৬৪- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ صَلَاةِ الْاِسْتِخَارَةِ

١٦٨- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ نَاصِحٍ، عَنْ يَحْيَىٰ، عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ  يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَهْ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّوْرَةَ مِنَ الْقُرْآنِ.


বাব নং ৭৬. ৬৪. ইস্তিখারার নামাযের বর্ণনা


১৬৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা নাসেহ থেকে, তিনি ইয়াহিয়া থেকে, তিনি আবু সালমা থেকে, তিনি আবু হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  আমাদেরকে ইস্তিখারা এমনভাবে শিক্ষা দিতেন যেভাবে পবিত্র কুরআনের কোন সূরা শিক্ষা দিতেন। 

(আবু দাউদ, ২/৮৯/১৫৩৮)


ব্যাখ্যা: ইসতিখারার নামায নফল। হাদিসে বর্ণিত দোয়া পাঠের বরকতে আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয় বান্দাকে সঠিক সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দেবেন বলে আশা করা যায়। অনেক সময় স্বপ্নের মাধ্যমে জানিয়ে দেন আবার কোন কোন সময় মনের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্তের প্রতি মনের আগ্রহ বাড়িয়ে দেন, অথবা ভুল সিদ্ধান্ত থেকে মনকে ফিরিয়ে রাখেন। এ উভয়টি আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে। তবে মনে রাখতে হবে কোন ফরয-ওয়াজিব কিংবা হালাল-হারামের বেলায় ইস্তিখারা করা যাবে না। এটা শুধু মুবাহ কাজের বেলায় প্রযোজ্য হবে। 


١٦٩- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ  يُعَلِّمُنَا الْاِسْتِخَارَةِ فِي الْأَمْرِ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّوْرَةَ مِنَ الْقُرْآنِ.


وَفِيْ رِوَايَةٍ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «إذَا أَرَادَ أَحَدُكُمْ أَمْرًا، فَلْيَتَوَضَّأْ، وَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيْضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلِ: اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ، وَاسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ، فَإِنَّكَ تَعْلَمُ وَلَا أَعْلَمُ، وَتَقْدِرُ وَلَا أَقْدِرُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ، اَللّٰهُمَّ إِنْ كَانَ الْأَمْرُ خَيْرًا لِيْ فِيْ مَعِيْشَتِيْ، وَخَيْرًا لِيْ فِيْ عَاقِبَةِ أَمْرِيْ، فَيَسِّرْهُ لِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْهِ».


وَزَادَ فِيْ رِوَايَةٍ: «وَإِنْ كَانَ غَيْرُهُ فَاقْدُرْ لِيَ الْـخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ رَضِّنِيْ بِهِ».


১৬৯. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি আলকামা থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  আমাদেরকে পবিত্র কুরআনের সূরার ন্যায় ইস্তিখারার নামাযের শিক্ষা দিতেন।

অন্য এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, রাসূল (ﷺ)  বলেছেন: যখন তোমাদের মধ্যে কেউ কোন কাজ করার ইচ্ছা করবে, তখন ফরয ব্যতীত দু’রাকাত নামায পড়বে। এরপর বলবে- হে আল্লাহ! আমি তোমার ইলমের উসিলায় তোমার কাছ থেকে মঙ্গল কামনা করছি। তোমার কুদরতের উসীলায় তোমার কুদরতের আশা করছি। আমি তোমার দয়া ও বরকতের প্রার্থী। কেননা তুমি সর্বজ্ঞানী আমি অজ্ঞ, তুমি ক্ষমতাবান আমি অক্ষম। তুমি অদৃশ্যের খবর সম্পর্কে জ্ঞাত। হে আল্লাহ! যদি এই কাজ আমার জীবনের জন্য মঙ্গল হয়, আমার সর্বশেষ পরিণামের জন্য উত্তম হয়, তবে এটা আমার জন্য সহজ করে দাও এবং এতে আমার জন্য বরকত দান কর।

অন্য এক রেওয়ায়েতে একটু বৃদ্ধি রয়েছে যে, যদি এর বিপরীত হয়, তবে আমার জন্য কল্যাণ দান কর, যেখানেই হোক না-কেন। অতঃপর আমাকে এর উপর সন্তুষ্ট রাখ।


ব্যাখ্যা: ইস্তিখারার নামায এরূপ কোন গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী কাজের জন্য পড়া হয়, যে সমস্ত কাজের ভাল-মন্দ ও লাভ-লোকসান সম্পর্কে মনের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয় এবং মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি কোন একটিকে প্রাধান্য দিতে দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে থাকে। যেমন কোন দিকে ভ্রমণ করবে, বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি। তবে সাধারণ কাজে ইসতিখারার প্রয়োজন নেই।

Top