৬



৬ষ্ঠ অধ্যায়: ইলম বা জ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়সমূহ


বিষয় নং-১: জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন দেশে যাও/৩৫২

বিষয় নং-০২: ‘আলেমের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র/৩৫৯

এ হাদিসের বিষয়ে মুহাদ্দিসগণের বক্তব্য/৩৬৫

বিষয় নং-০৩: মূর্খের ইবাদতের চেয়ে আলিমের ঘুম উত্তম/৩৬৬

বিভিন্ন মুহাদ্দিসদের বক্তব্য/৩৬৮

বিষয় নং-০৪: আমার উম্মতের আলেমগণ বনী ইসরাঈলের নবী তুল্য/৩৬৯

বিষয় নং-০৫: রাতের কিছু সময় ইলম চর্চা সারা রাত জেগে ইবাদতের চেয়ে উত্তম/৩৭৫


সপ্তম অধ্যায়: জানাযা ও যিয়ারত সম্পর্কীত হাদিসসমূহ:


বিষয় নং-০১: হযরত বিলাল (رضي الله عنه)-এর মদীনা পরিত্যাগ ও স্বপ্নে প্রাপ্ত

আদেশে মদীনায় আগমন/৩৭৬

বিষয় নং-০২: কবরে বাতি জ্বালানো/৩৭৭

বিষয় নং-০৩: নেককার লোকের পাশে মৃত ব্যক্তিকে কবর দেয়া/৩৭৯

বিষয় নং-০৪: লোকটি কেমন ছিল বা মৃত ব্যক্তির প্রশংসা করা/৩৮৫

বিষয় নং-০৫: পিতা-মাতার কবরের নিকট সূরা ইয়াসিন পাঠ করা/৩৮৮

এ বিষয়ে ফকীগণের অভিমত/৩৯০

বিষয় নং-০৬: যে ব্যক্তি প্রত্যেক শুক্রবার পিতা-মাতার কবর যিয়ারত করবে তাকে পিতা মাতার দায়িত্ব পালনকারী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হবে/৩৯৫

বিষয় নং-০৭: মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা/৩৯৬

বিষয় নং-০৮: কবর জিয়ারতে দোয়া প্রসঙ্গ/৩৯৮

বিষয় নং-০৯: ওলীগণ স্বীয় মাযারে  জীবিত থাকা/৪০৪


অষ্টম অধ্যায়: বিভিন্ন নফল ইবাদত প্রসঙ্গ


বিষয় নং-০১: রযব মাসের নামায ও রোযার ফযিলত/৪১৪

বিষয় নং-০২: পবিত্র মিরাজ শরীফ সম্পর্কিত আলোচনা/৪১৭

শবেই মি‘রাজের সঠিক তারিখ/৪১৭

পবিত্র শবেই মি‘রাজের নামায ও রোযা/৪১৯

বিষয় নং-০৩: কোরআন সুন্নাহের আলোকে পবিত্র শবেই বরাত/৪২৩

শবে বরাতের অর্থ ও তাৎপর্য/৪২৩

শবে বরাতের নামের সংখ্যা/৪২৪

লাইলাতুল বারাআত একটি সমীক্ষা পবিত্র কুরআনের আলোকে/৪২৫

পবিত্র শবে বরাত হাদিসের আলোকে/৪৩৪

১নং হাদিস পর্যালোচনা/৪৩৪

বাতিল পন্থীদের  আপত্তি ও নিষ্পত্তি/৪৩৫

উক্ত রাবীর দুর্বলতা কোথায়?/৪৩৭

এ হাদিসের বিষয়ে মুহাদ্দিসগণের সিদ্ধান্ত/৪৩৭

২নং হাদিস/৪৩৮

৩নং হাদিস/৪৪০

৪নং হাদিস/৪৪১

৫নং হাদিস/৪৪৫

৬ নং হাদিস/৪৪৭

৭নং হাদিস/৪৪৯

রাবী ইবনে লাহি‘আহ-এর বিষয়ে মুহাদ্দিসদের বক্তব্য/৪৫১

৮নং হাদিস/৪৫৪

৯নং হাদিস/৪৫৫

১০নং হাদিস/৪৫৮

১১ নং হাদিস/৪৬০

১২ নং হাদিস/৪৬৩

১৩ নং হাদিস/৪৬৪

মুহাদ্দিসীনে কেরাম ও ফকীহগণের দৃষ্টিতে শবে বরাত/৪৬৪

শাফেয়ী ফকীহদের অবস্থান/৪৬৬

হাম্বলী ফকীহদের অবস্থান/৪৬৭

মালেকী ফকীহদের অবস্থান/৪৬৮

বিষয় নং-০৪: তোমরা এমনভাবে যিক্র কর যাতে মানুষ তোমাদেরকে পাগল বলে/৪৬৮

বিষয় নং-০৫: যে ব্যক্তি রমাদ্বানের শেষ দশদিন ই‘তিকাফ করবে, সে দুটি হজ্জ ও উমরার সাওয়াব লাভ করবে/৪৭২

বিষয় নং-০৬: দোয়া হল ইবাদতের মগজ/৪৭৪

বিষয় নং-০৭: পাঁচ রাতের দোয়া ফিরত দেয়া হয় না/৪৭৪

বিষয় নং-০৮: যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত করলো তাঁর কলব মৃত্যুর পরও অমর/৪৭৮

বিষয় নং-০৯: জুম‘আর দিন ৮০ বার নির্দিষ্ট দুরূদ পড়া/৪৮২

বিষয় নং-১০: পিতামাতা বা বুযুর্গানে কিরামের হাতে পায়ে চুমু দেয়া/৪৮৪

মুহাদ্দিস ও ফুকহায়ে কিরামের দৃষ্টিতে কদমবুসি/৪৯৪

কদমবুছি সম্পর্কে ইমাম নববী (رحمة الله) এর ফাতওয়া/৪৯৫

আল্লামা শিহাবুদ্দিন খুফ্ফাজী (رحمة الله) এর ফাতওয়া/৪৯৫

বিষয় নং-১১: সূরা ইখলাস তিনবার পড়লে সম্পূর্ণ কোরআন পড়ার সাওয়াব/৪৯৬

বিষয় নং-১২: আগে সালাম তারপর কালাম/৪৯৯

বিষয় নং-১৩: আযানের দোয়ায় “শাফায়াতাহু” যোগে দোয়া পড়া/৫০৩

বিষয় নং-১৪: আযানের দোয়াতে ‘ওয়াদ দারাজাতার রা‘ফি‘য়াহ’ বলা/৫০৫

বিষয় নং-১৫: ফজরের আযানের জবাবে ‘ছাদ্দাক্বতা ওয়া বারারতা’ বলা প্রসঙ্গ/৫১৩

বিষয় নং-১৬: জুম‘আ হলো নিঃস্বদের জন্য হজ্জ/৫১৩

বিষয় নং-১৭: লাশ দাফনের পর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তালকীন করা/৫১৫

