পারস্য রাজ ও রামে সম্রাটের বিলুপ্তির খবর


হাদিস ২৬:


اخرج الشيخان، عن ابي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " اذا هلك كسرى فلا کسری بعده، وإذا هلك قيصر فلا بعده، والذي نفسي بيده لتتفقن كنوزهما في سبيل الله".


হযরত আবু হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه)-এর বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। এই উক্তি উদ্ধৃত করেছেন যে, পারস্য রাজের বিলুপ্তির পর আর কোন পারস্যরাজ হবে না এবং কায়সর তথা রামে সম্রাটের বিলুপ্তির পর কোন রামে সম্রাট হবে না। সেই সত্তার কসম,যার কজায় আমার প্রাণ, তোমরা তাদের ধনভাণ্ডারকে আল্লাহর পথে ব্যয় করবে। [বুখারী ও মুসলিম]


হাদিস ২৭:


واخرج مسلم والبيهقي، عن جابر بن سمرة قال قال رسول الله صلى عليه وسلم " لتفتحن عصابة من المسلمين كنوز کسرى التي في القصر الأبيض فكنت أنا وابي فيهم فأصابنا من ذلك ألف درهم".


হযরত জাবের ইবনে সামুরা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মুসলমানদের একটি দল পারস্যরাজের শ্বেতপ্রাসাদর ধনভাণ্ডার অবমুক্ত করবে। জাবের বলেন, যারা সেই ধনভাণ্ডার অবমুক্ত করেছিল, তাদের মধ্যে আমি এবং আমার পিতা ছিলাম। এতে আমরা এক হাজার দেরহাম অংশ পাই।


হাদিস ২৮:


والخرج البيهقي، عن الحسن أن عمر أتي بسواري كسرى فألبسها سراقة بن مالك، فبلغا منكبيه، فقال الحمد الله سواري کسری بن هرمز في يدي سراقة بن مالك أعرابي من بني مدلج قال الشافعي: وأنما البسهما سراقة لأن النبي صلى الله عليه وسلم قال لسراقة ونظر إلى ذراعيه: كأني بك قد لبست سواري كسرى ومنطقته وتاجه.


হযরত হাসান (رضي الله عنه) রেওয়ায়েত করেন যে, 

পারস্য বিজয়ের পর যখন খলীফা হযরত ওমর (رضي الله عنه)-এর কাছে পারস্য রাজের হাতের বলয় আনা হল, তখন সুরাকা ইবনে মালেক উভয় বলয় পরে নিলেন, যা তার কাঁধ পর্যন্ত পৌছে গেল। এটা দেখে খলীফা বললেন  আলহামদুলিল্লাহ,কেসরা ইবনে হরমুযের উভয় বলয় বনী মুদাল্লাজ গোত্রীয় বেদুঈন সুরাকা ইবনে মালেক এই বলদয় পরিধাণ করেছিলেন। কেননা,এক সময়ে তার হাতের কজির দিকে তাকিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন? আমি দেখতে পাচ্ছি তুমি পারস্যরাজের বলয়দ্বয় পরিধান করেছ। তার কোমরবন্ধ লাগিয়েছ এবং তার মুকুট মাথায় পরিধাণ করেছ।


হাদিস ২৯:


واخرج من طريق ابن عتبة، عن اسرائيل أبي موسى، عن الحسن أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لسراقة بن مالك: " كيف بك إذا لبست سواري كسرى " قال: فلما أتى عمر بسواري كسری دعا سراقة، فالبسه وقال :قل الحمد الله الذي سلبهما کسری ابن هرمز والبسهما سراقة الأعرابي.


হযরত হাসান (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সুরাকা ইবনে মালেককে বললেন, তুমি যখন পারস্য রাজের কংকন পরিধাণ করবে, তখন তোমার অবস্থা কি হবে? সুতরাং খলীফা হযরত ওমর (رضي الله عنه)-এর কাছে পারস্যরাজের কংকন আনা হলে তিনি সুরাকাকে ডেকে কংকন পরিয়ে দিলেন এবং বললেন: বল, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর তা'আলা কেসরা ইবনে হরমুযের কাছে থেকে কংকন ছিনিয়ে এনে সুরাকা বেদুঈনকে পরিয়ে দিয়েছেন।


হাদিস ৩০:


واخرج أبو يعلى والحارث بن اسامة وابن حبان والحاكم وصححه والبيهقي وابو نعيم، عن سفينة قال : لما بنی رسول الله صلى الله عليه وسلم المسجد جاء ابو بكر مججر فوضعه، ثم جاء عمر مججر فوضعه، ثم جاء عثمان مججر فوضعه فقال النبي صلى الله عليه وسلم " هؤلاء ولاة الأمر بعدي"..


হযরত সফীনা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদের নির্মাণ শুরু করলে হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) একটি পাথর বহন করে নিয়ে এলেন এবং সেটি স্থাপন করলেন। হযরত ওমর (رضي الله عنه)-ও একটি পাথর আনলেন এবং স্থাপন করলেন। অতঃপর হযরত উসমান (رضي الله عنه) একটি পাথর এনে স্থাপন করলেন।নবী করীম (ﷺ) বললেন : এরা আমার পরে শাষক হবে উসমান (رضي الله عنه) বহন করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করলেন : এই সাহাবীগণ আমার পরে খলীফা হবে।


হাদিস ৩১:


وأخرج الطبر اني وأبو نعيم، عن جابر بن سمرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لعلي إنك مؤمر مستخلف وأنك مقتول وإن هذه مخضوبة من هذه يعني لحيته من رأسه.


হযরত জাবের ইবনে সামরাহ (رضي الله عنه) বলেন,: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলীকে বললেন : তুমি আমীর ও খলীফা হবে এবং নিহত হবে। তােমার দাঁড়ি তোমার মাথার রক্তে রঞ্জিত হবে।


হাদিস ৩২:


اواخرج الحاكم عن ثور بن مجزاة قال : مررت بطلحة يوم الجمل في اخر رمق فقال لي : ممن انت ؟ قلت من اصحاب امير المؤمنين على ، فقال ابسط يدك أبا يعك ، فبسطت يدي وبايعني وفاضت نفسه، فاتیت عليا فاخبرته ففقال الله اكبر صدق رسول الله صلى الله عليه وسلم أبي الله ان يدخل طلحة الجنة الا وبيعتي في عنقه


হযরত ছওর ইবনে মাজহ্ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন : জামাল যুদ্ধে আমি যখন তালহার কাছে গেলাম, তখন তার মধ্যে সামান্য প্রাণ স্পন্দন অবশিষ্ট ছিল। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কোন্ দলের লোক? আমি বললাম আমি হযরত আলী (رضي الله عنه)-এর সহচরগণের একজন। তালহা বললেনঃ হাত বাড়াও। আমি তোমার বায়াত করব। আমি হাত বাড়ালে তিনি বায়াত করলেন। সেই মুহূর্তে তার আত্মা দেহপিঞ্জর থেকে উড়ে গল। আমি ফিরে এসে এই ঘটনা হযরত আলীকে (رضي الله عنه) শুনালে তিনি বললেন : আল্লাহু আকবার! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সত্য বলেছিলেন যে, আমার বায়াতের বেড়ি ঘাড়ে না নিয়ে তালহা জান্নাতে যাবে- এটা আল্লাহ তা'আলার পছন্দনীয় নয়।


হাদিস ৩৩:


وأخرج ابن عساكر من طريق سهل بن ابي حثمة، عن عبد الرحمن بن سهل الأنصاري الحارثي أحد من شهد أحدا قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم . ما كانت کنبوة قط إلا تبعتها خلافة، ولا كانت خلافة


قط إلا تبعها ملك، كانت صدقة قط إلا صارت مكسا.


উহুদ যুদ্ধে শাহাদত বরণকারী আব্দুর রহমান ইবনে সহল আনসারী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ প্রত্যেক নবুওয়তের পরে খেলাফত ছিল। প্রত্যেক খেলাফতের পরে বাদশাহী (রাজতন্ত্র) জন্ম নিয়েছে এবং প্রত্যেক যাকাত খেরাজ তথা ট্যাক্স রূপ ধার করেছে।

হযরত সফীনা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমার উম্মতে ত্রিশ বছর খেলাফত থাকবে। এরপর রাজতন্ত্র এসে যাবে। বলা বাহুল্য, চারটি খেলাফতের সময়কাল ছিল ত্রিশ।


হাদিস ৩৪:


وأخرج البهقي، عن حذيفة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إنكم في النبوة ما شاء الله أن تكون ثم يرفعها إذا شاء، ثم تكون خلافة على منهاج النبوة تكون ما شاء الله أن تكون، ثم يرفعها اذا شاء، ثم يكون ملك عضوض، ثم تكون جبرية ما شاء الله أن تكون، ثم يرفعها إذ شاء، ثم تكون خلافة على منهاج النبوة. فلما ولي عمر بن عبد العزيز ذكر له هذا الحديث وقيل له أن نرجو أن تكون بعد الجبرية، فسربه


হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه)-এর বর্ণনা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা নবুওয়তের সময়কালে জীবন যাপন করছ। আল্লাহ তা'আলা যতদিন চাইবেন, নবুওয়ত থাকবে। এরপর নবুওয়ত তুলে নেওয়া হবে এবং নবুওয়তের পদ্ধতিতে খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে। আল্লাহ যতদিন চাইবেন, এই খেলাফত অব্যাহত থাকবে। এরপর খেলাফত তুলে নেওয়া হবে এবং যুলুম ও অবিচারে পরিপূর্ণ রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সময় অত্যাচার ও নিপীড়ন চলবে। যত দিন আল্লাহ চাইবেন, এই অত্যাচার বাকী থাকবে। এরপর খতম হয়ে যাবে এবং নবুওয়তের পদ্ধতিতে খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে। হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আযীয (رحمة الله) যখন খলীফা হলেন, তখন তাঁর কাছে এই হাদীস বর্ণনা করা হল। গুণীজনেরা তাকে বললেনঃ আমরা আশা করি এই খেলাফত আপনার খেলাফত। একথা শুনে তিনি উৎফুল্ল হলেন।


হাদিস ৩৫:


وأخرج ابن أبي شيبة في (مسنده) من طريق عبد الملك بن عمير، عن معاوية قال: مازلت أطمع في الخلافة منذ قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم "يا معاوية إن ملكت فأحسن". وأخرج البيهقي، عن عبد الله بن عمير قال قال معاوية: والله ما حملني على الخلافة إلا قول النبي صلى الله عليه وسلم " يا معاوية إن وليت أمرا فاتق الله واعدل" فما زلت إظن اني مبتلي بعمل لقول النبي صلى الله عليه وسلم.


আব্দুল্লাহ ইবনে ওমায়ের বর্ণনা করেনঃ হযরত মুয়া'বিয়া  (رضي الله عنه) বলেনঃ একটি মাত্র বিষয় আমাকে খেলাফতের প্রতি উৎসাহিত করেছে। তা হচ্ছে রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই এরশাদ-হে মুয়া'বিয়া (رضي الله عنه), যদি তুমি শাসনকর্তা হও, তবে আল্লাহকে ভয় করবে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। আমি সর্বদা ভাবতাম যে, আমি শাসনকার্যে নিয়োজিত হব। কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একথা বলে দিয়েছেন।


হাদিস ৩৬:


وأخرج الطبراني، عن عائشة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال المعاوية " كيف بك لوقد قمصك الله قميصا يعني الخلافة فقالت ام حبيبة: نارسول الله وإن الله مقمص أخي قميصا قال نعم ولكن فيه هنات وهنات وهنات".


হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বর্ণনা : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুয়া'বিয়া (رضي الله عنه)কে বললেন : আল্লাহ তা'য়ালা যদি তোমাকে জামা পরিধাণ করান, অর্থাৎ খেলাফত দান করেন, তবে তোমার কি অবস্থা হবে? উম্মে হাবীবা (رضي الله عنه) আরয করলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আল্লাহ তা'আলা আমার ভাইকে জামা পরাবেন কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন,  অবশ্যই। কিন্তু এতে ভীষণ পরীক্ষা আছে। একথাটি তিনি তিনবার বললেন।


হাদিস ৩৭:


علي بن ابي طالب

واخرج عبد الله بن أحمد في (زوائد الزهد)، على علي بن ابي طالب قال: "لا تلعنوا بني أمية فأن فيهم أميرا صالحا " يعني عمر بن عبد العزيز


হযরত আলী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন,  

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেছেন, বনু উমাইয়াকে অভিসম্পাত করো না। কেননা, বনূ উমাইয়ার মধ্যে একজন সাধু পুরুষ হবেন যিনি ওমর ইবনে আব্দুল আযীয (رحمة الله)।


হাদিস ৩৮:


وأخرج أبو نعيم، عن ابن عباس قال: حدثني أم الفضل قالت: مررت بالنبي صلى الله عليه وسلم فقال : إنك حامل بغلام، فإذا ولدت فائتيني به قلت يارسول الله أني ذاك وقد تحالفت قريش أن لا يأتوا النساء قال هو ما قد اخبرتك قالت فلما ولدته اتيته به فاذن في أذنه اليمني واقام في اليسر والبأه . من ريقه وسماه عبد الله وقال إذهبي بأبي الخلفاء فأخبرت العباس فأتاه فذكر له فقال هو ما اخيرتك هذا أبو الخلفاء حتى يكون منهم السفاح حتى يكون منهم المهدي حتى يكون منهم من يصلي بعيسى عليه السلام.


ইমাম আবু নঈম (রহঃ) বর্ণনা করেনঃ 

হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, উম্মুল ফল আমার কাছে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন, যাতে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে গেলে তিনি বললেনঃ তুমি একটি শিশুর জননী হবে। সে ভূমিষ্ঠ হলে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে। আমি আরয করলামঃ শিশু কিরুপে হবে, কোরায়শরা তাকে কসম খেয়েছে যে, তারা স্ত্রীদের কাছে যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি তোমাকে যে খবর দিয়েছি, তাই হবে। মোটকথা, আমার একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে আমি তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খেদমতে উপস্থিত হলাম। তিনি শিশুর ডান কানে আযান দিলেন এবং বাম কানে একামত বললেন। অতঃপর তার মুখে আপন পবিত্র থুথু দিলেন। শিশুর নাম রাখলেন আব্দুল্লাহ। সবশেষে বললেনঃ খলীফাগণের পিতাকে নিয়ে যাও। আমি এই ঘটনা সম্পর্কে হযরত আব্বাসকে অবহিত করলাম। তিনি দোজাহানের বাদশা নবী (ﷺ) খেদমতে এসে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ- উম্মুল ফযল ঠিকই বলেছে। এই শিশু খলীফাগণের পিতা। সেই খলীফাগণের একজন সাফাহ এবং একজন মাহদী হবে। তাদের মধ্যে একজন সেই ব্যক্তিও হবে, যে হযরত ঈসা (আঃ)-কে নামায পড়াবে। [আবু নঈম]


হাদিস ৩৯:


واخرج الزبير بن بكار في (الموفقيات)، عن علي بن ابي طالب أنه أوصى حين ضربه ابن ملجم فقال في وصيته " إن رسول الله صلى الله عليه وسلم أخبرني بما يكون من اختلاف بعده، وأمرني بقتال الناكثين والمارقين والقاسطين، واخبرني بهذا الذي أصابني واخبرني انه يملك معاية والبنه يزيد ثم يصر الي بنيمرون يتوارثو نها وان ١٠٥ الأم رصائر البني امية ثم الى بني العباس واراني اتربة التة يقتل بها الحسين


যুবায়র ইবনে বাক্কার বর্ণনা করেনঃ যে সময় ইবনে মুলজিম হযরত আলী (رضي الله عنه)-এর উপর খুনীসুলভ হামলা করে, তখন হযরত আলী (رضي الله عنه) ওসিয়ত করেন যে, দোজাহানের বাদশা নবী (ﷺ) আমাকে পরবর্তীকালের মতবিরােধ সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। তিনি আমাকে বিশ্বাসঘাতক, ধর্মত্যাগী ও যালেমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে এই হামলা সম্পর্কেও খবর দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, মুয়া'বিয়া ও তার পুত্র ইয়াযীদ খেলাফত লাভ করবে। খেলাফত বনূ উমাইয়ার হাতে চলে যাবে। তারা একে উত্তরাধিকার স্বত্বে পরিণত করবে। এরপর আসবে বনি আব্বাস । দোজাহানের বাদশা নবী (ﷺ) আমাকে সেই ভূখণ্ডও দেখিয়েছেন, সেখানে হুসাইনকে শহীদ করা হবে। 

Top