৫- بَابُ مَا جَاءَ فِي فَضْلِ عَلِيٍّ
٣٦٨- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ حَبَّةَ الْعُرَنِيِّ وَهُوَ الْـهَمْدَانِيُّ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ، قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُوْلُ: أَنَا أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ.
বাব নং, ১৮৭. ৫. হযরত আলী (رضي الله عنه)’র ফযীলত
৩৬৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা সালমা থেকে,তিনি হাব্বাতুল আরাবী থেকে যিনি হামদানী গোত্রের হযরত আলী (رضي الله عنه)’র শিষ্য ছিলেন, তিনি বলেন, আমি হযরত আলী (رضي الله عنه) কে বলতে শুনেছি যে, আমি প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি।
(জামেউল আহাদীস, ৩০/১৭/৩২৭১৬)
ব্যাখ্যা: সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি কে? এ নিয়ে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। এসব মতামতের সমন্বয় হলো-প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে হযরত আবু বকর (رضي الله عنه), মহিলাদের মধ্যে হযরত খাদীজা (رضي الله عنه), কিশোরদের মধ্যে হযরত আলী (رضي الله عنه), আযাদকৃত গোলামের মধ্যে হযরত যায়েদ (رضي الله عنه) এবং গোলামদের মধ্যে হযরত বিলাল (رضي الله عنه) সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন।
তবে সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে ফযীলতের বিবেচনায় হযরত আবুল মনসুর বাগদাদী (رضي الله عنه) বলেন, একথার উপর উম্মতে মুসলিম ঐকমত্য যে, রাসূল (ﷺ) ’র পর হযরত আবু বকর (رضي الله عنه), তাঁর পরে হযরত ওমর (رضي الله عنه), তাঁর পরে হযরত ওসমান (رضي الله عنه), তাঁর পরে হযরত আলী (رضي الله عنه) এবং এদের পরে আশারা মুবাশশারা তথা জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত দশ জন সাহাবীর মর্যাদা অন্যান্যদের উপরে। তাঁদের পরে আসহাবে বদর, আসহাবে উহুদ এবং তাঁদের পরে বাইয়্যাতে রিদওয়ানের সাহাবীগণ অন্যান্য সাহাবায়ে কিরাম ও সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। ২০৩
➥ আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ূতী, তারীখুল খোলাফা, পৃষ্ঠাঃ ৩০
٣٦٩- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ إسْمَاعِيْلَ، عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ، نَظَرَ إِلَىٰ عَلِيٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ ذَاتَ يَوْمٍ، فَرَآهُ جَائِعًا، فَقَالَ: يَا عَلِيُّ! مَا أَجَاعَكَ ؟ قَالَ: يَا رَسُوْلَ اللهِ! إِنِّيْ لَـمْ أَشْبَعْ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا، فَقَالَ : أَبْشِرْ بِالْـجَنَّةِ .
৩৬৯. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা ইসমাঈল থেকে, তিনি আবু সালেহ থেকে, তিনি উম্মে হানী থেকে বর্ণনা করেন, একদিন রাসূল (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه) কে ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখে বলেন, হে আলী ! কোন বস্তু তোমাকে ক্ষুধার্ত করেছে? উত্তরে তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এত এত দিন থেকে আমি পেঠ ভরে খেতে পারিনি। তখন রাসূল (ﷺ) এরশাদ করেন, তুমি জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর।