❏ প্রশ্ন : কোনো কোনো আলেম বলেন, গুনাহে কবীরা কুফর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। একথা কি ঠিক? সুপারিশের দ্বারা কি ফায়েদা হবে না?


✍ জবাব : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, شفاعتي لأهل الكبائر من أمتي আমার সুপারিশ আমাদের উম্মাতের কবীরা গুনাহকারীদের জন্য। অর্থাৎ এই গুনাহকারীদের জন্য হবে। সুতরাং কবীরা গুনাহকারীদের জন্য রাসূলের সুপারিশ প্রমাণিত। অর্থাৎ যার কোনো কথা আল্লাহ তা‘আলার দরবারে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তাহলো لا إله الا الله محمد رسول الله কারণ لا إله الا الله محمد رسول الله না হলে কুফর হয়ে যাবে। কুফর বা তার উপর ভিত্তি কোনো কথা পছন্দ হবে না। সে কথাই আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য যা  ঈমানের ভিত্তির উপর হবে। শব্দ এসেছে قولا  যা একটি কথার উপর বুঝায়। একটি কথা পছন্দ হবে। আর لا إله الا اللهও একটি কথা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, يومئذ لا تنفع الشفاعة الا من أذن له الرحمن ورضي له قولا ‘সে দিন কোনো সুপারিশ উপকারে আসবে না। তবে যার জন্য রহমান অনুমতি দিবেন এবং তার একটি কথা পছন্দ করেছেন।’


সুতরাং যে ব্যক্তি সত্য মনে لا إله الا الله বলবে তার ক্ষেত্রে সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে। আল্লাহ তা‘আলা তার একটি কথা পছন্দ করেছেন, অতএব সে সুপারিশের উপযুক্ত। সেই দিক থেকে এখানে দলিল পরিষ্কার হয়ে গেলো যে, যে ব্যক্তি শুধু لا إله الا الله বলেছে এবং তার থেকে গুনাহ পাওয়া গিয়েছে। যেটাকে গুনাহ মনে করতো। এমন ব্যক্তি ফাসেক ও গুনাহে লিপ্ত। এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সুপারিশ উপকারী হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তার একটি কথা পছন্দ করেছেন। এমন ব্যক্তি সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) বলেন, شفاعتي لأهل الكبائر من أمتي এখন এতে কোনো সন্দেহ থাকলো না যে, কবীরা গুনাহকারী শাফাআতের যোগ্য। গুনাহগার লোকদের জন্য এটা অনেক বড় আশার আলো।


তবে ভয় এখানে আছে যে, গুনাহের প্রভাবে বিশেষভাবে কবীরা গুনাহের প্রভাবে অন্ধকার ও নাপাকীর কারণে আশার নিশ্চয়তা চলে যায়। لا إله الا الله এর বিশ্বাস থাকে না। বরং সন্দেহ সৃষ্টি হয়ে যায়। এতে মোনাফেকী ও কুফর হয়ে যায়। 


সুতরাং গুনাহের উপর লজ্জিত হওয়া ও অনুতপ্ত হওয়া এবং গুনাহকে গুনাহ মনে করা জরুরী। যদিও গুনাহ হয়ে যায়। ওলামায়ে কেরাম এখান থেকে বলেছেন, যে ব্যক্তি গুনাহে কবীরার উপর বাড়াবাড়ি করে এটা কুফর। 

(তাফসীরে মাওয়াহেবুর রহমান : সূরা তহা, পৃ. ৩৫৪)

Top