দাফনের পরে তলকীনের বিষয়ে ইমাম মণিষীদের অভিমত/৫১৯

ধোঁকাবাজ মুফতি থেকে সাবধান/৫২২

বিষয় নং-১৮: মাগরীবের পর আওয়াবিন নামাযের ফযিলত/৫২৩

বিষয় নং-১৯: কিয়ামতে ঐ ব্যক্তিই আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে যে আমার প্রতি বেশী দরূদ শরীফ পড়েছে/৫২৫

এ হাদিসের বিষয়ে মুহাদ্দিসদের বক্তব্য/৫২৮

এ বিষয়ক হযরত আবূ উমামা (رضي الله عنه)-এর হাদিস/৫২৯

বিষয় নং-২০: সালাতুল তাসবীহ নামাযের গ্রহণযোগ্যতা/৫৩১


নবম অধ্যায়: রাসূল (ﷺ)’র সৃষ্টি বিষয়ক আলোচনা


বিষয় নং-১: সূরা মায়েদার ১৫ নং আয়াত (قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُبِينٌ)-এর সঠিক ব্যাখ্যা এবং বাতিল পন্থীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব/৫৪০

বিষয় নং-০২: সর্বপ্রথম আল্লাহ তা‘য়ালা আমার নূর সৃষ্টি করেছেন/৫৬১

ধোঁকাবাজদের চিনে রাখুন!/৫৬৯

এ বিষয়ে ইমাম মুহাদ্দিসগণের অভিমত/৫৭১

এ বিষয়ে আহলে হাদিস ও দেওবন্দী আলেমদের অভিমত/৫৮২

বিষয় নং-০৩: সর্বপ্রথম কি কলম সৃষ্টি করা হয়েছিল?/৫৮৬

বিষয় নং-০৪: রাসূল (ﷺ) সর্বপ্রথম সৃষ্টি বিষয়ক হযরত জাবের (رضي الله عنه) এর হাদিস পর্যালোচনা/৫৮৯

এ হাদিস যারা বর্ণনা করেছেন/৫৯২

ইমাম আব্দুর রায্যাক (রহ.) কি শিয়া পন্থী ছিলেন?/৫৯৮

তাদের মিথ্যাচারের জবাব/৫৯৮

হাদিসের বাকী অংশ/৬০১

আহলে হাদিসদের প্রিয় নবীর হাদিস চুরির ইতিহাস/৬০৩

এক জামাত মুহাদ্দিসগণ মিথ্যাচার করলেন?/৬০৪

এ হাদিস বিষয়ে কি বলেছেন ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله)!/৬১০

বিষয় নং-০৫: হযরত আদম (আ.) এর সৃষ্টির চৌদ্দ হাজার বছর পূর্বে আমি আল্লাহর নিকট নূর হিসেবে বিদ্যমান ছিলাম/৬১১

বিষয় নং-০৬: রাসূল (ﷺ)-এর তারকা রূপ/৬১৬

বিষয় নং-০৭: আমি সৃষ্টিতে প্রথম, প্রেরণে সর্বশেষ/৬১৮

বিষয় নং-০৮: রাসূল (ﷺ) রওযা মোবারকের নূরানী মাটির সৃষ্টি হাদিসের পর্যালোচনা/৬২৪

বিষয় নং-০৯: আ‘লা হযরত (রহ.)-এর ফতোয়ায়ে আফ্রিকায় বর্ণিত একটি হাদিসের অপব্যাখ্যার জবাব/৬২৭

এক নজরে বিপরীতমুখি হাদিস সমূহ/৬৩৩

বিষয় নং-১০: সর্বপ্রথম কি আকল (বিবেক) সৃষ্টি করা হয়েছে!/৬৩৬ 


দশম অধ্যায়: রাসূল (ﷺ)’র রওযা মোবারক যিয়ারত


হাদিস নং-১: যে আমার রওযা যিয়ারত করবে তার জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব/৬৩৭

এ হাদিসের বিষয়ে বিভিন্ন ইমাম ও মুহাদ্দিসদের অভিমত/৬৪৩

ধোঁকাবাজদের চিনে রাখুন!/৬৪৭

হাদিস নং-২: যে ব্যক্তি আমার রওযা শরীফ যিয়ারত করবে কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য শাফায়াতকারী ও সাক্ষী হবো/৬৫১

হাদিস নং-৩: যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক আমার রওযা শরীফ জিয়ারত করবে, কিয়ামতের দিন সে আমার প্রতিবেশী হবে/৬৫৩

হাদিস নং-৪: যে ব্যক্তি অন্য কোন উদ্দেশ্য ছাড়া একমাত্র আমার রওযা শরীফ যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে আসবে কিয়ামতে তার জন্য আমি সুপারিশকারী হব/৬৫৫

হাদিস নং-৫: যে সাওয়াবের আশায় আমার রওজা যিয়ারত করবে আমি তার সাক্ষী ও সুপারিশকারী হবো/৬৫৮

হাদিস নং-৬: যে আমার ওফাতের পর হজ্জ করতে এসে আমার রওজা যিয়ারত করলো.../৬৬০

হাদিস নং-৭: যে হজ্জ করতে এসে আমার রওজা যিয়ারত করলো সে যেন আমার জাহেরী হায়াতেই যিয়ারত করলো/৬৬৪

বাস্তবে কী রাবী ‘আয়েশা বিনতে ইউনূস’ কি অপরিচিত?/৬৬৫

হাদিস নং-৮: যে আমার ওফাতের পর রওজা যিয়ারত করলো সে যেন আমি নবীর সাথে জাহেরী হায়াতের ন্যায়ই যিয়ারত করলো/৬৬৭


একাদশ অধ্যায়: পোষাক-পরিচ্ছেদ প্রসঙ্গ


বিষয় নং-১: রাসূল (ﷺ) কি পাঁচ কুল্লি টুপি পড়েছিলেন?/৬৭১

বিষয় নং-২: রাসূল (ﷺ) সাদা টুপি পড়া প্রসঙ্গ/৬৭২

সাদা টুপির পড়ার বিষয়ে সাহাবায়ে কিরামদের আমল/৬৭৮

এ বিষয়ে তাবেয়ীদের আমল/৬৭৯


দ্বাদশ অধ্যায়: বিবিধ


বিষয় নং-০১: মসজিদে দুনিয়াবী কথাবার্তা বললে, চলি­শ বছরের

নেক আমল বরবাদ/৬৮১

বিষয় নং-০২: ক্বাদারীয়া ও মুর্জিয়া ফেরকা সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণীর হাদিস/৬৮৪

বিষয় নং-০৩: যে কাজ মুসলমানগণ ভাল মনে করে তা আল্লাহর নিকট ভাল/৬৯২

বিষয় নং-০৪: যে মুসলমানকে কষ্ট দিল সে যেন আমাকে কষ্ট দিল/৬৯৫

বিষয় নং-০৫: দুনিয়ার ভালবাসা সকল পাপের মূল/৬৯৬

বিষয় নং-০৬: তিনটি কারণে আরবীকে ভালবাসবে/৬৯৭

বিষয় নং-০৭: গীবত যেনার চেয়েও জঘন্য পাপ/৭০১

বিষয় নং-০৮: যে বস্তকে যে ভালবাসে, তাকে সে অধিক স্মরণ করে/৭০৩

বিষয় নং-০৯: কৃপন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না/৭০৫

বিষয় নং-১০: তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে মানুষের উপকার করে/৭০৭

