কোরবানীর জন্তুর বৈশিষ্ট্য



মাসআলাঃ কোরবানীর জন্তু প্রত্যেক দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়া জরুরী। এ জন্য যে জন্তু অন্ধ হবে এবং উহার অন্ধ হওয়া প্রকাশ পায় বা লেংড়া হওয়া প্রকাশ পায় বা রুগ্ন হয় এবং উহার রুগ্ন হওয়া প্রকাশ পায় বা ক্ষীণ ও র্দূবল হয় তাহলে উহা দ্বারা কোরবানী জায়েয নয়। অনুরূপ ভাবে এমন জন্তু দিয়ে কোরবানী হবেনা যার কান ও লেজ কাটা হয় এবং ঐ জন্তুর কোরবানী জায়েয নয় যার অধিকাংশ কান বা লেজ কাটা। আর যদি অধিকাংশ কান বা লেজ অবশিষ্ট থাকে তাহলে জায়েয হবে। সুনানে আবু দাউদ এর মধ্যে রয়েছে- হুজুর (ﷺ) ইরশাদ করেছেন- চার ধরণের জন্তু দ্বারা কোরবানী জায়েয নয়। এমন অন্ধ যা প্রকাশ পায়, এমন রুগ্ন যা প্রকাশ পায়, এমন লেংড়া যা প্রকাশ পায়। আর এমন ক্ষীণ ও দূর্বল যা হাড়ে মাংস না থাকে। হুজুর (ﷺ) শিং বিশিষ্ট কাল ও সাদা রঙের দুইটি ভেড়া কোরবানী করেছেন। ১৪৮

 ➥১৪৮. মুসলিম শরীফ।


অপর বর্ণনায় এসেছে হুজুর (ﷺ) শিং বিশিষ্ট শক্তিশালী ভেড়া কোরবানীর মধ্যে যবেহ করেছেন।  ১৪৯

 ➥১৪৯. তিরমিযী।

 

যে জন্তুর কান জন্মগত ভাবে না থাকে উহার কোরবানী জায়েয নেই।

উক্ত দোষ বিশিষ্ট জন্তুদের কোরবানী ঐ সময় না জায়েয যখন এ দোষ ক্রয় করার সময় বিদ্যমান থাকে, কিন্তু যদি ক্রয় করার সময় উক্ত প্রাণী উলে­খিত দোষ থেকে মুক্ত ছিল পরবর্তীতে কোন প্রতিবন্ধক দোষ উক্ত জন্তুর মধ্যে এসে গেছে তাহলে যদি কোরবানী দাতা সম্পদশালী হয়- তাহলে তার উপর দ্বিতীয় কোরবানী ওয়াজিব হবে। আর যদি কোরবানী দাতা ফকীর হয় তাহলে এটাই যথেষ্ট হবে কেননা ধনীর উপর কোরবানী ওয়াজিব হওয়া প্রথম থেকেই শরীয়তের বিধানের আলোকে হয়েছে, ক্রয় করার কারণে ওয়াজিব হয়নি। এজন্য তার কোরবানী নির্দিষ্ট হয়ে যাবেনা আর ফকীরের উপর কোরবানীর নিয়তে জন্তু ক্রয় করার কারণে ওয়াজিব হয়েছে। এ জন্য তার কোরবানী নির্দিষ্ট হয়ে গেছে, অতএব, যখন কোরবানীর জন্তু মরে যায় তাহলে ফকীর থেকে তো কোরবানী বাদ পড়ে যাবে। কিন্তু ধনী থেকে কোরবানী রহিত হবেনা।

Top