পবিত্রতার প্রকার

পবিত্রতার প্রকার

نوع من اقسام الطهارة

باب بيان المسح على الخفين والجبائر .

المسح انواع ثلاثة – مسح الراس – مسح الخف – ومسح الجبائر .

(১)    اما احكام مسح الراس فقدمر بيانه .

(২)    وامامسح الخف – قال عامة العلماء بان المسح على الخفين مشروع ويقوم مقام غسل القدمين فى حق المقيم والمسافر جميعا- وقال بعض الشيعة بان المسح غير مشروع فى حق المقيم والمسافر جميعا – وقال مالكؒ مشروع فى حق المسافر دون المقيم والصحيح قول عامة العلماء لا جماع الصحابة على ذلك قولا وفعلا .

الاماروىٰ عن عبدالله بن عباس (ابن عم رسول ﷺ ثم رجع فانه روىٰ عن عطاء تلميذه انه قال (هو عطاء ابن ابى رباح من التابعين ولد فى آخر خلافة عثمان بن عفان رضى الله تعالىٰ عنه وسمع عبدالله بن عباس وعبدالله بن عمرو وعبدالله بن الزبير رضى الله عنهم وغيرهم من الصحابة) .

كان عبدالله بن عباس خالف الناس فى المسح على الخفين ولم يمت حتى رجع الى قول الناس واجماع الصحابة حجة قاطعة .

মৌজা ও পট্টী (ব্যান্ডেজ) এর ওপর মসেহ (মর্দন) করার পরিচ্ছেদ। মসেহ তিন প্রকার- মাথা মসেহ, মৌজার ওপর মসেহ ও পট্টীর ওপর মসেহ। মাথা মসেহ সম্পর্কীয় বর্ণনা উপরে চলে গিয়েছে। মৌজার ওপর মসেহ অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মতে শরিয়ত সম্মত বিধান। ইহা প্রবাসী অপ্রবাসী সকলের জন্যে উভয় পা ধৌত করার স্থলাভিষিক্ত। কোন কোন শিয়াদের মতে ইহা মুসাফির (প্রবাসী) ও মুকিম (অপ্রবাসী) কারো জন্যে শরিয়ত সম্মত বিধান নয়। ইমাম মারেক (رحمة الله) মতে প্রবাসীর জন্যে শরীয়ত সম্মত অপ্রবাসীর জন্যে নয়। অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মতই বিশুদ্ধ; কেননা সাহাবায়ে কেরামরা এর ওপর কথায় কাজে ঐক্যমত পোষণ করেছেন। 

তবে শুধুমাত্র আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (رضي الله عنه) এর একটি রেওয়ায়ত (হুযুর (ﷺ) এর চাচাত ভাই) এর বিপরীত পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে মৃত্যুর পূর্বে তিনিও প্রত্যাবর্তন করেছেন। যার বর্ণনা করেছেন তার ছাত্র আতা। তিনি বলেন, (আতা হলেন- আতা বিন রিবাহ তাবেয়ী হযরত ওসমান বিন আফ্ফান (رضي الله عنه) খেলাফতের শেষে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (رضي الله عنه), আবদুল্লাহ বিন ওমর (رضي الله عنه) ও আবদুল্লাহ বিন জুবাই (رضي الله عنه) সহ প্রমুখ সাহাবীদের সাক্ষাত লাভ করেছেন) হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (رضي الله عنه) মৌজার ওপর মসেহ করার ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে প্রত্যাবর্তন করে অন্যান্যদের সাথে একমত পোষণ করেছেন। মৌজার ওপর মসেহ ইজমায়ে সাহাবা দ্বারা প্রমাণিত যা শরীয়তের অকাট্য দলীল।