বিষয় নং-১১: দাঁড়ির এক মুষ্টির অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলা/৭০৮

বিষয় নং-১২: কারও সম্মানে না দাঁড়ানো বিষয়ক হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা/৭১১

বিষয় নং-১৩: ইকামত প্রক্কালে সালাতের জন্য উঠার সময়/৭১৯

বিষয় নং-১৪: জানাযা শেষে লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় কালিমা পড়া/৭২২

বিষয় নং-১৫: নূরের সমূদ্রে ফিরিশতাগণের সৃষ্টি/৭২৭

প্রমাণপঞ্জি/৭২৬-৭৩৬


প্রথম সংস্করণের ভূমিকা


اَلْحَمُد لِله وَكَفَى وَالصَّلٰوةُ والسَّلاَمُ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِيْنَ اَصْطَفٰى خُضُوْصًا عَلَى سَيِّدِنَا وَحَبِيْبِنَا وَشَفِيْعِنَا مُحَمَّدِنِ الْمُصْطَفٰى وَعَلَى اٰلِهِ وَاَصْحَابِهِ اُوْلِى الصِّدْقِ وَالصَّفَا فَاعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطٰنِ الرَّجِيْمِ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْمِ


আল্লাহ্ পাকের অমিয়বাণী মহাগ্রন্থ কুরআনুল কারীম মানবজাতির একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সংবিধান। এ রকম পরিপূর্ণ কোন গ্রন্থ পৃথিবীতে আর নেই। এইগ্রন্থের প্রতিটি কথা অত্যন্ত মুল্যবান ও অতিব মর্যাদা সম্পন্ন। মহান রবের নৈকট্য অর্জনের জন্য কুরআনের উপর আমল খুবই জরুরি। মনে রাখতে হবে,  কোরআন পুর্ণাঙ্গ বিধান হওয়া সত্তে¡ও তা সাধারণ ভাবে বুঝা একেবারে সহজ নয়। কেননা কিতাবুল্লাতে এমন কিছু আয়াতে কারিমা রয়েছে, যার অর্থ অস্পষ্ট। সেসব জটিলতা নিরসনের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের প্রিয়তম বন্ধু রাসূল(ﷺ)'র হাদিসের গুরুত্ব অপরিসীম। সহজ কথায়, কুরআন অনুধাবন করে বাস্তব জীবনে তাঁর প্রতিফলনের জন্য একমাত্র অবলম্বন পবিত্র হাদিসে নববী । 

প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা(ﷺ)'র পুষ্পঝরা হাদিসগুলো মূলত আল্লাহর মর্যাদা সম্পন্ন কালামের অংশবিশেষ। এ ব্যাপারে খোদ আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করছেন,  وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى (এবং তিনি কোন কথা নিজ প্রবৃত্তি থেকে বলেন না)।

সূরা নাজম শরীফের দুই নাম্বার আয়াতে কারিমার শাব্দিক অর্থই সুস্পষ্ট প্রমাণ করে,  নবিজি(ﷺ)'র কথামালা,  আচার আচরণ সবকিছু আল্লাহর মর্যাদাপূর্ণ নির্দেশনা। তাঁর কথামালা মহান প্রভুর কথামালা। হুযূর  নিজ থেকে কোনো কথা বলেননি,  এটার জলন্ত স্বাক্ষী কুরআনের এই আয়াতে মুকাদ্দাসা।

মহানবী(ﷺ)'র সকল ধরনের আচরণ বিধিকে ধারণ করার জন্য, তাঁর নিষিদ্ধ সবকিছু থেকে বিরত থাকতে খোদ রব তা’য়ালা আদেশ করেছেন। মহাগ্রন্থ কুরআনুল কারিমে সূরা হাশরের ৭ নাম্বার আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে-

وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا

-‘‘এবং রাসূল তোমাদেরকে যা কিছু দানকরেন তা তোমরা গ্রহণ কর; আর যা থেকে নিষেধ করেন তা তোমরা বর্জন করো।’’

উল্লেখিত আয়াত প্রমাণ করে রাসূলে মাকবুল(ﷺ)'র আদেশ নিষেধ মান্য করা প্রত্যেক বান্দার জন্য ফরজ। কুরআনের পরপর যে হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা তা এই আয়াত স্পষ্ট করে দেয়। অন্যত্রে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ

-‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ ও রাসূলের আনুগত্য করো।’’

সূরা নিসার ৫৯ নাম্বার আয়াতে মুকাদ্দাসার এই অনুবাদও প্রমাণ করে আল্লাহর পরে রাসূল(ﷺ)'র অনুসরণ বা আনুগত্য। আনুগত্য করতে হলে নির্ঘাত হাদিসেপাকের উপর আমল অপরিহার্য। হাদিস শরিফ বাদ দিয়ে হুযূরের অনুকরণ কিছুতেই সম্ভব নয়। কেবল হাদিসেপাকের উপর নিরেট আমলের মাধ্যমে তা সম্ভব।

যারা হাদিসের অনুসরণের মাধ্যমে নবীজি(ﷺ)'র আনুগত্য করবে প্রকৃত পক্ষে তারা আল্লাহরই আনুগত্য করলো, এমর্মে সূরা নিসার ৮০ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত হচ্ছে-

مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ

-‘‘যে রাসূলের আনুগত্য করলো,  যেন সে আল্লাহর আনুগত্য করলো।’’

উল্লেখিত আয়াত ছাড়া কুরআনের অসংখ্য স্থানে রাসূলে কারিম রাউফুর রাহিম(ﷺ)'র আনুগত্যের কথা বর্ণিত হয়েছে। এসব মূলত হাদিসেপাকের সম্মান ও শৌকর্ষ প্রমাণ করে।

আয়াতগুলির বাস্তবতার নিরিখে যখন আল্লাহর পূণ্যবান বান্দারা দিনদিন ধাবিত হয়ে মহান রবের মহিমায় নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাভরা ভক্তি নিয়ে স্বর্গমুখি হচ্ছিলো; ঠিক তখন থেকে শয়তানের অনুচররা হাদিসে রাসূলের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্রের সুচনা করলো। সেসব নরকের কীটরা মনগড়া কথা সাজিয়ে নবিজি(ﷺ)'র হাদিস আখ্যাদিয়ে চালিয়ে দিতো বহুযুগ আগ থেকে।

