পর্দা নারীর ইজ্জতের গ্যারান্টি
অনিয়ম অরাজকতা নেই জঙ্গলের হিংস্র হায়েনাদের মাঝে। বাঘের গুহায় সিংহ প্রবেশ করে না। শৃগালের গর্তে বাঘ প্রবেশ করে না। হিংস্র অসভ্য হয়েও তারা নিজ নিজ অবস্থানে আছে। মহাবিশ্বেও নেই কোন অনিয়ম, নেই কোন ঝগড়া-ফ্যাসাদ। অগণিত তারকারাজি পৃথিবী থেকে ১৩ লক্ষগুণ বড় সূর্য, রাতের মায়াময়ী চন্দ্র গ্রহ নক্ষত্র সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে চলেছে অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে। নিজের কক্ষপথ পরিত্যাগ করে অন্যের কক্ষপথে কেউ কোন দিন ঘোরাফেরা করার জন্য মুহুর্তের জন্যও যায়নি। যাবেও না কোন দিন। এ জন্যই এরা সৃষ্টির পর থেকে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়নি। একটার সাথে আরেকটা ধাক্কা লেগে টুকরা টুকরা হয়ে মাটিতে পড়ে যায়নি। ধ্রুব তারা সৃষ্টির পর থেকে উত্তর আকাশে নির্দিষ্ট স্থানে উদিত হচ্ছে এবং আল্লাহর বিধান মেনে স্বীয় কর্তব্য পালন করে দিক নির্ণয়ের পস্থা নিরূপণ করে চলছে। সূর্য পূর্বাকাশ থেকে সকালবেলা লাল হয়ে উদিত হচ্ছে নিয়মিতভাবে। ধ্রুব তারা উত্তর আকাশ হতে সরে গিয়ে কোনদিন পূর্ব পশ্চিম অথবা দক্ষিণ আকাশের কোলে আবিভূত হয়নি। সূর্য সবুজ বা কালো কিংবা সাদা হয়ে পশ্চিম দক্ষিণ কিংবা উত্তর আকাশে সন্ধ্যে দুপুর বা বিকেলে উদিত হয়নি। পূর্ণ চব্বিশ ঘণ্টাতেই দিবা রাত্রি সংঘটিত হচ্ছে। কখনো ২৩ বা ২৫ ঘণ্টাতে হচ্ছে না। কোন অমাবশ্যায় পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যায় না, আবার কোন রাহু গ্রাসে পূর্ণিমার রাতে অমাবশ্যাও হয় না। এত সব সুশৃংখলাতে কারো কোন কারিগরি নেই। অদৃশ্য মহান শক্তির নির্ধারিত নিয়মেই বিশ্বের প্রতিটি পদার্থ তার কাজ করে চলেছে। অন্যথায় জীবন হয়ে উঠবে অচল ও দুর্বিষহ। পুরুষের পরিবর্তে নারীর স্বাভাবিকভাবে গোঁফ দাড়ি উঠে না। আর নারীর পরিবর্তে পুরুষের গর্ভে সন্তান উৎপাদনের অনিয়ম ও অব্যবস্থার অপূর্ণতা চরম পর্যায়ে উপনীত হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বয়ে চলেছে নিয়মের রাজত্ব। তেমনি পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এবং সংঘাত বিপর্যয়ের হাত থেকে পরিত্রাণ কল্পে মহান আল্লাহ নারী-পুরুষের অবস্থান ও কর্মক্ষেত্র পৃথক পৃথক গণ্ডী নির্ধারণ করে দিয়েছেন।