❏ প্রশ্ন-২০৬: آيات الحفظ বা হিফাযত বা সংরক্ষণের আয়াত কাকে বলে?
✍ উত্তর: কোরআনে কারিমের যে সমস্ত আয়াতে হেফাযতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। تعويذ বা স্মরণীয় আর হিফাযতের আয়াতগুলো নিম্নরূপ:
১.আয়াতুল কুরসী।
اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَۚ اَلۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ ۬ۚ لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّ لَا نَوۡمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَہٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِہٖ ؕ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مَا خَلۡفَہُمۡ ۚ وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِہٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ کُرۡسِیُّہُ السّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ وَ لَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفۡظُہُمَا ۚ وَ ہُوَ الۡعَلِیُّ الۡعَظِیۡمُ .
২. فَاللهُ خَيْرٌ حَافِظًا وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
‘অতএব আল্লাহ তা’আলা উত্তম হিফাযতকারী এবং তিনিই সর্বাধিক দয়ালু।’
263. সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৬৪
৩. لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللهِ
‘তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্র,পশ্চাতে, আল্লাহর হুকুমে তারা ওদের হিফাযত করে।
264. সূরা রা‘দ, আয়াত: ১১
৪. وَحَفِظْنَاهَا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ رَجِيمٍ
‘আমি আকাশকে প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে নিরাপদ করে দিয়েছি।’
265. সূরা হিজর, আয়াত: ১৭
৫. وَحِفْظًا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ مَارِد
‘এবং তাঁকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে।’
266. সূরা আস-সাফ্ফাত, আয়াত: ৭
❏ প্রশ্ন-২০৭: آيت الفتح ‘বিজয়ী আয়াত’ কোন আয়াতকে বলে?
✍ উত্তর: آيت الفتح ,কে বিজয় কিংবা মুক্তির আয়াত বলা হয়। যথা:,
وَعِنْدَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِنْ وَرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الْأَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُبِينٍ.
‘তাঁর নিকট অদৃশ্য জগতের সমস্ত চাবি রয়েছে। এগুলো তিনি ছাড়া অন্য কেউ জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে, তিনি সবই জানেন। কোন পাতা ঝরলে সেটাও তিনি জানেন। কোন শস্যকণা মৃত্তিকার অন্ধকারে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুষ্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে লৌহে মাহফুযে সংরক্ষিত রয়েছে।’
267. সূরা আন‘আম, আয়াত: ৫৯
অর্থাৎ- লওহে মাহফুযে উক্ত আয়াতে কারীম (ﷺ)কে অধিকহারে পড়া হতো; বিশেষতঃ নামাযের পর ৪০ বার পড়লে অন্তরের সকল উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যায়।
❏ প্রশ্ন-২০৮: بارى এবং باديه سماوه এর তাহ্কীক বা ব্যাখ্যা বিশেষণ কি?
✍ উত্তর: بَارِىُ এটা আল্লাহ তা‘আলার নিরানব্বই নামের একটি। অর্থ- প্রত্যেক বস্তুর আবিষ্কারক বা স্রষ্টা। এ শব্দটি بَرَأَ থেকে নির্গত। যা সৃষ্টি ও অস্তিত্বদান অর্থে ব্যবহৃত হয়। এ ইসিম বা নামটি কুরআনে কারীম(ﷺ) হুবহু উল্লেখ আছে। যথা:-
هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى .
‘তিনিই মহান আল্লাহ্ তা‘আলা, যিনি স্রষ্টা, আবিষ্কারক, আকৃতিদাতা, উত্তম নামসমূহ তাঁরই।
268. সূরা আল-হাশর, আয়াত: ২৪
باديه سما‘ এটা একটি অরণ্য মরুপ্রান্তর। যা দুমাতুল্ জন্দল হতে আইনুত্ তমর পর্যন্ত পৌঁছেছে। উক্ত মরুভূমিতে তরিতরকারি ও শাক-সবজি অধিক পাওয়া যায় এবং সেখানে পানির ঝরণাও আছে। এর নিকটবর্তী কাদেসীয়া মরুদ্যান অবস্থিত।