৩- بَابُ مَا جَاءَ فِي النَّهْيِ عَنِ الْـمُثْلَةِ

٣٢٠- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيْهِ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ  نَهَىٰ عَنِ الْـمُثْلَةِ.


বাব নং ১৬৪. ৩. নাক-কান কর্তন করা নিষেধ


৩২০. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আলকামা থেকে, তিনি ইবনে বুরাইদা থেকে, তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ)  (যুদ্ধে নিহত শত্র“দের) নাক-কান কর্তন করতে নিষেধ করেছেন। 

(তাহাভী, ৩/১৮৩/৪৬৪২)


ব্যাখ্যা: কেননা এটা অত্যন্ত নির্দয়, নির্মম, নিষ্ঠুর, হিংস্র ও পশুত্বের কাজ। ইসলাম হলো শান্তি ও মানবতার ধর্ম। এতে মুসলমান তথা নিহত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তন করে বিকৃতি করার অনুমতি নেই। বরং কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। 



٣٢١- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ إسْمَاعِيْلَ بْنِ حَمَّادٍ، وَأَبِيْهِ وَالْقَاسِمِ بْنِ مَعْنٍ وَعَبْدِ الْـمَلِكِ عَنْ عَطِيَّةَ الْقُرَظِيِّ، قَالَ: عُرِضْنَا عَلَىٰ رَسُوْلِ اللهِ  يَوْمَ قُرَيْظَةَ فَأَمَرَ بِقَتْلِ كِبَارِهِمْ وَسَبْيِ صِغَارِهِمْ، فَمَنْ أَنْبَتَ قُتِلَ، وَمَنْ لَـمْ يُنْبِتِ اسْتَحَىٰ مِنْهُ. وَفِيْ رِوَايَةٍ: قَالَ: عُرِضْتُ عَلَى النَّبِيِّ ، فَقَالَ: انْظُرُوْا، فَإِنْ كَانَ أَنْبَتَ فَاضْرِبُوْا عُنُقَهُ، فَوَجَدُوْنِيْ لَـمْ أُنْبِتْ، فَخَلَّىٰ سَبِيْلِيْ. وَفِيْ رِوَايَةٍ: قَالَ: كُنْتُ فِيْ سَبْيِ قُرَيْظَةَ فَعُرِضْتُ عَلَى النَّبِيِّ ،فَنَظَرُوْا فِيْ عَانَتِيْ، فَوَجَدُوْنِيْ لَـمْ أُنْبِتْ، فَالْـحَقُوْنِيْ بِالسَّبْيِ.


৩২১. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা ইসমাঈল ইবনে হাম্মাদ থেকে, তিনি তার পিতা এবং কাসেম ইবনে মা’ন ও আবদুল মালিক থেকে, তারা আতিয়্যা কুরাযী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, কুরাইযার যুদ্ধে আমাদেরকে রাসূল (ﷺ)  এর সামনে পেশ করা হয়। তিনি দাঁড়িয়ে বড়দেরকে হত্যা করতে এবং ছোটদেরকে গোলাম বানিয়ে রাখতে আদেশ প্রদান করেন। অতঃপর যার নাভীর নীচে লোম গজিয়েছে, তাকে হত্যা করা হয় আর যার গজায়নি তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

অপর এক বর্ণনা বর্ণিত আছে, আতিয়্যা (رضي الله عنه) বলেন, আমাকে নবী করমি (ﷺ)  এর সামনে পেশ করা হয়। তখন তিনি বলেন, তোমরা দেখ যদি তার লোম গজিয়ে থাকে তবে তার গর্দান কেটে দাও। তারা আমাকে দেখল যে লোম গজায়নি তাই আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, বণী কুরাইযার যুদ্ধ বন্দীদের মধ্যে আমিও ছিলাম। আমাকে নবী করমি (ﷺ)  এর সামনে পেশ করা হলে তারা আমাকে দেখলেন। তারা আমাকে লোম না গজানো পেয়েছে। সুতরাং তারা আমাকে বন্দীদের সাথে যুক্ত করে দেয়। 

(সহীহ ইবনে হিব্বান, ১১/১০৩/৪৭৮০)



٣٢٢- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: وَابْنُ أَبِيْ لَيْلَىٰ، عَنِ الْـحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْـمُشْرِكِيْنَ يَوْمَ الْـخَنْدَقِ قُتِلَ فِي الْـخَنْدَقِ، فَأَعْطَى الْـمُشْرِكُوْنَ بِجِيْفَتَةٍ مَالًا فَنَهَاهُمْ رَسُوْلُ اللهِ  عَنْ ذَلِكَ.


৩২২. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা ও ইবনে আবি লায়লা হাকাম থেকে, তারা মিকসাম থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন খন্দকের মধ্যে একজন মুশরিককে হত্যা করা হয়। তখন মুশরিকরা ঐ লাশের বিনিময়ে প্রচুর ধনসম্পদ দিতে চাইলে রাসূল (ﷺ)  এটা থেকে নিষেধ করেছেন।


ব্যাখ্যা: সম্পদের বিনিময়ে লাশ বিক্রি করা অত্যন্ত ঘৃণিত ও দোষণীয় কাজ। তাই রাসূল (ﷺ)  এ কাজ থেকে ধাধা দেন এবং এটাকে তিনি পছন্দ করেননি।
Top