কোরবানীর সময়



মাসআলাঃ কোরবানীর সময় কোরবানীর দিবসের সুবহে সাদিক থেকে শুরু হয়ে যায় কিন্তু শহরের অধিবাসীদের জন্য কোরবানী করা অর্থাৎ যবেহ করা জায়েয নেই- যতক্ষণ পর্যন্ত ইমাম ঈদের নামায না পড়াবে। অবশ্য গ্রামের অধিবাসীরা সুবহে সাদিকের পর কোরবানী করতে পারবে। হুজুর (ﷺ) ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি আমাদের ন্যায় নামায পড়ে এবং আমাদের কিবলার দিকে মুখ করে নামায পড়ে এবং আমাদের ন্যায় কোরবানী করে তাহলে সে যেন ঈদের নামায আদায় না করা পর্যন্ত কোরবানীর জন্তু যবেহ না করে।  ১৪৪

➥১৪৪. সহীহ মুসলিম, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৫৫৩।


হুজুর (ﷺ) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি নামাযের পূর্বে কোরবানী করে তাহলে সে নিজের জন্য যবেহ করেছে, আর যে ব্যক্তি নামাযের পর যবেহ করেছে তাহলে তার কোরবানী পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আর সে মুসলমানদের ত্বরীকা প্রাপ্ত হয়েছে। ১৪৫

 ➥১৪৫. মুসলিম শরীফ।


অতপর এ ব্যাপারে কোরবানী জায়গা ধর্তব্য হয়েছে। এজন্য যদি কোরবানীর জন্তু গ্রামে থাকে আর কোরবানী দাতা শহরে থাকে তাহলে সোবহে সাদিকের পর কোরবানী করা জায়েয আছে। আর যদি উহার বিপরীত হয় তাহলে নামাযের পরেই জায়েয হবে। তিন দিন পর্যন্ত  কোরবানী করা জায়েয আছে। কোরবানীর দিবসে একদিন আর দুই দিন তার পরে। উহার দলীল- হযরত আবদুল্লাহ্ বিন ওমর (رضي الله عنه) বলেছেন- ‘কোরবানী’ কোরবানী দিবসের পর দুই দিন। ১৪৬

 ➥১৪৬. আল-মুয়াত্তা ইমাম মালেক।

 

হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন- ‘কোরবানী’ কোরবানী দিবসের পর দুইদিন।১৪৭ 

➥১৪৭. সুনানে বায়হাক্বী, ৯ম খণ্ড, পৃষ্ঠা- ২৯৭ ।


হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘কোরবানী’ কোরবানী দিবসের পর দুইদিন, (বায়হাক্বী)। প্রথম দিন কোরবানী করা উত্তম। 


মাসআলাঃ কোরবানীর দিবস অতিবাহিত হওয়ার পর ফকীর ব্যক্তি কোরবানীর জন্তু ক্রয় করলে উহাকে জীবিত সদকা করতে হবে। আর যদি ধনী ব্যক্তি এরূপ করে তাহলে ছাগলের মূল্য সদকা করবে সে ক্রয় করুক বা ক্রয় না করুক।

Top