14 - بَابُ مَا جَاءَ فِي الْـمُؤْمِنُ لَا يَنْجُسُ

72 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ  مَدَّ يَدَهُ إِلَيْهِ، فَدَفَعَهَا عَنْهُ، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ : مَالَكَ؟ قَالَ: إِنِّيْ جُنُبٌ، قَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ : «أَرِنَا يَدَيْكَ، فَإِنَّ الْـمُؤْمِنَ لَيْسَ بِنَجِسٍ». وَفِيْ رِوَايَةٍ: «الْـمُؤْمِنُ لَا يَنْجُسُ».


বাব নং ২৯. ১৪.  মু’মিন অপবিত্র হয়না


৭২. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি জনৈক ব্যক্তি থেকে, তিনি হুযাইফা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) একবার মোসাফাহা করার উদ্দেশ্যে তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেন। তখন হুযাইফা (رضي الله عنه) স্বীয় হাত টেনে নেন। তখন রাসূল (ﷺ)  বলেন, তোমার কি হয়েছে? হুযাইফা (رضي الله عنه) বলেন, আমি অপবিত্র। রাসূল (ﷺ)  বলেন, আমাকে তোমার হাত দু’টি দেখাও। নিশ্চয় মু’মিন অপবিত্র নয়। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, মু’মিন অপবিত্র হয় না। (আল মুসনাদুল মুস্তাখরাজ, ১/৪০৫/৮১৫)

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদিস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, জানাবতের নাপাকী হল নাজাসাতে হুকমী, হাকীকী নয়। এ অপবিত্রতার কারণে নামায আদায় করা, মসজিদে প্রবেশ করা এবং পবিত্র কুরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ। এটা নাজাসাতে হাকীকীর ন্যায় মানুষের দেহ ও চামড়াকে নাপাক করেনা। এর দ্বারা মু’মিন নিজে অপবিত্র হয় কিন্তু তা অন্যের দিকে সংক্রমিত হয়না। তাই এরূপ নাপাক ব্যক্তির ঘাম ও থুথু অপবিত্র নয়। কিন্তু নিজে অপবিত্র হওয়ার কারণে নামায ইত্যাদি আদায় করা যাবে না।

অথবা কোন মু’মিন মৌলিকভাবে অপবিত্র নয়। অথচ প্রত্যেক মুশরিক মৌলিকভাবে নাপাক। যেমন আল্লাহ বলেন- انما المشركون نجس “মুশরিক মৌলিকভাবেই নাপাক।” (সূরা তাওবা, আয়াত, ২৮) সুতরাং তারা মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। 


73 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ  مَدَّ يَدَهُ إِلَيْهِ فَأَمْسَكَهَا عَنْهُ، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «إِنَّ الْـمُؤْمِنَ لَا يَنْجُسُ».


৭৩. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি হুযাইফা থেকে বর্ণনা করেন, একদা রাসূল (ﷺ)  স্বীয় হাত মোবারক হুযাইফার দিকে বাড়িয়ে দেন। তখন হুযাইফা স্বীয় হাত টেনে নেন। এতে রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন। মু’মিন অপবিত্র হয় না।


74 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ، قَالَ لَـهَا: «نَاوِلِيْنِي الْـخُمْرَةَ»، فَقَالَتْ: إِنِّيْ حَائِضٌ، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «إِنَّ حَيْضَتَكِ لَيْسَتْ فِيْ يَدَيْكِ».


৭৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি আসওয়াদ থেকে, তিনি হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, একদা রাসূল (ﷺ)  আয়েশা (رضي الله عنه)কে বললেন, চাটাইটি এনে দাও। তখন হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বললেন, আমি ঋতুবতী। রাসূল (ﷺ)  বললেন, ‘হায়েয তো তোমার হাতের মধ্যে নেই, অর্থাৎ এতে তোমার হাত অপবিত্র হয়নি। (মুসলিম, ১/১৬৮/৭১৫)

ব্যাখ্যা: উক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, হায়েয নাজাসাতে হুকমী হাকীকী নয়। অধিকন্তু হাদিসে বর্ণিত আছে যে, অপবিত্র ও ঋতুবতী মহিলার উচ্ছিষ্ট ও ঘাম পবিত্র। ঋতুবতী মহিলা মসজিদে প্রবেশ না করে মসজিদ হতে কোন বস্তু উঠিয়ে রাখতে পারে, তবে প্রবেশ করা জায়েয নেই। হযরত আয়েশা মনে করেছিলেন যে, হায়েয নাজাসাতে হাকীকীর ন্যায় পুরো দেহকে নাপাক করে ফেলে। তাই তিনি হাতে মসজিদ থেকে চাটাই উঠাতে অস্বীকার করেছিলেন।

Top