অধ্যায়ঃ জামাতের সাথে নামায, উহার ফজিলত ও হুকুম
باب صلوٰة الجماعة فضلها وحكمها
صلوٰة الجماعة واجبة – فعن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله ﷺ والذى نفسى بيده لقدهممت ان آمر بحطب فيحطب ثم آمر بالصلوٰة فيؤذن لها- ثم آمرر جلافيؤم الناس الخ – وفى رواية لايشهدون الصلوٰة – فاحرق عليهم بيوتهم .
فضلها : مضاعفة الاجر- عن ابن عمر قال رسول الله ﷺ صلوٰة الجماعة تفضل صلوٰة الفذبسبع وعشرين درجة (رواه البخارى) تكفير السيئات ورفع الدرجات – عن ابن مسعود رضى الله عنه انه قال وما من رجل يتطهر فيحسن الطهور ثم يعمد الى مسجد من هذه المساجد الاكتب الله له بكل خطوة يخطوها حسنة ويرفعه درجة ويحط عنه بها سيئة (رواه مسلم) صلوٰة العشاء والفجر بجماعة تعدلان قيام الليل – عن عثمان رضى الله عنه ان رسول الله ﷺ قال من صلّٰى العشاء فى جماعة فكأنما قام نصف الليل ومن صلّٰى الصبح فى جماعة فكأنما صلّٰى الليل كله (رواه مسلم)( شهادة المؤمنين للمصلى بجماعة بالايمان- عن ابى سعيد الخدرى رضى الله عنه قال ان رسول الله ﷺ قال اذارأيتم الرجل يعتاد المساجد فاشهد واله بالايمان (رواه احمد) تظلل صاحبها بظل الله تعالٰى يوم لاظل الاظله – عن ابى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله ﷺقال سبعة يظلهم الله فى ظله يوم لاظل الاظله ورجل قلبه معلّق بالمسجد اذا خرج منه حتى يعود اليه (رواه البخارى) عمارة بيوت الله تعالٰى بالصلاة فيها وذلك علامة الايمان – قوله تعالٰى انما يعمر مساجدالله من اٰمن بالله واليوم الآخر واقام الصلوٰة (التوبه)
دعاء الملائكة له بالمغفرة والرحمة – عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله ﷺ صلاة الرجل فى الجماعة تضعف على صلاته فى بيته وفى سوقه خمسا وعشرىن ضعفا- وذلك انه توضأ فاحسن الوضوء ثم خرج الى المسجد لايخرجه الاالصلوٰة لم يخط خطوة الارفعت له بها درجة وحط عنه بها خطيئة – فاذا صلى لم تزل الملائكة تصلى عليه مادام فى مصلاه – اللهم صل عليه – اللهم اغفرله اللهم ارحمه – ولايزال احدكم فى صلوٰة ما انتظر الصلاة (متفق عليه)
জামাতের সাথে নামায ওয়াজিব। হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেন, সে সত্তার শপথ যার কুদরতি হাতে আমার প্রাণ, আমি ইচ্ছা করছি লাকড়ি জমা করার হুকুম দেব, লাকড়ি জমা করা হবে। অত:পর নামাযের হুকুম দেব, আযান দেয়া হবে এবং এক ব্যক্তিকে হুকুম দেব যেন সে লোকজন নিয়ে জামাতের সাথে নামায আদায় করে...। অন্য বর্ণনায়- যারা নামাযে উপস্থিত হয় না, তাদেরকে সহ তাদের ঘরবাড়ি জালিয়ে দেব।
জামাতের ফযিলত:
🌱 বিনিময় বৃদ্ধি- হযরত ইবনু ওমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, জামাতের সাথে নামাযের ছওয়াব একাকীত্ব নামাযের চেয়ে সাতাশগুণ বেশী। (বুখারী শরীফ)
🌱 গুনাহর ধ্বংসক ও মর্যাদা বৃদ্ধি- হযরত ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলে খোদা (ﷺ) এরশাদ করেন, এমন কোন লোক নেই যিনি অতীব সুন্দর যতœসহকারে পবিত্রতা অর্জন করেন অত:পর এ সব মসজিদগুলোর যে কোন একটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তার অতিক্রমকৃত কদমগুলোর প্রত্যেকটির বিনিময়ে যথাক্রমে একটি করে নেকী, একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি ও একটি করে গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (মুসলিম শরীফ)
🌱 এশা ও ফজরের নামায জামাতের সাথে সারারাত্রি জাগ্রত থেকে ইবাদতে মগ্ন থাকার সমতুল্য- হযরত ওসমান (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে এশার নামায জামাতে পড়েছেন সে যেন অর্ধ রাত্রি ইবাদতে কাঠিয়েছেন এবং যে ফজরের নামায জামাতে পড়েছেন সে যেন সারা রাত্রি ইবাদতে অতিবাহিত করেছেন। (মুসলিম শরীফ)
🌱 জামাতের সাথে নামায আদায়কারীকে মুমিনরা ঈমানের সাক্ষ্য প্রদান- আবু সাঈদ কুদরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেন, তোমরা কোন লোককে মসজিদে যাতায়াতে অভ্যস্ত দেখলে তাঁকে ঈমানদার বলে সাক্ষ্য দাও। (ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন)
🌱 আল্লাহ তায়ালার ছায়াতলে স্থান দেয়া যে দিন আল্লাহর ছায়া ব্যতীত অন্য কারো ছায়া থাকবে না- হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় প্রিয় হাবীব (ﷺ) এরশাদ করেন, সাত প্রকারের লোকদেরকে আল্লাহ তায়ালা স্বীয় ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত অন্য কারো ছায়া থাকবে না। তাদের মধ্যে এক শ্রেণী যাদের অন্তর মসজিদ থেকে বের হয়ে পুনরাগমন পর্যন্ত মসজিদের সাথে ঝুলানো থাকে। (বুখারী শরীফ)
🌱 জামাতে নামায আদায় করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ তায়ালার ঘর নির্মাণ করা; ইহা ঈমানের নিদর্শন। আল্লাহ তায়ালার বাণী- নিশ্চয় সে ব্যক্তি আল্লাহর ঘর নির্মাণ করেন যে আল্লাহ ও পরকালকে বিশ্বাস করেন এবং নামায কায়েম করেন। (সূরা তাওবা)
🌱 ফেরেশতা কর্তৃক জামাতে নামায আদায়কারীর জন্যে ক্ষমা ও রহমতের প্রার্থনা- হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযুর (ﷺ) এরশাদ করেন, ঘরে বা বাজারে একাকী নামাযের চেয়ে পুরুষের জামাতের সাথে নামায পঁচিশগুণ বৃদ্ধি পাবে। ইহা এ জন্যে তিনি অতীত সুন্দররূপে অযু করেছেন অত:পর নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে যেতে বের হলেন। তার এক একটি কদমে দরজা বুলন্দ হবে এবং এক একটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে। নামায আরম্ভ করে শেষ করা পর্যন্ত ফেরেশতাগণ এ বলে প্রার্থনা করবে- হে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন! হে র্আলাহ তাকে রহমত করুন! যে ব্যক্তি নামাযের অপেক্ষায় যতক্ষণ রইল ততক্ষণ সে নামাযেই রইল। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)