বিষয় নং- ১২: আগে সালাম তারপর কালাম।


ইমাম তিরমিযী (رحمة الله) তার হাদিস গ্রন্থে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন উক্ত হাদিসটিকে আহলে হাদিস নাসিরুদ্দিন আলবানী জাল বলেছেন তার ‘সিলসিলাতুস আহাদিসিদ দ্বঈফাহ’ গ্রন্থের ৩/১৪২ পৃষ্ঠায় হাদিস : ১৭৩৬ এ। 


ক. ইমাম তিরমিযি (رحمة الله) সংকলন করেন-


عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ ؓ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : السَّلاَمُ قَبْلَ الكَلاَمِ.-


-‘‘হযরত জাবের (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,  কথাবার্তার পূর্বেই সালাম দিতে হবে।’’  ১৩৮ 

➥{ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী : আস সুনান : ৪/৩৫৬ পৃ. হা/২৬৯৯ কিতাবুল আদাব, মুত্তাকী হিন্দী : কানযুল উম্মাল ৯/১২২ পৃ.: হা/২৫২৯১,  ইমাম ইবনে আদী : আল-কামিল : ৬/২২১০ পৃ., আজলূনী : কাশফুল খাফা : ১/৪০২ পৃ. হা/১৪৮১, সুয়ূতি : দুররে মানসুর : ৫/৩৯ পৃ. সুয়ূতি : জামেউস সগীর : ২/৩৬১ পৃ. হা/৪৮৪২  ও জামিউল আহাদিস, ১৩/৩৮১ পৃ. হা/১৩৩৪৮  ও ২০/১১২ পৃ. হা/২১৬৪৩, ইমাম আবু ই‘য়ালা : আল-মুসনাদ :৪/৪৮ পৃ. হা/২০৫৯, খতিব তিবরিযী : মিশকাত : ৩/১৬৫ পৃ. কিতাবুল আদব : হা/৪৬৫৩, আবু সাঈদ বিন আরাবী, মু‘জামে ইবনে আরাবী, ২/৫৪৩ পৃ. হা/১০৫৯, ক্বদায়ী, মুসনাদে শিহাব, ১/৫৬ পৃ. হা/৩৪, ইবনে মুকরী, মু‘জামে ইবনে মুকরী, ১/৩০৯ পৃ. হা/১০০১, ইবনে আছির, জামিউল উসূল, ৬/৫৯৬ পৃ. হা/৪৮৪০, সুয়ূতি, আদ্দুরুল মুনতাসিরাহ, ১/১৩২ পৃ. হা/২৬০, শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর, ২/১৬৫ পৃ. হা/৭০৪৯, আজলূনী, কাশফুল খাফা, ১/৪৫৪ পৃ. হা/১৪৮৩, তিনি বলেন, সনদটি দ্বঈফ, দরবেশহুত, আস্-সুনানিল মুত্তালিব, ১/১৬৩ পৃ. হা/৭৭৮, আলবানী,  দ্বঈফু জামে, হা/৩৩৭৩, দ্বঈফু সুনানে তিরমিযি,  হা/২৬৯৯, তিনি বলেন, হাদিসটি জাল।}



❏ উক্ত হাদিসটির সনদ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী (رحمة الله) বলেন-


هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ، لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الوَجْهِ سَمِعْتُ مُحَمَّدًا، يَقُولُ: عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ضَعِيفٌ فِي الحَدِيثِ ذَاهِبٌ الحَدِيثِ.-   وَمُحَمَّدُ بْنُ زَاذَانَ مُنْكَرُ


-‘‘ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (رحمة الله) বলেন, হাদিসটি সনদের দিক দিয়ে গরীব ও মুনকার। এ সূত্র ছাড়া আমার অন্য কোন সূত্র জানা নাই। ইমাম বুখারী (رحمة الله) কে বলতে শুনেছি ‘আম্বাসা ইবনে আব্দুর রহমান’ হাদিসের ক্ষেত্রে দ্বঈফ দুর্বল ও উপেক্ষিত বা অবহেলিত। আর মুহাম্মদ ইবনে যাযান হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে মুনকার রাবী।’’  ১৩৯

➥{ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী : আস সুনান : কিতাবুল আদাব : ৫/৪৫ পৃ. হা/২৬৯৯}



