আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করার জন্য কোন বস্তু বা ব্যক্তিকে মাধ্যম করলে কি শিরক হবে?
التوسل الى الله تعالٰى بشئ اوباحد هل يشرك به؟
التوسل الٰى الله تعالٰى بشئ اوباحد هل يشرك به ام لا؟ - لاتنافى بين الله تعالٰى والتوسل اليه سبحانه وتعالى – قال الله تعالى وابتغوا اليه الوسيلة (المائدة) .
ان التوسل الى الله تعالٰى يعنى التقرُّب الى الله بما يصح التقرب به اليه طلبًا للقرب منه سبحانه وتعالى والدرجة عنده اولقضاء حاجة بحصول نفع اودفع ضرر .
الصورة:
السوال : من زعم ان رسول الله ﷺ قددعا للرجل فاستفاد الرجل من دعاء رسول الله ﷺ له وانه لايتوسل به بعد انتقاله وموته .
فالجواب عنه بامور :
(১) التوسل الى الله تعالى باسم من اسمآء الله سبحانه اوصفة من صفات الله سبحانه سمع رسول الله ﷺ رجلا يقول- اللهم انى اسألك بانى اشهد انك انت الله لا اله الا انت الاحد الصمد الذى لم يلد ولم يولد ولم يكن له كفوا احد – فقال عليه السلام والذى نفسى بيده لقد سأل الله باسمه الاعظم الذى اذا دعى به اجاب واذاسئل به أعطى (رواه الترمذى) .
(২) التوسل اليه سبحانه بطاعة من الطاعت – كالصلوة والصيام والحج والجهاد والجهاد وقرأة القرآن .
(৩) التوسل اليه سبحانه وتعالى بعمل من الاعمال الصالحة كتوسل الثلاثة الذين اطبق عليهم الغار باعمال الصالحة الخالصة لوجهه سبحانه من برالوالدين والتعفف عن الزنا واعطاء الا جير حق اجره .
(৪) التوسل برسول ﷺ.
سئل الشيخ محمد بن عبد الوهاب النجدى عن قولهم فى الاستسقاء- ولا بأس بالتوسل بالصالحين – وقول احمد ويتوسل بالنبى ﷺ خاصة مع قولهم انه لايستغاث بمخلوق فكون بعض العلماء يرخص بالتوسل بالصالحين وبعضهم يخصه بالنبى ﷺ واكثر العلماء عنده ينهى عن ذلك ويكرهه .
وان كان الصواب عندنا قول الجمهور من انه مكروه ولاانكار فى مسائل الاجتهاد (فتاوىٰ الشيخ محمد بن عبد الوهاب) .
فهذا الكلام من الشيخ يدل على جواز التوسل عنده – ولا انكار فى مسائل الاجتهاد (فتاوىٰ الشيخ محمد بن عبد الوهاب من مجموعات الشيخ القسم الثالث صفـ ২৮ غاية مايرى انه مكروه فى رايه عند الجمهور – والمكروه ليس بحرام فضلا عن ان يكون بدعة اوشركا – مفاهيم يجب ان تصحح صفـ ১৪৬).
قال ابن مفلح تلميذ ابن تيمية فى كتاب الفروع له ويجوز التوسل بصالح . وقيل يستحب – قال احمد فى منسكه الذى كتبه للمروزى انه يتوسل بالنبى ﷺ فى دعائه – وقال فى كشف القناع – قد استسقى عمر بالعباس ومعاوية بيزيد بن الاسود واستسقى به الضحاك مرة اخرى ذكره الموفق وقال السامرى وصاحب التلخيص انه لابأس فى الاستسقاء بالشيوخ والعلماء المتقين .
وقال فى المذهب يجوز التوسل برجل صالح – وقيل يستحب براءة الاشعريين صفـ ২৮০ المجلد الاوّل .
قال المالكى رحمة الله عليه ان الشيخ ابن تيمية فى بعض المواضع من كتبه اثبت جواز التوسل بالنبى ﷺ دون تفريق اوتفصيل بين حياته وموته وحضوره وغيابه ﷺ.
ونقل عن الامام احمد والعز بن عبد السلام جواز ذلك (الفتاوىٰ الكبرىٰ) .
عن عثمان بن حنيف ان رجلا ضرير البصراتى النبى ﷺ فقال ادع الله ان يعافينى – قال ويدعو بهذا الدعاء – اللهم انى أسألك وأتوجَّه اليك بنبيك محمدٍ نبى الرحمة يا محمد انى اتوجه بك الٰى ربى فى حاجتى هذه لتقضى لى فشفّهُه فى (رزاه الترمذى) .
ان ظاهر الحديث دعاء الرجل بنفسه متوسلا برسول الله ﷺ لا دعاء الرسول او غيره له .
المؤ من يعلم ان حالته ﷺ عندالله كحالته بعد موته فهو على كل حال لايملك لا حدنفعا ولاضرا الّا باذن الله تعالىٰ .
فاباحة التوسل به حال حياته ومنع ذلك بعد انتقاله فيه شبهة اعتقادية خطيرة – كأنها تعنى ان احدا يملك مع الله شيئا .
ومعلوم ان رتبة النبوة لاتنقطع بالموت – ان التوسل بنبوته – وحياته المباركة واعماله الصالحة .
والتوسل بالانبياء والصالحين هو توسل بذوات الانبياء والصالحين المتصفة بالايمان بالله تعالٰى وطاعته – فالتوسل بالذات الكريمة لاينفك عن التوسل بالاعمال الصالحة فلا ينبغى لاحدٍ ان يقول بجدال شديد وخلافٍ كبيرٍ بين المسلمين على التوسل بالنبى ﷺ اوبأحد من الصالحين بعد ماتبين الحقُّ (مصباح الزجاجة فى فوائد قضاء الحاجة) .
আল্লাহ তায়ালা ও উসিলা পরস্পর বিরোধ নয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করার জন্য উসিলা (মাধ্যম) তালাশ কর (মায়েদা) আল্লাহ তায়ালার প্রতি উসিলা তালাশের অর্থ আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা এমন কিছুর মাধ্যমে যা দ্বারা নৈকট্য হাসিল করা যায় অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা থেকে তাঁরই নৈকট্য লাশ করা, তার নিকট মর্যাদা কিংবা কোন হাজন পূরণ, উপকার অর্জন ও ক্ষতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষে মাধ্যম অবলম্বন করা।
উসিলার স্বরূপ সমূহ:
প্রশ্ন: যে ব্যক্তি ধারণা করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন মানুষের জন্যে দোয়া করলে লোকটি তাঁর দোয়ার বদৌলতে উপকৃত হয়। কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর দোয়ার উসিলা নেয়া যাবে না।
এ প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন প্রকারের হয়-
১) আল্লাহ তায়ালার প্রতি উসিলা অবলম্বনের এক প্রকার হল আল্লাহ তায়ালার পবিত্র নামসমূহ এবং তাঁর গুণবাচক নাম সমূহ দ্বারা উসিলা করে তাঁর নৈকট্য লাভ করা, যেমন- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এ মর্মে প্রার্থনা করছি, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি একমাত্র আল্লাহ আপনি, আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, আপনি এক অদ্বিতীয়, অমুখাপেক্ষী কাউকে জন্ম দেননি, কারো থেকে জন্মগ্রহণ করেননি, কেউ আপনার সমকক্ষ নেই। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে সত্তার হাতে আমার জান সে সত্তার শপথ করে বলছি, অবশ্যই লোকটি আল্লাহ তায়ালার মহিমান্বিত নাম দ্বারা প্রার্থনা করছে যা দ্বারা ডাকলে তিনি সাড়া দেন, কিছু প্রার্থনা করলে তা দেয়া হয়।
২) ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে নৈকট্য লাভ করা যেমন নামায, রোযা, হজ্ব, জেহাদ ও কোরআন তেলাওয়াত।
৩) সৎ কর্মের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা যেমন- সে তিন ব্যক্তি যাদের ওপর পাথর পতিত হয়ে পাহাড়ি গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গর্তের তির আবদ্ধ হয়েছিল। তাদের একজন পিতামাতার আনুগত্যকারী দ্বিতীয় ব্যক্তি ব্যবিচার থেকে সংযমী ও তৃতীয়জন শ্রমিকের পারিশ্রমিক যথাযথ আদায়কারী। তারা তাদের এ সৎকর্মগুলো একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে করেছিল এবং এগুলোর মাধ্যমে বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছিল।
৪)রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভঃ শেখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীকে সালাতুল ইসতেসকার জন্যে তাদের উক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, পূণ্যবান লোকদের মাধ্যম অবলম্বনে কোন দোষ নেই। তাদের উক্তি কোন সৃষ্টির কাছে প্রার্থনা করা যাবে না সত্ত্বেও আহমদের অভিমত হল আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করার জন্য বিশেষভাবে নবী করিম (ﷺ)কে মাধ্যম হিসাবে ধারণ করা যাবে। কতিপয় আলেম পূণ্যবান লোকদের উসিলা নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন। কেউ কেউ শুধুমাত্র নবী করিম (ﷺ) এর উসিলার অনুমতি দিয়েছেন। অধিকাংশ আলেম তার নিকট চাওয়া থেকে নিষেধ করেছেন ও মাকরূহ বলেছেন। যদিও আমাদের নিকট জামহুর ওলামাদের উক্তি তথা ইহা মাকরূহ উক্তিটি সঠিক কিন্তু ইজতেহাদী মাসায়েলে কোন ধরণের ইনকার কারো পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। (ফতোয়ায়ে শেখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব)
উপরোক্ত উক্তি শেখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাবের পক্ষ হতে, তার নিকট উসিলা বৈধতার প্রমাণ বহন করছে। ইজতেহাদী মাসয়ালাতে কোন ইনকার নেই।
(ফতোয়ায়ে শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব মিন মাজমুয়াতিস শেখ তৃতীয় প্রকার ২৮ পৃষ্ঠা)
এমনকি তার মতানুসারে অতিরিক্ত এতটুকু বলা যায় যে, জামহুর ওলামাদের মতে তা মাকরূহ কিন্তু হারাম নয়। বিদাত বা শিরক হওয়াত কল্পনাও করা যায় না। (মাফাহীমু ইয়াযীব ইন্না তাস্হহী, পৃ: ১৪৬)
ইবনু তাইমিয়ার ছাত্র ইব্নু মুফলেহ তার রচিত গ্রন্থ কিতাবুল ফুরুহতে বলেন, পূণ্যবানদের উসিলা বৈধ। কতিপয় আলেম মুস্তাহাব বলেছেন। মারুজীর জন্যে রচিত মানসাক কিতাবে আহমদ বলেন, অবশ্যই তিনি স্বীয় দোয়ার মধ্যে নবী করিম (ﷺ)কে উসিলা করতেন। কাশফুল কিনা গ্রন্থে বলেছেন, হযরত ওমর (رضي الله عنه) হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) এর উসিলা নিয়ে বৃষ্টির জন্যে দোয়া করেন এবং হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) ইয়াজিদ বিন আসওয়াদ (رضي الله عنه) উসিলা নিয়ে দোয়া করেন। মাওকফ (رحمة الله) উলেখ করেন, হযরত দাহহাক (رضي الله عنه) ইয়াজিদ বিন আসওয়াদের উসিলা নিয়ে দ্বিতীয়বার বৃষ্টির জন্যে দোয়া করেন। তালখিসের রচয়িতা হযরত সামিরি (رحمة الله) বলেন, পীর মশায়েখ ও খোদাভীরু উলামায়ে কেরামদের উসিলা নিয়ে বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা করলে দোষের কিছু নেই। মাজহাবে বলেন, নৈকট্য লাভের জন্যে পূণ্যবান লোকের উসিলা নেয়া বৈধ। বরং কতিপয় আলেম মুস্তাহাব বলেছেন। (বরাতুল আসআরিন প্রথম খন্ড, ২৮০ পৃষ্ঠা)
