নারী ও ফেরীওয়ালা


নারীদের জন্য মাহরাম (যাদের সাথে বিবাহ হারাম) ব্যতিত অন্য কাউকে দেখা দেওয়া নিষিদ্ধ ও কবীরা গুনাহ। যেখানে স্বামীর বড় ভাই, ছোট ভাইকে পর্যন্ত দেখা দেওয়া জায়েয নেই সেখানে নারীরা অহরহ ফেরীওয়ালা অচিন পুরুষকে শুধু দেখা দিচ্ছেনা বরং গায়ের কাছে গিয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বা বসে হাসিমুখে দরদাম করে জিনিসপত্র ক্রয় করে। এ সময় ফেরীওয়ালা ও নারীর আচরণ দেখে মনে হয় তারা একে অপরের অত্যন্ত আপনজন। ফেরীওয়ালা দেখলে নারীরা মনেই করেনা যে, ওরা পরপুরুষ। পাঁচ-দশ টাকা কম দামে কিনার উদ্দেশ্যে অনেকেই তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। অথচ সাধারণ পুরুষের চেয়ে এরা আরো মারাত্মক, এদের থেকে বেশী পর্দা করা উচিত। কারণ এরা পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন জনের ঘরে যাওয়া-আসা করে এবং এক পরিবারের গোপনীয়তা অন্য পরিবারের কাছে ফাঁস করে। এক জনের দোষ-ত্রুটি অপর জনের নিকট বর্ণনা করে বেড়ায়।এরূপ দৃশ্য স্বামী বা স্বামী পরিবারের কোন পুরুষ দেখলেও কিন্তু নারীদেরকে কিছুই বলেনা বরং মৌন সম্মতি প্রকাশ করে এটাকে পারিবারিক ভাবে বৈধ ঘোষণা করে। কোন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ নিজের স্ত্রীকে এভাবে পর পুরুষের সাথে খোলামেলাভাবে আলাপ চারিতায় দেখে নিরব থাকতে পারেনা। সুতরাং স্বামী ও গৃহকর্তার উচিত বাঁধা প্রদান করা এবং কঠোর হুঁশিয়ার করে দেওয়া।

Top