তবে উক্ত সনদে মিথ্যার অভিযুক্ত কোনো রাবী নেই। সর্বপরি ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি, ইমাম নববী,  আজলূনী এ হাদিসের সনদের সিদ্ধান্ত দিয়ে বললেন উক্ত হাদিসটি সনদের দিক দিয়ে দ্বঈফ, আর এ ধরনের দ্বঈফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।  ১৪০

➥{আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতি : জামিউস সগীর : ২/৩৬১ পৃ : হা/৪৮৪২, আল্লামা আজলূনী : কাশফুল খাফা : ১/৪০২ পৃ. হা/১৪৮১, ইমাম নববী : কিতাবুল আযকার : ২৮২ পৃ.}



আমি অনুসন্ধান করে দেখেছি যে উক্ত হাদিসের সমর্থনে বা শাওয়াহেদে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে, যার দ্বারা প্রমাণিত হয় বিষয়টি সঠিক। 



খ. ইমাম ইবনে সুন্নী (رحمة الله)সহ আরও অনেক ইমাম সংকলন করেন-


أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ أَحْمَدَ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثنا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، ثنا ابْنُ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ؓ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: مَنْ بَدَأَ بِالْكَلَامِ قَبْلَ السَّلَامِ فَلَا تُجِيبُوهُ


-‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, যদি কেউ সালাম দেওয়ার পূর্বে কথা বার্তা বলে তাহলে তার কথার জবাব দিবে না।’’  ১৪১

➥{ইমাম সুয়ূতি : জামেউস সগীর : ২/৬২২ পৃ., হা/৮৫৫৬ ও জামিউল আহাদিস, ১৬/১৮পৃ. হা/১৬০৯৭, সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : পৃষ্ঠা নং ২৫০ : হা/৫৬৬, ইমাম মানাবী : ফয়যুল কাদীর : ৪/১৪৯ পৃ. হা/৮৫৫৬, আজলূনী : কাশফুল খাফা : ১/১৮৫ পৃ. ইমাম কাদ্বাঈ : মুসনাদে শিহাব : ১/৯ পৃ. আলবানী : সিলসিলাতুল আহাদিসুল সহীহা, হা/৮১৬ ও সহিহুল জামে, হা/৬১২২, তিনি বলেন, হাদিসটি হাসান, সহীহ,  ইমাম ইবনে আদি : আল-কামিল : ৬/২২১০ পৃ., ইবনে সুন্নি,  আমালুল ইয়াওম ওয়াল লায়লা, ১/১৭৬ পৃ. হা/২১৪, হাকিম তিরমিযি, নাওয়াদিরুল উসূল, ২/১৭৫ পৃ., ইমাম ইবনে ইরাকী, তাখরীযে ইহইয়াউল উলূম, ১/৬৬৩ পৃ., ইমাম সাখাবী, মাকাসিদুল হাসানা, ১/৩৯০ পৃ. হা/৫৬৬, শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর, ৩/১৬৫ পৃ. হা/১১৫৬৮, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ৯/১২৬পৃ. হাদিস,  ২৫৩২০, ও ৯/১২৯পৃ. হা/২৫৩৩৬, আল্লামা আজলূনী, কাশফুল খাফা, ১/৪৫৪ পৃ. হা/১৪৮৩, দরবেশহুত, আস্-সুনানিল মুত্তালিব, ১/২৬৪ পৃ. হা/১৪৬৩, ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী, হিলইয়াতুল আউলিয়া, ৮/১৯৯ পৃ. তাবরানী, মু‘জামুল-আওসাত, ১/১৩৬ পৃ. হা/৪২৯, }



সনদ পর্যালোচনা:


❏ উক্ত হাদিস সম্পর্কে ইমাম সাখাভী (رحمة الله) বলেন-


ورجاله من أهل الصدق، لكن بقية مدلس وقد عنعنه


-‘‘উক্ত হাদিসের সমস্ত রাবীই সত্যবাদীদের অর্ন্তভুক্ত, তবে রাবী ‘বাকীয়্যাত’ রয়েছেন তিনি তাদলীসকারী।’’  ১৪২ 

➥{ইমাম সাখাবী, মাকাসিদুল হাসানা, ১/৩৯০ পৃ. হা/৫৬৬, আজলূনী, কাশফুল খাফা, ১/৪৫৪ পৃ. হাদিস:১৪৮৩}



তবে তিনি এ হাদিসে তাদলীস করেননি, তাই তার তাদলীস করার দুর্বলতার প্রভাব এ সনদে পড়বে না। 


