৫- كِتَابُ الزَّكَاةِ

১- بَابُ مَا جَاءَ فِي الرِّكَازِ

١٩٨- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «الرِّكَازُ مَا رَكَزَهُ اللهُ تَعَالَىٰ فِي الْـمَعَادِنِ الَّذِيْ تَنْبُتُ فِي الْأَرْضِ».


৫. যাকাত অধ্যায়


বাব নং ৮৮. ১. রিকাযের বর্ণনা


১৯৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আতা থেকে, তিনি ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন, আল্লাহ যা খনির মধ্যে প্রোথিত করে রেখেছেন যা জমির মধ্যে তৈরী হয়ে থাকে, তাকে রিকায বলে। 

(সুনানে বায়হাকী, ৪/১৫২/৭৪২৮)


ব্যাখ্যা: মাটির ভিতর থেকে যে মালামাল বের করা হয়ে থাকে, তা তিনভাগে বিভক্ত। 

১. কান্য (كنز); 

২. মা‘দান (معدن) ও 

৩. রিকায (ركاز) কান্য ঐ কোষাগারকে বলা হয় যা মানুষ নিজেরাই মাটির নীচে পুঁতে রাখে। 

মা‘দান ঐ খনিকে বলে যা জমি সৃষ্টির সাথে সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে রিকায হল সাধারণ অর্থবোধক শব্দ যা কান্য ও মা‘দান উভয়টি এর অন্তুর্ভূক্ত। অর্থাৎ জমিনে গচ্ছিত গুপ্তধনকে ‘কান্য’ বলে। খনিতে প্রাপ্ত সম্পদকে ‘মা‘দান বলে। উভয় সম্পদকে একসাথে ‘রিকায’ বলে। হানাফী মাযহাব মতে এ সকল সম্পদের যাকাত হলো খুমুস বা এক পঞ্চমাংশ। 


❏দলীল হিসেবে কুরআনের এই আয়াতটি পেশ করা হয় وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ “তোমরা জেনে রাখ যে, গনীমত হিসাবে তোমরা যা লাভ করবে, এর এক পঞ্চামাংশ আল্লাহর জন্য।” 

(সূরা আনফাল, আয়াত, ৪৯) 


প্রকাশ থাকে যে, গুপ্তধন এর এলাকার ভূমি উভয়ের উপর গনীমত শব্দ আরোপিত হয়ে থাকে। কেননা এগুলো প্রথমে কাফিরদের অধিকারে ছিল। অতঃপর মুসলমানদের অধিকারে এসেছে। যখন এগুলো গনীমতের অন্তর্ভুক্ত হল তখন এগুলোর উপর এক পঞ্চমাংশ ওয়াজিব হয়েছে।

Top