মালেকী (رحمة الله) বলেন, শেখ ইবনু তাইমিয়া তার কিতাবের কোন স্থানে নবী করীম (ﷺ) পার্থীব জীবনে এবং ইন্তেকালের পর উপস্থিতিতে, অনুপস্থিতিতে কোন ভেদাভেদ, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ব্যতীত সাধারণভাবে তাঁর উসিলা নেয়া জায়েয বলে প্রমাণিত করেছেন। ইমাম আহমদ ও আলআজ বিন আব্দুস সালাম হতে এর বৈধতার প্রমাণ নকল করা গিয়েছে। (ফতোয়ায়ে কুবরা)
হযরত ওসমান হানিফ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, অবশ্যই এক অন্ধ ব্যক্তি নবী করিম (ﷺ) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরজি পেশ করলেন, আমাকে আল্লাহ সুস্থ করে দেয়ার জন্যে আপনি দোয়া করুন। হুযুর (ﷺ) এ দোয়া করার জন্যে বলেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, আপনার প্রতি ধাবিত হচ্ছি আপনার দয়ালু নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর মাধ্যমে। হে মুহাম্মদ (ﷺ)! আমি আপনার মাধ্যমে আমার প্রতিপালকের কাছে প্রত্যাবর্তন করছি আমার এ প্রয়োজনে যাতে আপনি আমার প্রয়োজন পূরণ করে দিন। অতএব আমার ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করুন।
হাদীসের বাহ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝা যায়, লোকটি নিজের জন্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উসিলা ধরে দোয়া করেছেন। রাসূলের দোয়া বা অন্য কিছু নয়। মুমিনরা বিশ্বাস করেন, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার নিকট হুযুর (ﷺ) এর জীবন ও মরণের অবস্থা একই বরাবর। তিনি সর্বদা আল্লাহ তায়ালার হুকুমে লাভ ও ক্ষতির ক্ষমতা রাখেন। অতএব তাঁর জীবদ্দশায় উসিলা ধরা বৈধ ও তাঁর ইন্তেকালের পর অবৈধ এতে মহা বিপদজনক, সন্দেহজনক বিশ্বাস বিদ্যমান রয়েছে। বরং সে মনে করছে, অবশ্যই কেউ আল্লাহ তায়ালার সাথে কোন বিষয়ের মালিকানায় অংশীদার হয়েছে বা হতে যাচ্ছে। সুপ্রসিদ্ধ কথা হল, নবুয়তের মর্যাদা ইন্তেকালের দ্বারা বন্ধ হয় না। অবশ্যই উসিলা তাঁর নবুয়তের, বরকতময় জীবনের ও সৎ আমলের সদা সর্বদা বিদ্যমান। নবী ও পূণ্যবানদের উসিলা ধরার অর্থ হল নবীদের ও পূণ্যবানদের সত্তাকে অবলম্বন করা যা আল্লাহ তায়ালার সাথে ঈমান ও তাঁর আনুগত্যের গুণে গুণান্বিত। অতএব তাঁদের সম্মানিত সত্তার তাওয়াচ্চুল সৎ আমলের তাওয়াচ্চুল থেকে কখনও পৃথক হবে না। সুতরাং সত্য প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার পর নবী (ﷺ) কিংবা কোন পূণ্যবান ব্যক্তির উসিলার ব্যাপারে তুমুল যুদ্ধে ও বিতর্কে লিপ্ত হয়ে মুসলমানদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করা কোন অবস্থাতে উচিত হবে না।
(মিছবাহুজ যুজাজা ফি ফাওকযায়িল হাজত)
والله اعلم بحقيقة الحال
تمت بالخير