পরবর্তীতে অসংখ্য হযরতে বুযর্গানেদ্বীনদের গবেষণার বদান্যতায় তারা আটকে পড়ে ভ্রান্তির বেড়াজালে। এবার শুরু হলো তাদের নবপ্ররোচনা, যেখানে নবীজি(ﷺ)'র শান ও মর্যাদা সম্পর্কিত হাদিস দেখতো, সেটাকেই তারা বানোয়াট বা জাল বলে অহেতুক বিভ্রান্ত ছড়াতো। এসব বিষয় নিয়ে পূর্ববর্তী হাদিস বিশারদ ওলামায়ে কেরাম অসংখ্য কিতাবাদি রচনা করেছিলেন। তবুও তাদের তৎপরতা থামেনি মোটেই। তারা যুগেযুগে স্বীয় নাম বদলিয়ে শয়তানের সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে তার সে খেদমত আঞ্জাম দিতো। তাদের সেই অপতৎপরতা এখনো থামেনি। আজকাল লাইব্রেরির তাকগুলি সাজানো তাদের লিখিত ছোটবড় পঁচা সব বই দিয়ে। এসমস্ত পুস্তক সমূহ অধ্যায়ন করে প্রতারিত হচ্ছে সরলমনা মানুষগুলো।

যারা হাদিসের নামে জালিয়াতি করে, যারা সহীহ হাদিসগুলোকে জাল বা বানোয়াট আখ্যায়িত করে মানুষকে ধোঁকা দেয় তাদের জন্য রচিত আমার এই কিতাব। মনেরাখা দরকার! রাসূল(ﷺ)'র নাম ব্যবহার করে হাদিস বানানো যেমন চরম মিথ্যাচার, হুযূরের সহীহ হাদিসগুলিকে জাল বা বানোয়াট বলে প্রচার করাও আরেক জঘন্য মিথ্যাচার। বুখারী ও মুসলিম শরিফ সহ অসংখ্য হাদিসের কিতাবে বর্ণিত আছে; রাসূল কারিম  ইরশাদ করছেন-

مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ

-‘‘যে আমার উপর মিথ্যারোপ করে সে যেন স্বীয় ঠিকানা জাহান্নামে খুঁজে নেয়।’’ (সহীহ বুখারী,  ২/৮০ পৃ. হা/১২৯১,  সুনানে ইবনে মাযাহ,  হা/৩০,  হা/৩২)

এই গ্রন্থ রচনার পেছনে অনেক কারণ নিহিত রয়েছে। তম্মমধ্যে একটি কারণ এই, একদিন রাসূল(ﷺ)'র মহত্ব ও আভিজাত্য নিয়ে কথা বলতে বলতে একজন সাধারণ মানুষের সাথে আমার তর্ক লেগে যাই। নবিজী(ﷺ)'র সৃষ্টি নূর নাকি মাটি দ্বারা এই বিষয়ে। আমি অনেক বুঝিয়ে বললাম, কোরআন হাদিস ইজমা কিয়াস দ্বারাতো প্রমাণিত, হুযূর  নূরের সৃষ্টি। এক পর্যায়ে যখন হযরত জাবের (رضي الله عنه)’র নূরের বরকতময় হাদিসটি উপস্থাপন করলাম, ভদ্রলোক ভ্র“কুচকে বিজ্ঞলোকের মতো বললো, এটিতো জাল হাদিস! আমি বললাম,  আপনি একজন সাধারণ মানুষ হাদিসের জাল ভেজাল নিয়ে আপনি কী বুঝবেন। বললো, হ্যাঁ, তার প্রমাণ আছে আমার নিকট। সে আমাকে একটি গ্রন্থের তথ্যদেয়; বইটি মাওলানা মুতীউর রহমান বিরচিত আবদুল মালেক সম্পাদিত,  ‘প্রচলিত জাল হাদিস’ (সাবেক নাম এখন এটির নাম রেখেছে ‘এসব হাদীস নয়’)।

পরে অনুসন্ধান করে এরকম অসংখ্য বই আমি পেয়েছি, যেগুলি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চরম কৌশলমাত্র। বইগুলিতে যা দেখলাম, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সমস্ত আক্বিদা ও আমল বিষয়ক হাদিসকেগুলিকে তারা জাল বা বানোয়াট বলে জঘন্য মিথ্যাচার করেছে।

নামলাম এবার গবেষণায়। দেখি! সুন্নিদের সকল আকিদা আমলের হাদিসগুলির পক্ষে অসংখ্য সহীহ বর্ণনা রয়েছে। কয়েকজন সম্মানিত শিক্ষাগুরুদের বিনয়ে বললাম, এসব মিথ্যাচারের জবাব লিখার জন্য। তাঁরা স্বস্ব ব্যস্ততা দেখিয়ে আমার জন্য দোয়া করলেন। সেই মহিমান্বিত দোয়ার বদন্যতায় আমার কাঁচা হাতে কলম ধরি। আল্লাহর মেহেরবানি ও মদিনা ওয়ালা রাসূল(ﷺ)'র ফয়েজ বরকতে আমি সকল হাদিস চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হই।

প্রত্যেকটা হাদিসের উপর গবেষণালব্ধ প্রথমদিকের লিখাগুলি নিরক্ষণ করে যাঁর চরণে তলে আমাকে ঠাঁই দিয়েছেন, আমার পরম শিক্ষাগুরু, লক্ষ লক্ষ আলেমদের বরেণ্য শিক্ষক,  চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার প্রাক্তন শায়খুল হাদিস, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা শাহসুফি মুহাম্মদ আবদুল হক নকশেবন্দী (رحمة الله)। গ্রন্থাকারে রূপদেয়ার পর বইজুড়ে অনুপম নজর দিয়ে আমাকে চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করে রেখেছেন, জামানার মুফতিয়ে আযম, আমার পরম শ্রদ্ধেয় উস্তাদ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি আবদুল ওয়াজেদ আল কাদেরী ও আল্লামা মুফতি আলী আকবর (মা. জি. আ)। গ্রন্থের বাংলা বানানাসহ সবক্ষেত্রে যার অবদান আমাকে কৃতার্থ করেছে, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল আজিজ রজভী। এছাড়াও আরো অনেকে ভিন্নভিন্ন আঙ্গিকে কেউবা বইটিপড়ে চমৎকার অভিমত ব্যক্তকরে কিতাবের গ্রহণ যোগ্যতা বৃদ্ধিরলক্ষ্যে আমার জন্য সহায়তার হাত প্রসারিত করেছেন,  আমি সেসব মহান ব্যক্তিদের নিকটও চিরকৃতজ্ঞ।

প্রিয়পাঠক! আমার রচিত এই কিতাবের নাম দিয়েছি ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন (১ম খণ্ড)’। গ্রন্থটিতে আমি ভিন্নমতাবলম্বিদের অনেক বইয়ে দৃষ্টি গোচর হওয়া বিষয়ের একেক করে জবাব দেয়ার অসম্ভব চেষ্টা করেছি। বিশেষকরে সাম্প্রতিক ব্যাপকহারে গজিয়ে উঠা তথাকথিত আহলে হাদিস ফেরকার ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানীর কিছু পুস্তকে রচিত আপত্তিকর উক্তির যথাযত উত্তর প্রদান করেছি। এছাড়া আহলে হাদিস তথা লা-মাযহাবি সহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ব্যতিত সমস্ত বাতিলদের সাথে আমাদের যেসব আকিদা নিয়ে দ্ব›দ্ব, সেসকল বিষয় নিয়ে গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তৃতীয় খণ্ডে প্রসিদ্ধ হাদিসের গ্রন্থ ‘মিশকাতুল মাসাবীহ’ এ বর্ণিত অনেক সহীহ হাসান হাদিসকে আহলে হাদিসদের জাল বলার খণ্ডন তুলে ধরা হবে। ইনশাআল্লাহ!

গ্রন্থটি রচনাকরে আমি কারো ব্যক্তিগত মানহানি অথবা শুধুমাত্র কারো বাস্তব স্বরূপ উন্মোচন করা মূখ্য উদ্দেশ্য নয়। সমাজ থেকে হারিয়ে যাওয়া বাস্তব আর নিরেট সব সত্যতার ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করাই আমার মূল লক্ষ্য।

বিনিত আরজ থাকবে,  সম্মানিত পাঠক মহলের নিকট, কেবল দোষ অন্বেষণের উদ্দেশ্যে নয় নবিজির প্রতি হৃদয়ভরা সত্যিকার অনুরাগ নিয়ে কিতাবটি অধ্যয়ন করুন; আপনার অন্তর্চক্ষু খোলে যাবে,  ইনশা আল্লাহ! সফল হবে অধমের শ্রম। পাথেয় হবে পরকালীন মুক্তির।

এ গ্রন্থে আনুমানিক একহাজার কিতাবের রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। সে সকল গূরুত্বপূর্ণ কিতাবের একটি তালিকা গ্রন্থের শেষতকে বিজ্ঞপাঠক মহলের সুবিধার্থে দেয়া হয়েছে। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ! কোন ভুয়া তথ্য এখানে নেই। প্রায়সব কিতাব আমার ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে সংগ্রহ আছে। গোচরে যা নেই,  তা আমি জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার এবং মাওলানা মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীর বিখ্যাত গ্রন্থাগার থেকে নিজেই সংগ্রহ করেছি। জামেয়ার প্রসিদ্ধ বইঘরে যা পাইনি সে ক্ষেত্রে মাকতাবায়ে শামেলার সহায়তা অবশ্যয় নিয়েছি। তবু যদি কোন ক্ষেত্রে তথ্যপঞ্জি বিষয়ক কোন ত্র“টি কারো নজরে পড়ে,  তাহলে বুঝবেন এটা অনিচ্ছাকৃত। তার সঠিক তথ্য যদি আপনার সংগ্রহে থাকে,  আমার ই-মেইল ঠিকানায় জানিয়ে বাধিত করবেন। মহাপ্রলয়দিনে তার উত্তম প্রতিদান আপনি পাবেন।

দীর্ঘ আড়াই বছর যাবত এই কিতাবের পেছনে কঠোর শ্রম দেয়ার পরও ভাষাগত ত্র“টির কারণে বইটি বাজারজাত করণের ক্ষেত্রে আমি বারবার হিমসিম খেয়েছি। তবু ভাষাগত বহুভুল থাকতেই পারে, সবকিছু দেখে পাঠকদের নিপুন পরামর্শের ভিত্তিতে আগামি সংস্করণে নির্ভুলভাবে কিতাবটি প্রকাশ করার প্রবল বাসনাও রাখলাম মনে। হে খোদা দয়াময়! তুমি রহম করো আমাদের প্রতি, ক্ষমা করো সকল মার্জনা। আমিন বিহুরমাতি সৈয়্যদিল মুরসালিন !




অধম রচয়িতা

                                মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর



দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা:


আল্লাহ তা’য়ালার মহান দরবারে অসংখ্য কৃতজ্ঞতাসহ সিজদা আদায়ের পর, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম উপঢৌকন মহানাবি হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)’র পুণ্যময় চরণে লক্ষ কোটি দরুদ ও সালামের হাদিয়া পেশ করছি।

আলহামদুলিল্লাহ! আমার এ কিতাবটি প্রকাশের পর পাঠক সমাজে বেশ সাড়া জাগিয়েছে এবং বাতিল প্রাচীরে এটাম বোমের ন্যায় আক্রমন করছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে আমার কাছে সংবাদ এসেছে।

বিশেষত: গ্রন্থটি প্রকাশের পর দেওবন্দী ধর্মের প্রবর্তক মুহাম্মদ বিন আবদুল ওহহাব নাজদীর দালাল ‘মাসিক আলকাউসার’ নামক একটি পত্রিকায় মার্চ ২০১৬ ইং সংখ্যায় গ্রন্থে বর্ণিত তথ্যবিভিত্তক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ের বিরোদ্ধে ৭-৮ পৃষ্ঠার একটি পর্যালোচনাও তুলে ধরেছে। পরে লিখাটি তার তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত ‘এসব হাদীস নয়’ গ্রন্থের ২১৫-২৩৯ পৃষ্ঠায়ও সংযোজন করেছে।

উক্ত সমালোচনার সংক্ষিপ্ত জবাবও আমি এইগ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথমদিকে উল্লেখ করেছিলাম। যেসব বিষয়ের উপর তাদের আপত্তি ছিলো, সেসব বিষয়ের বিস্তারিত দালিলিক  খণ্ডনগুলো আবার এখানে সংযোগ করেছি।

এ গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের অন্যতম কারণ এটিও যে, প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হওয়ার পর আরো বেশ কিছু বাতিল সম্প্রদায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ধোঁকাবাজির অন্যান্য পন্থা হিসেবে কেউ কেউ তাদের মিথ্যে-বানোয়াট দলিলে ভরপুর বইয়ের নামও পরিবর্তন করে ফেলছে। যেমন- মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেকের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত ‘প্রচলিত জাল হাদীস’ গ্রন্থের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দিয়েছে ‘এসব হাদীস নয়’। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর ‘হাদীসের নামে জালিয়াতি’ গ্রন্থের ৫ম সংস্করণ ‘আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স’ থেকে প্রকাশ করে প্রায় পৃষ্ঠার নাম্বারগুলো এলোমেলো করে দেয়। যাতে মানুষ আমার বই পড়ে তাদের উল্লেখিত মিথ্যাচারগুলো বুঝতে সক্ষম না হয়। এমনকি তাদের গ্রন্থ হতে পূর্বের অনেক আপত্তিকর বক্তব্য তারা কৌশলে সরিয়ে ফেলেছে। তাদের এ ধোঁকাবাজির চিত্রও আমি এ সংস্করণের বিভিন্ন স্থানে তুলে ধরেছি।

এ গ্রন্থে কয়েকটি নতুন বিষয় সংযোজন ছাড়া, তেমন কোনো নতুন বিষয় সংযোজন করা প্রয়োজন হয়নি। তবে প্রত্যেক বিষয়ের সপক্ষে যে দলিল উপস্থাপন করা হয়েছে তার নির্ভরযোগ্যতা এবং প্রত্যেকটি হাদিসের সনদ বিশ্লেষণ প্রথম সংস্করণ থেকেও বেশি করা হয়েছে। আহলে হাদিসসহ যেসমস্ত বাতিলপন্থীগণ হাদিসের যে রাবীকে ওসিলা করে হাদিসের সনদ ‘যঈফ-জাল’ প্রমাণের সুযোগ নিয়েছে, আসমাউর রিজালের আলোকে তার যথাযথ জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি। 

