৯- بَابُ مَا جَاءَ فِي النَّفْقَةِ وَالسُّكْنَىٰ لِلْمَبْتُوْتَةِ
٢٩٤- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْـخَطَّابِ : لَا نَدَعْ كِتَابَ رَبِّنَا وَسُنَّةَ نَبِيِّنَا بِقَوْلِ امْرَأَةٍ، لَا نَدْرِيْ صَدَقَتْ أَمْ كَذَبَتْ؟ الْـمُطَلَّقَةُ ثَلَاثًا لَـهَا السُّكْنَىٰ وَالنَّفَقَةُ.
বাব নং ১৪২. ৯. তালাকপ্রাপ্তা মহিলার জন্য ভরণ-পোষণ ও বাসস্থান প্রসঙ্গে
২৯৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি আসওয়াদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (رضي الله عنه) বলেন, আমরা একজন নারীর কথায় আমাদের প্রভূর কিতাব এবং আমাদের সুন্নত পরিত্যাগ করতে পারিনা। আমরা জানিনা যে, সে সত্য বলছে না মিথ্যা। তিন তালাক প্রাপ্তা মহিলার জন্য বাসস্থান এবং ভরণ-পোষণ উভয় দিতে হবে।
(আল মু’জামুল কবীর, ৯/৩৪২/৯৭০০)
ব্যাখ্যা: হাদীসে নারী দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ফাতিমা বিনতে কায়েস ইবনে খালেদ ফাহরী যিনি দ্বাহক এর বোন ছিলেন এবং হিজরত কারীনী ছিলেন। হাদিসে বর্ণিত বিষয় হলো- তিন তালাক প্রাপ্তা মহিলার জন্য বাসস্থান ও ভরণ পোষণ দিতে হবে কি হবে কি না?
ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) বাসস্থান ও ভরণ-পোষণ উভয়ের পক্ষে মত দিয়েছেন। ইমাম আহমদ (رحمة الله) উভয়টা অস্বীকার করেছেন। আর ইমাম শাফেঈ ও মালিক (رضي الله عنه) বাসস্থান স্বীকার করেন কিন্তু ভরণ-পোষণ অস্বীকার করেন। হাম্বলী মাযহাবের দলীল হলো- হাদিসে ফাতেমা যা সিহাহ সিত্তাহ্ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, যাতে তিন তালাক প্রাপ্তা মহিলার জন্য বাসস্থান ও ভরণ পোষণ কিছুই নেই। কেননা তিনি (ফাতেমা) বলেন, আমার স্বামী আমাকে তালাক দিলে আমি নবী করমি (ﷺ) কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমার জন্য বাসস্থান ও ভরণ-পোষণ কিছুই নির্ধারণ করেন নি।
❏শাফেঈ ও মালিকীগণ কুরআনের আয়াত
اسكنوهن من حيث سكنتم
“যেখানে তোমরা থাক সেখানে তাদেরকে রাখ।”
(সূরা তালাক, আয়াত, ৬৫) দ্বারা দলীল গ্রহণ করেন যে, তাদেরকে বাসস্থান দিতে হবে।
❏হানাফী মাযহাবের পক্ষে কুরআনের অনেক আয়াত রয়েছে। যেমন- لاتخرجوهن من بيوتهن
“তোমরা তাদেরকে তাদের ঘর থেকে বের করে দিওনা।”
(সূরা তালাক, আয়াত, ১)
❏অন্যত্র বলা হয়েছে اسكنوهن من حيث سكنتم
“যেখানে তোমরা থাকবে সেখানে তাদেরকেও রাখ।” (সূরা তালাক, আয়াত, ৬৫)
❏ভরণ-পোষণের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে-
وللمطلقات متاع بالمعروف তালাকপ্রাপ্তা মহিলাদেরকে উত্তমভাবে মাতা বা ভরণ-পোষণ দিতে হবে।”
❏আরো বলা হয়েছে- لينفق ذوسعة من سعته “সামর্থবানদের উচিত তাদের সামর্থ অনুযায়ী যেন খরচ করে।”
(সূরা তালাক, আয়াত, ৭)
❏অথবা বলা হয়েছে-
وعلى المولود له رزقهن وكسوته
যাদের সন্তান রয়েছে তাদের জন্য খাবার ও কাপড় সাব্যস্ত হবে।”
(সূরা বাকারা, আয়াত, ২৩৩)