6- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ عَدَمِ كُفْرِ أَهْلِ الْكَبَائِرِ

8 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، قَالَ: قُلْتُ لِجَابِرٍ بْنِ عَبْدِ اللهِ: مَا كُنْتُمْ تَعُدُّوْنَ الذُّنُوْبَ شِرْكًا؟ قَالَ: لَا، قَالَ أَبُوْ سَعِيْدٍ: قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ! هَلْ فِيْ هَذِهِ الْأُمَّةِ ذَنْبٌ يَبْلُغُ الْكُفْرَ، قَالَ: «لَا، إِلَّا الشِّرْكُ بِاللهِ تَعَالَىٰ».


বাব নং ৬:  কবীরাহ গুনাহকারীকে কাফের বলা যাবে না


৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আবু যুবাইর থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি হযরত জাবির (رضي الله عنه) থেকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা কি কবীরা গুনাহকে শিরক মনে করেন? উত্তরে তিনি বললেন, না। হযরত আবু সাঈদ (رضي الله عنه) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)  কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল! এই উম্মতের মধ্যে কি এমন কোন গুনাহ আছে যা মানুষকে কুফুরী পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়? অর্থাৎ কাফের বানিয়ে দেয়। উত্তরে তিনি বলেন, না, তবে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করলে কাফের হয়ে যায়।

ব্যাখ্যা: মূলত উক্ত হাদিস দ্বারা দু’টি গোমরাহ ফেরকার আকীদা খণ্ডন হয়ে যায়। এক খারেজী সম্প্রদায়। তাদের আকীদা হল মুসলমান কবীরাহ গুনাহের দ্বারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়। যেমন ব্যাভিচার, চুরি, হত্যা ইত্যাদি দ্বারা মুসলমান কাফের হয়ে যায়। দুই. মুতাযিলা সম্প্রদায়। তাদের আকীদা হল মু’মিন ব্যক্তি কবীরাহ গুনাহের দ্বারা মু’মিনও থাকেনা কাফেরও হয়না বরং কাফের ও মু’মিনের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে। উক্ত হাদিস উভয় সম্প্রদায়ের আকীদা খণ্ডন করত: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা বিশ্বাসকে সুদৃঢ় করছে। এদের আকীদা হল আল্লাহর সাথে শরীক করা ব্যতীত কোন কবীরাহ গুনাহের কারণে মু’মিন কাফের হয় না বরং মু’মিনে ফাসিক তথা গুনাহগার মু’মিন হবে। পরকালে গুনাহের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে প্রবেশ করবে। কেননা বিশুদ্ধ হাদিসে আছে, “যে কেউ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” 


9 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَبْدِ الْكَرِيْمِ بْنِ أَبِي الْـمُخَارِقِ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عُمَرَ، فَسَأَلَهُ فَقَالَ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمٰنِ! أَرَأَيْتَ الَّذِيْنَ يَكْسِرُوْنَ أَعْلَاقَنَا، وَيَنْقُبُوْنَ بُيُوْتَنَا، وَيُغِيْرُوْنَ عَلَى أَمْتِعَتِنَا، أَكَفَرُوْا؟ قَالَ: لَا، قَالَ: أَرَأَيْتَ الَّذِيْنَ يَتَأَوَّلُوْنَ عَلَيْنَا وَيَسْفِكُوْنَ دِمَاءَنَا، أَكَفَرُوْا؟ قَالَ: لَا، حَتَّىٰ يَجْعَلُوْا مَعَ اللهِ شَيْئًا، وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَىٰ أُصْبُعِ ابْنِ عُمَرَ، وَهُوَ يُحَرِّكُهَا، وَهُوَ يَقُوْلُ: سُنَّةُ مُحَمَّدٍ ، وَهَذَا الْـحَدِيْثُ رَوَاهُ جَمَاعَةٌ، فَرَفَعُوْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ .


৯. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আবদুল করিম ইবনে আবুল মুখারিক থেকে, তিনি তাউস থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه)’র নিকট এসে জিজ্ঞাসা করল হে আবু আবদুর রহমান! আপনার মত কি? যদি কেউ আমাদের তালা ভেঙ্গে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে আমাদের ধন-সম্পদ লুন্টন করে তারা কি কাফের? তিনি উত্তর দিলেন, না। লোকটি আবার প্রশ্ন করল বলুন, যারা অপব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের রক্ত প্রবাহিত করে তারা কি কাফের? তিনি উত্তর দিলেন না, যতক্ষণ না সে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে। তাউস (رحمة الله) বলেন, আমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه)কে অঙ্গুলি নাড়তে নাড়তে বলতে দেখেছি যে, তিনি বলতেছেন এটিই হল, রাসূল (ﷺ)  এর সুন্নাত। হাদিস খানা একদল রাবী রাসূল (ﷺ)  থেকে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

Top