সকলের দোয়ায় এ গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে। আপনাদের দোয়া অব্যহত থাকলে অচিরেই প্রকাশিত হবে গ্রন্থের ৩য় খণ্ড।


অধম:

মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর


স ম্পা দ কী য় 


আল্লাহ্ তা’য়ালার মহান দরবারে নতশিরে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে,  অগণিত দরূদ ও সালাম জানাই নবি আকরাম (ﷺ)’র জ্যোতির্ময় চরণযুগলে। সমস্ত আহলে বাইয়েতে রাসূল (ﷺ) ও সাহাবায়ে কিরাম, মুজতাহিদ ইমাম, মুহাদ্দিসীন, সুফিয়ায়েকেরাম এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মাশায়েখগণের প্রতিও প্রেরণ করছি দরূদ সালামের নাযরানা।

প্রিয়পাঠকবন্দ! মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য ঈমানদারের লেবাস নিয়ে তথাকথিত কিছু আলেম প্রিয়তম রাসূল (ﷺ) ও আল্লাহর প্রিয়ভাজন আউলিয়াকেরামগণের মর্যাদাকে হেয়প্রতিপন্ন করার মানসে বিভিন্নভাবে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানছে সর্বদা। মনে রাখবেন, তারা আদৌ মুসলমান নয়; শয়তানের অনুচর; মুসলমানদের চিরশত্র“ ইহুদিদের দুসর; এজিদের উত্তরসূরী।

সে নরাধমগণ কিছু বইপুস্তক রচনা করে সাধারণ পাঠকমহলকে প্রতারিত করছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে, আহলে হাদিসদের তথাকথিত ইমাম নাসীরুদ্দীন আলবানীর ‘সিলসিলাতুল আহাদিসিদ দ্বঈফাহ’, ড. খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীরের ‘হাদীসের নামে জালিয়াতি’,  মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেকের ‘এসব হাদীস নয়’, মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর সম্পাদিত ‘প্রচলিত জাল হাদীস’ এসব পঁচাপুস্তকগুলি সমাজে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে প্রবলবেগে। সেসব পুস্তকগুলির জবাব অনেক আগ থেকে লিখার কথা ভাবছিলাম। সময়ের স্বল্পতা ও কাজের ব্যস্ততার দরুন যথাসময়ে লিখতে পারিনি।

স্নেহের ছাত্র মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুরকে লিখার জন্যে উদ্দিপনা যোগিয়ে ছিলাম। কৃতজ্ঞ মহান রবদ্বারে ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ নামে অনেক গবেষণালব্ধ একটি অনবদ্য গ্রন্থ রচনা করে মাওলানা শহিদুল্লাহ বাহাদুর আমাদের হাতে অর্পণ করে।

আশা করি, বইটি পড়ে বিজ্ঞপাঠক মহল সহজে অবগত হবেন জগতে কারা মিথ্যাবাদী, সেই সাথে নতুন করে আবারো জানবেন, সুন্নিদের যাবতিয় আমল কুরআন সুন্নাহ ইজমা ও কিয়াস ফিক্হ ভিত্তিক। শরিয়ত অসমর্থিত কোন আমল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদায় নেই। আরো জানবেন, গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে। আমি লেখকের কাছ থেকে এমন সুন্দর খেদমত এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। 

আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ


সার্বিক তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনাকারীর বাণী


নাহমাদুহু ওয়ানুছাল্লী ওয়া নুছালি­মু আ‘লা রাসূলিহিল কারীম। আম্মা বা‘দ সমস্ত প্রশংসা ঐ মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের যিনি তাঁর প্রিয় হাবীব (ﷺ) কে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান ও মর্যাদা দান করেছেন। অসংখ্য দরুদ ও সালাম সে মহান রাসূল (ﷺ)‘র উপর যার মুহাব্বত বা ভালবাসা ঈমানের মূল।

রাসূলে কারীম (ﷺ) সৃষ্টি না হলে আল্লাহ্ তা‘য়ালা কিছুই সৃষ্টি করতেন না। আল্লাহ্ তাঁর বন্ধুর ভালবাসাই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি শুধু তাঁর হাবীব (ﷺ) কে ভালবেসেই ক্ষান্ত হননি বরং আমাদেরকেও হুকুম করেছেন তাঁর বন্ধুকে ভালবাসতে। আর রাসূল (ﷺ)‘র ভালবাসার অন্যতম নিদর্শন হলো তাঁর হাদিস সমূহকে সম্মান করা এবং সে অনুযায়ী আমল করে নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা। রাসূল (ﷺ)‘র বাণী সবগুলো একই মর্যাদার। কিন্তু রাবী বা বর্ণনাকারীদের কারণে তার মধ্যে কোনটিই সবল আবার কোনটিই দুর্বল হিসেবে গন্য হয়। কোন হাদিসের সনদের মধ্যে কোন রুপ দুর্বলতা পাওয়া গেলই তা মওদ্বু বা জাল হাদিস হয়ে যায় না। দুর্বল হাদীস আর জাল হাদিস এ দু‘টি এক কথা নয়। এ দু‘টির মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। কিন্তু বড় পরিতাপের বিষয় বর্তমানে এমন কিছু কথিত আলেমের আর্ভিভাব হয়েছে,  যারা তাদের আক্বিদা ও আমলের বিরোধী কোন হাদিস পেলেই তাকে মওদ্বু বা জাল হাদিস বানানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘প্রচলিত জাল হাদিস,  এসব হাদীস নয়, ‘হাদীসের নামে জালিয়াতি’ ইত্যাদি নামে কিছু বই বাজারে বের হয়। যা দ্বারা সাধারণ ব্যক্তিবর্গ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যায়। এ বিভ্রান্তি থেকে সর্বসাধারণের মুক্তি দিয়ে তাদের নিকট সঠিক বিষয়টি তুলে ধরার জন্য আমার স্নেহের ছাত্র মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর ঐ ধরনের কিছু বই আমার নিকট নিয়ে আসে। আমি ঐ বইগুলোতে দেখতে পেলাম আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের স্বীকৃত অনেক আক্বিদা ও আমলের ব্যাপারে দলিল হিসেবে ব্যবহৃত  হাদিস সমূহকে জাল বা বানোয়াট হাদিস হিসেবে প্রমাণ করার জন্য অনেক অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করেছে। তখন আমি তাকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সংগ্রহ করার জন্য নির্দেশ করি। অতঃপর সে অনেক পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার করে ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানের স্বরূপ উন্মোচন’’(১ম খণ্ড) নামে এ বিষয়ে একটি পান্ডলিপি তৈরী করে। তারপর এটি কম্পিউটার কম্পোজ করে তার কপিগুলো আমাকে দেয় যেন আমি ঐ কপিগুলো দেখে ভুলক্রটি গুলো সংশোধন করে দেই। সে নতুন লেখক এবং বড়কলবরে এ কিতাবটি তার প্রথম রচনা সে কারণে এর মধ্যে ভাষাগত তরজমাগত ও সাজানোর দিক দিয়ে কিছু ভুল ক্রটি আমার নজরে পড়ে, আমিও সেগুলো সংশোধন করে দেয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু কম্পিউটারের মাধ্যমে তার কতটুকু সংশোধন করা হয়েছে তা সময় সল্পতার কারণে পুনরায় আমার দেখার সুযোগ হয়নি। সে কারণে হয়তো কিছু ভুলক্রটি থাকা স্বাভাবিক। তা আগামী সংস্করণে সংশোধন করে দিবো। ইনশাআল্লাহ! 

একজন ব্যক্তিও যদি এ কিতাবটি পড়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে সে অনুযায়ী আমল করেন তাহলে আমি মনে করবো আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস স্বার্থক হয়েছে। আল্লাহ্ পাক আগামীতে লেখককে আরো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর আক্বীদা ভিত্তিক সুন্দর সুন্দর কিতাব রচনা করার তৌফিক দান করুন।


মুফতি মুহাম্মদ আলী আকবর 


অভিমত


চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার অধ্যক্ষ ও প্রধান ফকিহ, মাসিক তরজুমান এর প্রশ্নোত্তর বিভাগের সম্মানিত উত্তরপ্রদানকারি মুনাজেরে আহলে সুন্নাত, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আলকাদেরী মা.জি.আ)’র অভিমত

নাহমাদুহু ওয়ানুসালি­ আলা রাসুলিহিল কারিম। আম্মাবাদ!

আল্লাহর মনোনিত ধর্ম ইসলামের সঠিক অনুসারিদের বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের অনুচররা পৃথিবী সূচনার পর থেকে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আল্লাহর নামে মিথ্যাচার,  রাসূলের সাথে দুশমনি,  মহান রবের প্রিয়ভাজন ওলিদের বিরোদ্ধে বিদ্বেষ যেন তাদের নিত্যকর্ম।

আগেকার দিনে সেসব নরাধমদের চেনা যেতো খুব সহজে, এখন চেনা যায় না। তাদের রূপ বদলে গেছে নিরলে। তারা দ্বীনের চমৎকার আকৃতি নিয়ে মুখে নিকাশকালো ঘোমটা পড়ে সমগ্রবিশ্বের সরলমনা মুসলমানদের বিভিন্নভাবে ধোঁকা দিচ্ছে। ফলে তাদের প্রতারণা বুঝতে অক্ষম হয়ে, গোটা দুনিয়ার প্রায়সব মানুষ আজ প্রতারিত।

সাম্প্রতিক তারা ইসলামের সঠিক আক্বিদাগুলিকে ভুল প্রমাণিত করার অভিনব পদ্ধতি হিসাবে,  ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের ‘হাদীসের নামে জালিয়াতি’,  মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর ‘প্রচলিত জাল হাদীস’, মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেকের ‘এসব হাদীস নয়’ এবং আহলে হাদিস আলবানীর ‘সিলসিলাতুল আহাদিসিদি দ্বঈফাহ’ নামকগ্রন্থ সমূহে ইসলামের সঠিক আক্বিদার পক্ষে যেসব গ্রহণযোগ্য হাদিসরয়েছে,  সবগুলিকে তারা জাল হাদিস বলে জঘণ্য মিথ্যাচার  করছে।

আমার স্নেহের ছাত্র মাওলানা শহিদুল্লাহ বাহাদুর তাদের সেসব মিথ্যাচারের দাঁতভাঙা জবাব প্রদান করেছে তার রচিত ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ গ্রন্থটিতে।

যারা আল্লাহ,  রাসূল ও ওলিদের বিরোদ্ধে চরম লিখনির মাধ্যমে জঘণ্য মিথ্যাচার করে এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, সে সমস্ত মিথ্যাবাদী! নরকের কীট! নামধারী লিখকদের স্বরুপ জাতির সম্মুখে গ্রন্থটি প্রকাশের মাধ্যমে যথাযত উন্মোচন হবে,  ইনশা আল্লাহ!

আমার জানামতে, এই কিতাবটি মানানসয়ী ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য লিখক শহিদের ঘামঝরা চেষ্টার কোন ত্র“টি ছিলো না। ইলমে হাদিসের উপর গবেষণা ব্যতিত চুলছেড়া বিশ্লেষণ মূলক এরকম অনবদ্য গ্রন্থ রচনা করা কোনদিন সম্ভব না।

গ্রন্থের পাতায়পাতায় দুরাচারদের চরম আপত্তির কুরআন,  হাদিস,  ইজমা ও কিয়াস ভিত্তিক মনোমুগ্ধকর সমাধান দিয়েছে। কোন কিতাব থেকে নেয়া কোন বর্ণনা, সে তথ্যপঞ্জি পৃষ্ঠা নাম্বার সহকারে উল্লেখ করেছে; যা বর্তমান সচেতন পাঠক মহলকে বেশ ফায়দা দিবে।

আমি মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুরের জন্য হৃদয় খুলে দোয়া ও গ্রন্থটির প্রচার প্রসারের ব্যপকতা কামনা করছি আল্লাহপাকের মহান দরবারে।

 

সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান

  


অভিমত


ঢাকা মুহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়বিয়া আলিয়া ও চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার সম্মানিত শায়খুল হাদিস,  উস্তাজুল ওলামা হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হক নকশবন্দি (মা. জি. আ)’র অভিমত

আমার স্নেহধন্য ছাত্র মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুরের রচিত ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ (১ম খণ্ড) গ্রন্থটি আমি দেখেছি। অনেক হাদিস সনদের তাত্তি¡ক বিশ্লেষণে আমি তাকে সাহায্যও করেছি। তার এই কিতাবটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময় উপযোগি এক অনবদ্য রচনা সম্ভার। বর্তমান লাইব্রেরীতে যেসব বিভ্রান্তকর পুস্তক রয়েছে এবং যেসকল বইপুস্তকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যাবতীয় আক্বিদার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে সেসব বিষয়ের যথাযত জওয়াব প্রদান করা হয়েছে উক্ত গ্রন্থটিতে। শুনেছি গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডও শিঘ্রই বের হবে,  তার জন্য শুভকামনা রইল। আমি মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুরের জন্য দোয়ার পাশাপাশি তার গ্রন্থের সফল প্রচারণা কামনা করছি। 


মুহাম্মদ আবদুল হক নকশবন্দি





অভিমত


চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার সম্মানিত (সাবেক) অধ্যক্ষ, উস্তাজুল ওলামা  হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ ছগীর ওসমানী (মা.জি.আ)’র অভিমত

আল্লাহ্ তা’য়ালার মহান দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি, অসংখ্য দরূদ ও সালাম জানাই মানবতার মুক্তির দূত নবি রাহমাতুলি­ল আলামিন (ﷺ)’র জ্যোতির্ময় চরণে।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সকল আক্বিদা কুরআন সুন্নাহ ইজমা ও কিয়াস ভিত্তিক। যা পূর্ণাঙ্গ শরিয়ত সমর্থিত। সাম্প্রতিক সুন্নিয়তের সেসব প্রমাণিত আকায়েদের উপর মিথ্যা অপবাদ বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। তথাকথিত সালাফি,  মওদুদি, ওহাবি এবং আহলে হাদিসের জঘন্য ইমাম আলবানী ও তার প্রেতাতœারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে লিখনির মাধ্যমে ইলমে হাদিসের উপর চরম মিথ্যাচার করে বই লিখে বাজারজাত করেছে। এ রকম কিছু আপত্তিকর গ্রন্থের যথাযথ জবাব প্রদান করে আমাদের স্নেহের ছাত্র মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর।

তার গ্রন্থের নাম দেয়া হয়েছে ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’(১ম খণ্ড) একফাঁকে বইটিতে আমি চোখ বুলিয়েছি। এখানে বানানো কোন গল্প-গুজব নেই,  দুর্বল বর্ণনার কোন কথাও নেই বরং সবগুলি ইলমে হাদিসের উপর গবেষণালব্ধ আলোচনা। প্রমাণ্যপঞ্জিতে পৃষ্ঠা নাম্বার ও কিতাব প্রকাশনার নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। আশাকরি বিজ্ঞপাঠক মহল নতুন করে আবারো বুঝতে পারবেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারিরা সত্যের পথে নির্ভীক আর তাদের সব বিরোধিতাকারি শয়তানের যোগ্য অনুসারি ও চরম মিথ্যাবাদী।

ছগীর মুহাম্মদ ওসমানী

অভিমত


চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া’র শায়খুল হাদিস, উস্তাজুল ওলামা হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ সোলাইমান আনসারী (মা.জি.আ)‘র দোয়া ও অভিমত

পবিত্র কুরআনের পরপরই হাদিসে নববী (ﷺ)’র স্থান। যারা হাদিসের নামে মিথ্যাচার করে তারা মহান রবের নিকট জঘণ্য অপরাধি হিসাবে বিবেচিত। কেননা প্রিয়তম রাসূলে মাকবুল (ﷺ)’র জ্যোতির্ময় মুখনিসৃত প্রতিটি বাণী আল্লাহর কালামপাকের অর্ন্তভুক্ত। তাই হাদিসের সাথে প্রতারণা মানে মহান পরওয়ার দিগার আলমের সাথে প্রতারণার নামান্তর। জাহান্নামের স্থায়ী বাসিন্দা ব্যতিত খোদ রব তা’য়ালার সাথে কেউ এ ধরনের ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা করতে পারে না।

সাম্প্রতিক দেখা যায়, কিছু পেশাদার ব্যবসায়ী লিখকসেজে ব্যবসাকে রমরমা করার প্রত্যয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সঠিক আক্বিদাভিত্তিক চিরসত্য ও সহীহ হাদিসগুলি নিয়ে সরলমনা মুসলমানদের সাথে প্রতিনিয়ত ধোঁকাবাজি করছে।

আমার স্নেহের ছাত্র মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুরের রচিত ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ (১ম খণ্ড) এইগ্রন্থে এমন জাহান্নামি দুরাচার লিখকদের অসংখ্য পুস্তকের খণ্ডন করা হয়েছে। যা পাঠ করলে বিজ্ঞপাঠক মহল সহজে অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন।

আমি কিতাবটি দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমার ধারণা মতে,  এইগ্রন্থ একটি সময় উপযোগিপ্রমাণ ভিত্তিক অনবদ্য রচনা। লিখক ও তার লিখিত বইটির সার্বিক সফতালতার জন্য মহান রব সমিপে দোয়া করছি।

মুহাম্মদ সোলাইমান আনসারী


অভিমত


চট্টগ্রাম সোবহানিয়া আলিয়া মাদরাসার সম্মানিত শায়খুল হাদিস, বিশিষ্ট লিখক ও গবেষক, পীরে তরিক্বত হযরতুলহাজ্ব আল্লামা কাযী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফী (মা.জি.আ)’র অভিমত

নাবি কারিম (ﷺ)’র নামে জাল হাদিস বানানো যেমন ভয়াবহ অপরাধ, সহীহ, হাসান, প্রমাণিত হাদিসের ব্যাপারে মিথ্যাচার করাও জঘণ্য অপরাধ। এ ধরনের চরম অপরাধগুলি একমাত্র আল্লাহ্ ও নবিদ্রোহী ব্যতিত অন্যকেউ করার দুঃসাহস করে না। ইদানিং একশ্রেণির পেশাদার তথাকথিত আলেম দেখা যায়, যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’র হাদিসের প্রেমিকবেশে সূর্যের আলোর ন্যায় পরিষ্কার অসংখ্য সহীহ, হাসান, প্রমাণিত হাদিসকে জাল বা বানোয়াট বলে বিভিন্ন মাধ্যমে সাধাসিধে মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকট বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

তাদের চিন্তা কেবল একটাই,  মানুষকে নবি ওলিদের প্রদর্শিত সঠিকপথ থেকে যেকোন ভাবে বিচ্যুত করা। এলক্ষ্যে ইতিমধ্যে তারা বহু সভা, সেমিনার এমনকি মিডিয়া জগতকে পুরো দখল করে বসে রয়েছে। ইহুদি নাসারাদের মদদে ছোট বড় অনেক বইপুস্তকও বাজারজাত করে সাধারণ মানুষদের ঘরে ঘরে পৌঁছিয়ে দিচ্ছে তাদের নরকিয় পয়গাম।

সেরকম কিছু বিভ্রান্তিকর পুস্তক যেমন, আলবানীর সিলসিলাতুল আহাদিসিদ দ্বঈফাহ, ড. খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরের ‘হাদীসের নামে জালিয়াতি,  মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেকের ‘এসব হাদীস নয়’ ও মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর সম্পাদিত ‘প্রচলিত জাল হাদীস’ বই সমাজে সরলপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে চরমভাবে।

আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি, আমার স্নেহভাজন মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ (১ম খণ্ড) নামক গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে উল্লেখিত সব বইগুলির দাঁতভাঙা জবাব লিখেছে। আলহামদুলিল্লাহ!

এটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি গ্রন্থ। এধরনের কিতাব প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমাদের অধ্যায়ন করা দরকার। ইলমে হাদিসের উপর এ ধরনের কোন কিতাব বাংলা ভাষায় ইতোপূর্বে রচিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

আমি লিখকের কষ্টের ফসল ‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ (১ম খণ্ড) এই অনবদ্য গ্রন্থটির ধারণাতীত প্রচার প্রসার কামনা করছি। সেই সাথে স্নেহের লিখকের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুভপ্রার্থনা রইল। সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও সাফল্য কামনা করি।

 

কাযী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফী



Top