হীরা বিজিত হওয়ার খবর
হাদিস ২৫:
أخرج البخاري في (تاريخه)، والطبراني و البهقي و أبو نعيم، عن خرم بن أوس ابن حارثة بن لام قال: هاجرت إلى رسول صلی الله عليه وسلم منصرفه من تبوك فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم : هذه الحيرة البيضاء قد رفعت لي وهذه الشهباء بنت نفيلة الأزدية على بغلة شهبا معنجرة بخمار أسود، فقلت يا رسول الله : إن نحن دخلنا الحيرة فوجدتها كما تصف فهي لي. قال: هي لك، فلما كان زمن أبي بكر وفرغنا من مسيلمة أقبلنا إلى الحيرة فأول من تلقا نا حين دخلناها الشهباء بنت نفيلة، كما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم على بغلة شهباء معتجرة بخمار أسود، فتعلقت بها وقلت: هذه وهبها لي رسول الله صلى الله عليه وسلم، فدعاني خالد بن الوليد عليها با لبينة فأتيته بها وكانت البينة محمد بن مسلمة ومحمد بن بشر الأنصاريين، فسلمها إلي فنزل إلينا أخوها يريد الصلح، فقال : بعنيها. قلت: لا انقصها والله من عشر مائة درهم فأعطاني ألف درهم، فقيل لي لو قلت مائت الف لد فعها اليك فقلت ماکنتم احسب ان عددا أكثر من عشر مائة
হযরত হাযীম ইবনে আউস ইবনে হারেছা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তাবুক থেকে প্রত্যাবর্তন করছিলেন, তখন আমি তাঁর কাছে হিজরত করলাম। তিনি বললেন : হীরা আমার সামনে তুলে ধরা হয়েছে। আমি তা দেখতে পাচ্ছি।এই শায়মা বিনতে নফীলাকে সাদা খচ্চরের উপর সওয়ার দেখা যাচ্ছে, সে কাল ওড়না পরিহিত। আমি আরয করলাম : ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! যদি আমরা হীরা জয় করি এবং শায়মাকে তেমনি পাই, যেমন আপনি বললেন, তবে শায়মা আমার হবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বল্লেন হাঁ তোমার হবে । অতপর হযরত আবুবকর এর খেলাফত কাল উপস্থিত হল আমরা মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের বিরূদ্ধে অভিযান শেষ করে হিরায় উপস্থিত হলাম । তথায় সর্ব প্রথম আমরা শায়মা বিনতে নাফিশাহকে পেয়ে গেলাম । রাসুল (ﷺ) এর আগাম সংবাদ অনুযায়ী থাকে কাল উরনা পরা অবস্থায় খচ্ছরের উপর উপবিষ্ট দেখা গেল। আমি তাকে ধরে বল্লাম হুজুর (ﷺ) এই মহিলা আমাকে দান করেছেন। খালিদ ইবনে ওলীদ এ বিষয়ে সাক্ষী পেশ করতে বললেন। আমি মুহাম্মদ ইবনে সালামাহ্ ও মুহাম্মদ ইবনে বিশত আনসারীকে সাক্ষীস্বরূপ পেশ করলাম। অতঃপর খালিদ শায়মাকে আমার হাতে তুলে দেন। এ সময় শায়মার ভাই এসে বল্ল তুমি তাকে আমার নিকট বিক্রয় করে দাও। আমি বললাম এর মূল্যে এক হাজারের কম নেব না। সে আমাকে হাজার দেরহামই দিল । লাকেরা বলল যদি তুমি এক লাখ দেরহাম চাইতে, তা হলেও শায়মার ভাই তোমাকে তা দিয়ে দিত। আমি বললাম দশ শ’য়ের বেশী গণনা আমার জানাই ছিল না।