৫- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ رُخْصَةِ الْإِفْطَارِ فِي السَّفَرِ

٢١٤- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الْـهَيْثَمِ بْنِ حَبِيْبٍ الصَّيْرَفِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ: خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ  لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ مِنَ الْـمَدِيْنَةِ إِلَىٰ مَكَّةَ، فَصَامَ حَتَّى اتَىٰ قُدَيْدَ، فَشَكَا النَّاسُ إِلَيْهِ الْـجَهْدَ، فَأَفْطَرَ، فَلَـمْ يَزَلْ يُفْطِرُ حَتَّى اتَىٰ مَكَّةَ.


বাব নং ৯৫. ৫. সফরে রোযা ভঙ্গ করার অনুমতি প্রসঙ্গে


২১৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হায়শাম থেকে, তিনি আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  রমযান মাসের তিন তারিখে মদীনা থেকে মক্কার দিকে যাত্রা করেন, তিনি রোযা রাখেন। কুদাইদ নামক স্থানে পৌঁছলে লোকজন তাঁকে সফরের কষ্টের কথা বলেন। তখন তিনি ইফতার করে রোযা ভঙ্গ করেন। মক্কা পৌঁছা পর্যন্ত তিনি আর রোযা রাখেন নি।


ব্যাখ্যা: অধিকাংশ ওলামায়ে কিরাম ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, সফর অবস্থায় রোযা রাখা না রাখা মুসাফিরের ইচ্ছাধীন ব্যাপার। তবে রোযা না রাখলে পরে তা কাযা করে দিতে হবে। আবার সফরে রোযা রাখা উত্তম নাকি না রাখা উত্তম এ নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র মতে মুসাফির রোযা রাখতে সক্ষম হলে রোযা রাখাই উত্তম।


٢١٥- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ: سَافَرَ النَّبِيُّ  فِيْ رَمَضَانَ، يُرِيْدُ مَكَّةَ، فَصَامَ وَصَامَ النَّاسُ مَعَهُ. وَفِيْ رِوَايَةٍ: خَرَجَ مِنَ الْـمَدِيْنَةِ إِلَىٰ مَكَّةَ فِيْ رَمَضَانَ، فَصَامَ حَتَّى انْتَهَى الَىٰ بَعْضِ الطَّرِيْقِ، فَشَكَا النَّاسُ إِلَيْهِ الْـجَهْدَ، فَأَفْطَرَ، فَلَـمْ يَزَلْ مُفْطِرًا حَتَّى اتَىٰ مَكَّةَ. وَفِيْ رِوَايَةٍ، قَالَ: سَافَرَ النَّبِيُّ  فِيْ رَمَضَانَ، يُرِيْدُ مَكَّةَ، فَصَامَ وَصَامَ الْـمُسْلِمُوْنَ، حَتَّىٰ إِذَا كَانَ بَعْضُ الطَّرِيْقِ شَكَا بَعْضُ الْـمُسْلِمِيْنَ الْـجَهْدَ، فَدَعَا بِمَاءٍ، فَأَفْطَرَ وَأَفْطَرَ الْـمُسْلِمُوْنَ.


২১৫. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা মুসলিম থেকে, তিনি আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ)  রমযান মাসে মক্কা সফরে গমন করেন। তিনি রোযা রাখেন এবং তাঁর সাথে সাহাবায়ে কিরামও রোযা রাখেন।

অন্য রেওয়ায়েতে আছে, রাসূল (ﷺ)  রমযান মাসে মদীনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। (এসময়) তিনি রোযা রাখেন। তিনি কোন এক  রাস্তায় পৌঁছলে সাহাবায়ে কিরাম সফরের কষ্টের অভিযোগ করলেন। তখন তিনি রোযা ভঙ্গ করেন এবং মক্কা পৌঁছা পর্যন্ত তিনি রোযা রাখেন নি।

অপর এক রেওয়ায়েতে আছে, রাসূল (ﷺ)  রমযান মাসে মক্কার উদ্দেশ্যে সফরে বের হন, তিনি রোযা রাখেন এবং মুসলমানগণও রোযা রাখেন। যখন কোন এক রাস্তায় পৌঁছেন, তখন লোকজন সফরের কষ্টের অভিযোগ করেন তখন তিনি এবং মুসলমানগণ রোযা ভঙ্গ করেন।

Top