5 - بَابُ أَصْلِ الْإِسْلَامِ: الشَّهَادَةُ

7 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ  قَالَ: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّىٰ يَقُوْلُوْا: لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ، فَإِذَا قَالُوْهَا عَصَمُوْا مِنِّيْ دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَـهُمْ إِلَّا بِحَقِّهَا، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللهِ ».


বাব নং ৫ : ইসলামের মূল ভিত্তি হল একত্ত্ববাদের সাক্ষ্য দেওয়া


৭. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আবু যুবাইর থেকে, তিনি হযরত জাবির (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ)  এরশাদ করেন, আমি আদিষ্ট হয়েছি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত কাফেররা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলবেনা ততক্ষণ পর্যন্ত আমি তাদের সাথে যুদ্ধ করব। যখন তারা তাওহীদের স্বীকার করবে তখন তারা তাদের জান-মাল আমার থেকে রক্ষা পাবে। তবে কোন শরয়ী হকের বেলায় রেহাই পাবে না। হ্যাঁ, তাদের অন্তরের অবস্থা আল্লাহর উপর ন্যস্ত। (বুখারী, আবু দাউদ ৩ ও ২, ১০৭৭ ও ১, ২৭৮৬ ও ১৫৫৮)

ব্যাখ্যা: কেউ যদি মুখে ঈমান গ্রহণ করে অন্তরে কুফুরী লুকিয়ে রাখে সেগুলোর তদন্ত করার দায়িত্ব আমাদের নয় বরং এদের হিসাব নিকাশ ও তদন্ত ইত্যাদি আল্লাহর দায়িত্ব। সুতরাং উক্ত হাদিসের আলোকে যদি কোন যিন্দিক, মুনাফিক, মুরতাদ মুখে তাওবা করে তবে তা কবুল করতে হবে। কারণ ফতোয়া জাহেরের উপরে হয়। এভাবে কেউ যদি মুখে কালিমা পড়ে মুসলমান হয় কিন্তু অন্তরে কুফুরী লুকিয়ে রাখে এবং তার কুফুরী প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সে মুসলমান বলে গণ্য হবে। তবে শরয়ী শাস্তির বেলায় যেমন- হত্যা, চুরি, ব্যভিচার ইত্যাদির শাস্তি থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না।

Top