46 - بَابُ مَا جَاءَ فِي الْغُسْلِ يَوْمَ الْـجُمُعَةِ
138 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ يَحْيَىٰ بْنِ سَعِيْدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ: كَانُوْا يَرُوْحُوْنَ إِلَى الْـجُمُعَةِ، وَقَدْ عَرَقُوْا وَتَلَطَّخُوْا بِالطِّيْنِ، فَقِيْلَ لَـهُمْ: مَنْ رَاحَ إِلَى الْـجُمُعَةِ، فَلْيَغْتَسِلْ.
وَفِيْ رِوَايَةٍ: كَانَ النَّاسُ عُمَّارَ أَرْضِهِمْ، وَكَانُوْا يَرُوْحُوْنَ يُخَالِطُهُمُ الْعَرَقُ وَالتُّرَابُ، فَقَالَ لَـهُمْ رَسُوْلُ اللهِ : «إذَا حَضَرْتُمُ الْـجُمُعَةَ، فَاغْتَسِلُوْا».
বাব নং ৬১. ৪৬. জুমার দিনে গোসল প্রসঙ্গে
১৩৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা ইয়াহিয়া থেকে, তিনি আমরাহ্ থেকে, তিনি হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, লোকজন জুমার নামাযে অংশগ্রহণ করার জন্য এই অবস্থায় আগমণ করতেন যে, তাদের শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হতো এবং শরীরে ধুলিমাখা থাকতো। অতঃপর তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হলো যে, যারা জুমার নামাযে অংশগ্রহণের জন্য আগমণ করবে তারা যেন গোসল করে।
অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে যে, লোকজন কৃষিকাজ করত। যখন জুমার নামাযের জন্য গমণ করত, তখন ঘাম ও ধুলিবালিতে জর্জরিত থাকত। এ অবস্থায় রাসূল (ﷺ) বলেন, তোমরা জুমার নামাযে যাওয়ার পূর্বে গোসল করে নিবে। (মুসান্নিফে ইবনে আবি শায়বা, ১/৪৩৫/৫০১৪)
ব্যাখ্যা: ইমাম মালিক (رحمة الله)’র মতে জুমার দিন গোসল করা ওয়াজিব। জমহুর ওলামা ও ইমামগণের মতে সুন্নত। উভয় দল সহীহ হাদিস দ্বারা দলীল পেশ করে থাকেন। তবে যেসব হাদিসে সীগায়ে আমর ব্যবহার হয়েছে তা দ্বারা ওয়াজিব নয় বরং সুন্নত উদ্দেশ্য হবে এবং এটাই সঠিক।
139 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ وَمَنْصُوْرٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ كُلُّهُمْ: عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ: «اَلْغُسْلُ يَوْمَ الْـجُمُعَةِ عَلَىٰ مَنْ أَتَى الْـجُمُعَةَ».
১৩৯. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা, মনসূর এবং মুহাম্মদ ইবনে বিশর সকলেই নাফে থেকে, তিনি ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, জুমার দিন জুমার নামায আদায় উপলক্ষে আগমণকারীর জন্য গোসল করা আবশ্যক।