❏ তার বিষয়ে মুহাদ্দিসদের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করতে গিয়ে ইমাম যাহাবী (رحمة الله) লিখেন-


قَالَ يَعْقُوْبُ بنُ شَيْبَةَ: بَقِيَّةُ: ثِقَةٌ، حَسَنُ الحَدِيْث إِذَا حَدَّثَ عَنِ المَعْرُوْفِيْنَ، ...وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ: بَقِيَّةُ عَجَبٌ، إِذَا رَوَى عَنِ الثِّقَاتِ، فَهُوَ ثِقَةٌ، 


وَقَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ النَّسَائِيُّ: إِذَا قَالَ: حَدَّثَنَا وَأَخْبَرَنَا، فَهُوَ ثِقَةٌ.


-‘‘মুহাদ্দিস ইয়াকুব ইবনে শায়বাহ (رحمة الله) বলেন, বাকিয়্যা সিকাহ, তাঁর হাদিস সুন্দর, যখন সে পরিচিত (তাদলীস ব্যতিত) রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন।.....ইমাম আবূ যারওয়া (رحمة الله) বলেন, তিনি যখন সিকাহ রাবী থেকে বর্ণনা করেন তখন তিনি সিকাহ বা বিশ্বস্ত। ইমাম নাসাঈ (رحمة الله) বলেন, তিনি যখন তাদলীস করা ছাড়া বর্ণনা করবেন তখন তিনি সিকাহ বা বিশ্বস্ত।’’ 


(ইমাম যাহাবী, সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৮/৫২২ পৃ.)


❏ তাই এ সনদ সম্পর্কে স্বয়ং আহলে হাদিসদের অন্যতম ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানী ‘হাসান’ বলে মত প্রকাশ করেছেন। 


(আলবানী : সিলসিলাতুল আহাদিসুল সহীহা, হা/৮১৬ ও সহিহুল জামে, হাদিস:৬১২২)



গ. ইমাম দায়লামী (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-


عن جابر قال قال رسول الله ﷺ السَّلاَمُ قَبْلَ الْكَلاَمِ وَلاَ تَدْعُوا أَحَدَا  إِلَى الطَّعَام حَتَّى يسلم


-‘‘হযরত জাবের (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,  কথাবার্তা বলার পূর্বে প্রথমে সালাম দিতে হবে। কোনো ব্যক্তিকে খাদ্যের জন্য ডাকবে না যে পর্যন্ত না তোমাকে সালাম দেয়।’’  ১৪৩ 

➥{ক. আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতী : জামেউস সগীর : ২/৩৬১ পৃ. হা/৪৮৪৩

খ. ইমাম আবু ইয়ালা : আল-মুসনাদ : হা/২০৫৯

গ. ইমাম দায়লামী, আল-ফিরদাউস, ২/৩৪০ পৃ. হা/৩৫৩৭

ঘ. মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ৭ম খণ্ড, হা/৪৬৫৩)



❏ আল্লামা সুয়ূতি (رحمة الله) উক্ত হাদিস প্রসঙ্গে বলেন, উক্ত হাদিসটি সনদের দিক দিয়ে দ্বঈফ যা ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।



ঘ. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) আরেকটি সূত্র উল্লেখ করেন এভাবে-


عَنْ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ - بِلَفْظِ: السَّلَامُ قَبْلَ السُّؤَالِ، فَمَنْ بَدَأَكُمْ بِالسُّؤَالِ قَبْلَ السَّلَامِ فَلَا تُجِيبُوهُ


-‘‘হযরত উমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,  কারও কাছ থেকে কোনো সাওয়ালের পূর্বে যেন তাকে আগে সালাম দেয়া হয়; আর কেউ যদি সালামের পূর্বে সাওয়াল করে তাহলে তোমরা কথার জবাব দেবে না।’’  ১৪৪ 

➥{ইমাম সুয়ূতি : জামেউস সগীর : ২/৩৬১ পৃ. হা/৪৮৪৪ ও সুয়ূতি, জামিউল আহাদিস, ১৩/৩৮১ পৃ. হা/১৩৩৪৭, আলবানী : সহীহা : হা/৮১৬, ইমাম আবু ই‘য়ালা, আল-মুসনাদ, ৪/৪৮ পৃ. হা/২০৫৯,  আদি, আল-কামিল, ৫/২৯০ পৃ. ক্রমিক.১৪২৯, ইবনুল মুলাক্কিন, বদরুল মুনীর,  ৭/১৭পৃ. ইবনে হাজার আসকালানী,  তালখিসুল হুবাইর, ৩/১৩৮ পৃ. শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর,  ২/১৬৫ পৃ. হা/৭০৪৮, মুত্তাকি হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ৯/১২২ পৃ. হাদিস,  ২৫২৯২, আজলূনী,  কাশফুল খাফা, ১/৫২০ পৃ. হা/১৪৮৩)



