❏ প্রশ্ন-১৯৮: ইন্জেকশনের মাধ্যমে জন্তু যেমন-গরু, মহিষ ইত্যাদির বংশ বিস্তারের জন্য গর্ভধারণের ব্যবস্থা করা শরয়ী বিধান মতে বৈধ কি-না? বর্ণনা কর।
✍ উত্তর: প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা আল্লাহ্ তা‘আলা। তিনি বিভিন্ন বস্তুকে বিভিন্ন মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন এবং স্তর বিশেষ ও শ্রেণি অনুপাতে অস্তিত্ব দান করেছেন। এসব আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন। যেহেতু জীব-জন্তুর মধ্যে বংশীয় দিক ও সম্পর্কের প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী বিষয় নয়। তাই জন্তুর মধ্যে মা জন্তুই আসল ও মূল এবং বাচ্চাও হালাল-হারাম হওয়ার ব্যাপারে মা জন্তুর অনুসরণে হয়ে থাকে। সুতরাং জন্তুর বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা কোন খারাপ ও মন্দ কাজ নয়। আল-আশবাহ ওয়ান নযায়ের গ্রন্থের শরায় ইমাম সৈয়দ আহমদ ইবনে মুহাম্মদ আল-হুমুভী আল-মিসরী (رحمه الله تعالي ) বলেন,
والمولود بين الاهلى والوحشى يتبع الام لان الاصل فى التبعيّة الام حتى ان نرى الذئب على الشأة يعنى بالولد .
‘গৃহপালিত ও বন্য গাধার প্রজননে বাচ্চা জন্ম হলে বাচ্চার ওপর মায়ের হুকুম বর্তাবে। কেননা এ ক্ষেত্রে মা-ই আসল। এমনকি যদি নেকড়ে বাঘের প্রজননে ছাগল গর্ভবতী হয়, ওই বাচ্চার ওপর ছাগলের হুকুম বর্তাবে।’
243. গম্যে উয়ূনুল বসায়ের, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৩৩৭।
এটা মানবজাতির সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ মানব বৃদ্ধিতে পিতাই আসল এবং পিতা থেকেই বংশধারা ও মানব পরিচিতি হয়ে থাকে।
ইমাম আবু বকর আহমদ ইবনে আলী আল-রাযী আল-জাস্সাস (رحمه الله تعالي ) বলেন,
ولو ولدت حمارة وحشية من حمار اهلى أكل ولدها، فكان الولد تابعًا لامه دون ابيه .
‘জঙ্গলী গাধা (গয়াল) যদি পালিত গাধার প্রজননে বাচ্চা দেয় তবে ঐ বাচ্চা খাওয়া জায়েয (মায়ের হুকুমে) বাপের হুকুম এখানে বর্তাবে না।’
244. আহকামুল কোরআন লিল জাস্সাস, সূরা আন-নাখল, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৩।