❏ প্রশ্ন-২০২: নিয়াবত্ বা প্রতিনিধিত্ব কাকে বলে? এবং এর দ্বারা উপকারিতা কি? বর্ণনা কর।
✍ উত্তর: জা-নশীন তথা প্রতিনিধিত্ব ও স্থলাভিষিক্ত দু’প্রকার।
প্রথমতঃ আংশিক ও সীমিতভাবে কোন বিশেষ কাজের কিংবা স্থানের জন্য সাময়িকভাবে কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাউকে নিজের প্রতিনিধি নির্ধারণ করা। যেমন- বাদশাহর পক্ষ হতে যুদ্ধক্ষেত্রে কাউকে প্রধান করে পাঠানো কিংবা কোন জেলা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া অথবা খাজনা, রাজস্ব ও টেক্স আদায় করার জন্য বিশেষ ক্ষমতা অর্পন করা।
দ্বিতীয়ত: ইমাম বা বাদশাহ অন্য কাউকে তাঁর অবর্তমানে প্রতিনিধিত্ব ও সম্পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারীরূপে অসিয়ত করা। অথচ হুযূর তাঁর জীবদ্দশায় কোন প্রতিনিধি নিয়োগ করেন নি। হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه) হতে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত আছে যে, যখন তাঁর নিকট আরয করা হলো যে, استخلف علينا ‘আমাদের মধ্যে কাউকে খলিফা নিযুক্ত করে দিন; উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে খলিফা নিযুক্ত করবে না।’ ولكن اترككم ‘আমি তা তোমাদের ওপর ছেড়ে দিলাম।’ (উক্ত হাদিসটি ইমাম আহমদ, ইমাম বাযযার ও ইমাম দারা কুতনী বর্ণনা করেছেন। আর ইমাম বায্যারের রেওয়ায়েত বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।)
হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه) বলেন,
ما استخلف رسول الله صلى الله عليه وسلّم فاستخلف عليكم .
‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খলিফা নিযুক্ত করে যান নি, আমি কীভাবে খলিফা নিযুক্ত করব?’
250. সীরাতুল মুস্তফা, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২২৭।