উক্ত হাদিসটি ইমাম ইবনুন নাজ্জার (رحمة الله) স্বীয় ‘তারীখে মাদীনা’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এ হাদিসকে নাসিরুদ্দীন আলবানী তার ‘সিলসিলাতুল আহাদিসুস সহীহাহ’ গ্রন্থে ‘হাসান’ বলেছেন।



ঙ. ইমাম আহমদ (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-


حَدَّثَنَا عَتَّابٌ وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ زَحْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ ؓ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ: مَنْ بَدَأَ بِالسَّلَامِ فَهُوَ أَوْلَى بِاللهِ وَرَسُولِهِ


-‘‘হযরত আবু উমামা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সালামের মাধ্যমে কোনো কাজ শুরু করবে সে আল্লাহ্ ও তার রাসূলের নিকট অধিক প্রিয় ব্যক্তিদের অর্ন্তভুক্ত।’  ১৪৫ 

➥{ইমাম সুয়ূতি : জামেউস সগীর : ২/২৬৬ পৃ. হা/৮৫৫৫  ও জামিউল আহাদিস, ২০/১১২ পৃ. হা/২১৬৪২,  ইমাম আহমদ বিন হাম্বল : আল-মুসনাদ : ৩৬/৫৩০ পৃ. হা/২২১৯২, আবু দাউদ : আস-সুনান : ৫/৩৮০ পৃ. কিতাবুল আদব : হা/৫১৯৭, তিরমিযী : আস-সুনান : ৫/৫৪ পৃ. হা/২৬৯৪  খতিব তিবরিযী : মিশকাতুল মাসাবীহ : ৪/১৬৪ পৃ. হা/৪৬৪৬ ও ৩৬/৫৮৯ পৃ., হা/২২২৫২  ও ৩৬/৬১১ পৃ. হা/২২২৭৯, ৩৬/৬৫৫ পৃ. হা/২২৩১৭, ইমাম আবু ই‘য়ালা, ১/১৩৫ পৃ. হাদিস,  ১৪৫, তাবরানী,  মু‘জামুল কাবীর, ৮/১৭৯ পৃ. হা/৭৭৪৩  ও ৮/২০০ পৃ. হা/৭৮১৪ ও ৮/২০০ পৃ. হা/৭৮১৫ এবং ৮/২১৩ পৃ. হা/৭৮৫৮ ও মুসনাদিল শামীয়্যীন,  ২/৪৩ পৃ. হা/৮৮৭, হাকিম তিরমিযি, নাওয়াদিরুল উসূল, ২/১৭৭ পৃ., ইবনে কাসীর, জামিউল মাসানীদ ওয়াল সুনান, ৮/৫৭০ পৃ. হা/১১০২৭, ও ৮/৫৭৫ পৃ. হা/১১০৪২, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ৯/১১৭ পৃ. হা/২৫২৬০, শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর, ৩/১৬৫ পৃ. হা/১১৫৬৭, আলবানী : সহীহুল মিশকাত : হা/৪৬৪৬ ও সহিহুল জামে,  হা/৬১২১}



❏ উক্ত হাদিসকে আহলে হাদিস আলবানী ‘সহীহ’, আর ইমাম সুয়ূতি  ‘হাসান” বলেছেন।  ১৪৬ 

➥{ইমাম সুয়ূতি : জামেউস সগীর : ২/২৬৬ পৃ. হা/৮৫৫৫, আলবানী : সহীহুল মেশকাত : হা/৪৬৪৬,  ও সহিহুল জামে,  হাদিস:৬১২১}



❏ মুসনাদে আহমদ’ নামক হাদিস গ্রন্থের তাহকীককারী শায়খ শুয়াইব আরনাউত এটিকে- حديث صحيح -‘‘সহীহ বলে মত প্রকাশ করেছেন। 


(তাহকীক মুসনাদে আহমদ, ৩৬/৫৩০ পৃ. হা/২২১৯২, মুয়াস্সাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবানন।)

Top