6 - بَابُ مَا جَاءَ فِي الْأَمْرِ بِالسَّوَاكِ
48 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْـحُسَيْنِ الزَّدَّادِ، عَنْ تَمَّامٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِيْ طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَىٰ عَنْهُ، أَنَّ نَاسًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ دَخَلُوْا عَلَى النَّبِيِّ ، فَقَالَ: «مَا لِيْ أَرَاكُمْ قُلْحًا؟ اسْتَاكُوْا، فَلَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَىٰ أُمَّتِيْ لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «مَالِيْ أَرَاكُمْ تَدْخُلُوْنَ عَلَيَّ قُلْحًا؟ اسْتَاكُوْا، فَلَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَىٰ أُمَّتِيْ لَأَمَرْتُهُمْ أَنْ يَسْتَاكُوْا عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ، أَوْ عِنْدَ كُلِّ وُضُوْءٍ».
বাব নং ২০.৬. মিসওয়াক সম্পর্কে আদেশ
৪৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আলী ইবনে হুসাইন যাদ্দাদ থেকে, তিনি তাম্মাম থেকে, তিনি জা’ফর ইবনে আবু তালেব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, সাহাবায়ে কেরামগণের মধ্যে কয়েকজন নবী করিম (ﷺ) এর খেদমতে হাযির হলে তিনি তাদেরকে বললেন কারণ কি? আমি যে তোমাদের দাঁত হলুদ বর্ণ দেখছি? তোমরা মিসওয়াক কর। আমার উম্মতের উপর যদি এটা কঠিন মনে না করতাম তাহলে প্রত্যেক নামাযের (শুরুতে) মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (বুখারী, ১/৩০৩/৮৪৭)
অন্য এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে যে, আমি দেখেছি যে, তোমরা আমার কাছে আসছ অথচ তোমাদের দাঁত হলুদ বর্ণের। তোমরা মিসওয়াক কর। যদি আমি আমার উম্মতের উপর এটা কঠিন মনে না করতাম তাহলে প্রত্যেক নামায ও প্রত্যেক উযূর সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।
ব্যাখ্যা: শরীয়তের দৃষ্টিতে মিসওয়াকের গুরুত্ব কতটুকু তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। আল্লামা নববী (رحمة الله) মিসওয়াক সুন্নাত হাওয়ার উপর উম্মতের এজমা বলে উল্লেখ করেছেন। তবে ইমাম ইসহাক ও দাউদ জাহেরী থেকে দু’টি মত পরিলক্ষিত হয়। এক. ওয়াজিব দুই. সুন্নাত। তবে বিভিন্ন কারণে ওয়াজিব হওয়ার মতটি অগ্রহণযোগ্য।
জমহুর ওলামাগণের মধ্যে ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله)’র মতে মিসওয়াক প্রত্যেক নামাযের সুন্নত। পক্ষান্তরে হানাফীদের মতে মিসওয়াক প্রত্যেক উযূর সুন্নত। উভয়মতের পক্ষে দলীল বিদ্যমান থাকলেও একাধিক কারণে হানাফীগণের মতটি অধিক গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিযুক্ত।