❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর মে‘রাজ করানোর উদ্দেশ্য কী?
✍ জবাব : রাসূল (ﷺ) এর মে‘রাজ করানোর উদ্দেশ্য হলো, সারা দুনিয়ার ঈমান থেকে রাসূল (ﷺ) এর ঈমান ভিন্ন হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলাকে রাসূল (ﷺ) ছাড়া কোনো ফেরেশতাও দেখেনি, কোনো নবীও দেখেনি। এই এক সত্তাকে এই এক ব্যক্তি দেখেছে। ঈমান শব্দ একটি। তবে এর বাস্তবতার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যে জিনিস রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য ঈমান সে জিনিস আমাদের জন্য সরাসরি কুফর। রাসূল (ﷺ) এর কালিমা ছিলো, لا إله الا الله أني رسول الله তার আযান ছিলো, أشهد أني رسوالله তার দুরূদ ছিলো, صلى الله علي وعلى الي و أصحابي আমরা এমন বললে কাফের হয়ে যাবো।
❏ প্রশ্ন : কোরআনের মধ্যে يا أيها الذين أمنوا এই আয়াতের মধ্যে আমরা ঈমানের উপাধীধারী উদ্দেশ্য হয়। এর মধ্যে রসূল (ﷺ) অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা?
✍ জবাব : এই আয়াতের মধ্যে রাসূল (ﷺ) অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত নয়। আল্লাহ তা‘আলা নিজ হাবীবকে الذين أمنوا বলে সম্বোধন করেননি। বরং তার হাবীবকে يا أيها الرسول ইত্যাদি শব্দ দ্বারা ডেকেছেন।يا أيها الذين أمنوا لا تقدموا بين يدي الله ورسوله হে ঈমানদারগণ আল্লাহ এবং রাসূলের আগে অগ্রসর হও না। يا أيها الذين أمنوا لا ترفعوا أصواتكم فوق صوت النبي হে ঈমানদারগণ তোমার আওয়াজ নবীর আওয়াজের উপর উঁচু করো না। يا أيها الذين أمنوا لا تدخلوا بيوت النبي হে ঈমানদারগণ নবীর ঘওে প্রবেশ করো না। يا أيها الذين أمنوا لا تقولوا راعنا হে ঈমানদারগণ রায়ীনা বলো না। لا تجعلوا دعاء الرسول হে ঈমানদারগণ রাসূলকে তোমাদের মতো করো ডাকো না।
এই আয়াতগুলির মধ্য রাসূল (ﷺ) একে বারে অন্তর্ভুক্ত নয়। الذين أمنوا উল্লেখ থাকলেও রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্তর্ভুক্ত নয়।
❏ প্রশ্ন : যেই আয়াতের মধ্যে الذين أمنوا আছে এবং তাতে নামায, রোযা, হজ যাকাত, সবর, কেসাস ইত্যাদির বিধান রয়েছে, রাসূল (ﷺ) তারও কি অন্তর্ভুক্ত নয়?
✍ জবাব : সহীহ ও সত্য কথা হলো, তাতেও রাসূল (ﷺ) অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ এই আয়াতগুলি নবুওয়াত প্রকাশ পাওয়ার চৌদ্দ পনের বছর পরে অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু রাসূল (ﷺ) এর আগেও আবেদ, আরেফ ও সাজেদ ছিলেন।
হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খান নাঈমী (رحمة الله) গবেষণামূলক বিবরণ দিয়েছেন যে, রাসূল (ﷺ)
الذين أمنوا এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
(দুরূসুল কোরআন : পৃ. ৫৮)