সায়্যিদুনা বারা ইবনু আ‘যিব (رضي الله عنه)'র আক্বিদা
কুলির পানির বরকতঃ-
أَنَّهُمْ كَانُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الحُدَيْبِيَةِ أَلْفًا وَأَرْبَعَ مِائَةٍ أَوْ أَكْثَرَ، فَنَزَلُوا عَلَى بِئْرٍ فَنَزَحُوهَا، فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَتَى البِئْرَ وَقَعَدَ عَلَى شَفِيرِهَا، ثُمَّ قَالَ: ائْتُونِي بِدَلْوٍ مِنْ مَائِهَا، فَأُتِيَ بِهِ، فَبَصَقَ فَدَعَا، ثُمَّ قَالَ: دَعُوهَا سَاعَةً. فَأَرْوَوْا أَنْفُسَهُمْ وَرِكَابَهُمْ حَتَّى ارْتَحَلُوا
সায়্যিদুনা বারা বিন আযিব (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, আমরা রাসূল (ﷺ)’র সাথে হুদায়বিয়ায় পৌঁছলাম। আমরা ছিলাম চৌদ্দশত অথবা এর চেয়ে বেশি। আমরা হুদায়বিয়ার কূপের সব পানি বের করে নিলাম যে এক ফোটা পানিও আর বাকি রইল না।
এ সংবাদ রাসূল (ﷺ)’র নিকট পৌঁছলে তিনি কূপের পাড়ে এসে বসলেন। তারপর একটি পানির পাত্র চাওয়া হল। এরপর ওজু করে কুলির পানি রাখলেন এবং দোয়া করে পানিগুলো কূপে রাখলেন। এরপর বললেন, কিছুক্ষণ থাকতে দাও। এর কিছুক্ষণ পর আমরা এসে তথায় পানি পেতে লাগলাম, আমাদের ঘোড়া এবং উটগুলোকেও পানি পান করিয়েছি। ২৫৮
{২৫৮. সহীহ বুখারী শরীফ, ৫/১২২ পৃ. হা/৪১৫১, পরিচ্ছেদ: بَابُ غَزْوَةِ الحُدَيْبِيَةِ, খতিব তিবরিযি, মিশকাত শরীফ, ৩/১৬৪৭পৃ:, হা/৫৮৮৩, পরিচ্ছেদ: بَاب فِي المعجزات}
আক্বিদা
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় হাবিব (ﷺ) কে প্রত্যেক কামালিয়্যাতের আধিক্য দ্বারা অনুগ্রহ করেছে। তিনি তাঁর গোলামকে যে কোন ধরনের মুসিবতে পতিত হোক না কেন, তিনি তা দূর করতেন। আর সাহাবাগণ (رضي الله عنه) নিজেদের যবানে তাঁর সাহায্য, মর্যাদা এবং মহানুভবতার কথা প্রকাশ করতেন।
❏আ‘লা হযরত (رحمة الله) বলেন-
نعمتيں بانٹتا جس سمت وه ذيشان گيا
ساتہ ہى منشئ رحمت كا قلم دان گيا
-‘নি‘মাতরাজি বেড়ে যায় এ শানদার সত্তা যে দিকেই যান, আর সাথে রহমতের স্রষ্টা আল্লাহ পাকের কলম তথা অদৃষ্টের জ্ঞানিও গিয়েছেন।’