সায়্যিদুনা সা‘দ বিন উবাদাহ (رضي الله عنه)'র আক্বিদা
কোন বস্তুকে কোন ব্যক্তির দিকে সম্পর্ক করা:
عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمَّ سَعْدٍ مَاتَتْ فَأَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: الْمَاءُ . فَحَفَرَ بِئْرًا وَقَالَ: هَذِهِ لأم سعد. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
-‘‘হযরত সা‘দ বিন উবাদাহ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, তিনি আরয করলেন, হে রাসূল (ﷺ), সা‘দের মা ইন্তিকাল করেছেন। তাঁর জন্য কোন বস্তুটি সাদ্কা করা উত্তম? রাসূল (ﷺ) বললেন, পানির একটি কূপ খনন কর এবং বললেন, এটা সা‘দের মায়ের জন্য (উৎসর্গকৃত)।’’ ২৩৬
{২৩৬. খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/৫৯৭ পৃ. হা/১৯১২, পরিচ্ছেদ: بَاب فضل الصَّدَقَة, সুনানে আবু দাউদ, ২/১৩০ পৃ. হা/১৬৮১, আলবানী এ হাদিসের তাহকীকে বলেন, এই হাদিসটি হাসান। তার আরেক কিতাবে লিখেন- قلت: حديث حسن -‘‘আমি বলি, এ হাদিসটি ‘হাসান।’’ (আলবানী, সহীহুল সুনানি আবি দাউদ, হা/১৪৭৬) শায়খ শুয়াইব আরনাউত সুনানে আবি দাউদের তাহকীকে বলেন- صحيح كسابقيه -‘‘এটি পূর্বের হাদিসের ন্যায় সহীহ্।’’ (শুয়াইব আরনাউত, (তাহকীক) সুনানে আবি দাউদ, ৩/১০৯ পৃ. হা/১৬৮১, দারুল রাসালা আলামিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ. ১৪৩০ হি.) এ হাদিসটির আরেকটি সূত্র রয়েছে যা হাসান বসরী ও সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিবের মাধ্যমে। (মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ৪/১৩৪২ পৃ. হা/১৯১২) ইমাম ইবনে আছির, জামেউল উসূল, হা/৪৬৯০, ইবনে কাসির, জামেউল মাসানীদ ওয়াল সুনান, ৩/২৯৮ পৃ. হা/৩৭৮৯, তারা এটির কোন সমালোচনা করেননি।}
আক্বিদা
যার জন্য সাওয়াব পৌঁছানো উদ্দেশ্য সে বস্তুকে তাঁর নামের দিকে সম্পর্ক করা বৈধ। যেমন: এটা সা’দের মায়ের জন্য। একই ভাবে এটাও জায়িয যে, এই ছাগলটি শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী (رضي الله عنه) বা এটা সায়্যিদুনা ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه)’র জন্য।