বিবাহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য


বিবাহের লক্ষ্য হচ্ছে-অশ্লীলতা ও ব্যভিচার থেকে নিজেকে সংরক্ষণ করা, অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে ধ্বংস থেকে নারীর সত্ত্বা রক্ষা করা। ঈমানদার সন্তান লাভ করা মানব বংশধারা সংরক্ষণ করা এবং ঘর-সংসার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করা।


বিবাহের শরয়ী বিধান


অবস্থাভেদে বিবাহের হুকুম বিভিন্ন হয়ে থাকে, কোনো কোনো অবস্থায় সুন্নাত কখনও ফরয আবার কখনও মাকরূহ ও হারাম হয়ে থাকে। 


স্বাভাবিক অবস্থায় বিবাহ করা সুন্নাত। অর্থাৎ কোনো পুরুষ যখন মাহর আদায়ে ও স্ত্রীর ভরণ-পোষণের খরচ নির্বাহে সক্ষম এবং যৌনমিলনে সামর্থবান হয় তখন তার জন্য বিবাহ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।


যৌন আবেগ যদি প্রবল হয়ে ওঠে তখন বিবাহ করা ওয়াজিব আর দুর্দমনীয় যৌনাবেগের কারণে যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার উপক্রম হলে তখন বিবাহ করা ফরয। তবে উভয় অবস্থায় তাকে মাহর আদায় ও স্ত্রীর খোরপোশ দানে সক্ষম হতে হবে। 


স্ত্রীর প্রতি যুলুমের আশঙ্কা দেখা দিলে অর্থাৎ স্ত্রীর বৈবাহিক অধিকারসমূহ পূরণে অসমর্থ হলে বিবাহ করা মাকরূহে তাহরীম আর আশঙ্কা নিশ্চিত হলে সেক্ষেত্রে বিবাহ করা হারাম। ৬৬

৬৬.আল্লামা সৈয়দ আমীন ইবনে আবেদীন শামী র. (১২৫৩ হি.) ফাতোয়া শামী,  খণ্ড ২

 

বিবাহ সংঘটিত হয় ইজাব ও কবুল দ্বারা। এ দু’টি বিবাহের রুকন এবং উভয়টি ক্রিয়াপদ হতে হবে। উভয়টি অতীতকাল প্রকাশক হতে হবে অথবা একটি অতীতকাল ও অপরটি ভবিষ্যতকাল হলেও চলবে। বিবাহের জন্য দু’জন পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সাক্ষী শর্ত। সাক্ষীদের আযাদ, বুদ্ধিমান, প্রাপ্তবয়স্ক ও মুসলমান হতে হবে। ৬৭

৬৭.আল্লামা বুরহান উদ্দিন আলী ইবনে আবি বকর র. (৫৯৩ হি.) আল হিদায়া,  কিতাবুন নিকাহ, খণ্ড ২, পৃ. ২৮৫

Top