১০- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ نِكَاحِ الْـمُحْرِمِ
٢٣٩- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ سِمَاكٍ، عَنِ ابْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ: تَزَوَّجَ رَسُوْلُ اللهِ مَيْمُوْنَةَ بِنْتَ الْـحَارِثِ، وَهُوَ مُحْرِمٌ.
বাব নং ১০৮. ১০. মুহরিমের বিবাহ প্রসঙ্গে
২৩৯. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা সিমাক থেকে, তিনি ইবনে জুবাইর থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) মুহরিম অবস্থায় মায়মূনা বিনতে হারিস (رضي الله عنه) কে বিবাহ করেছেন।
(বুখারী, ১/২৪৭/১৭১৮ ও মুসলিম, ৪/১৩৭/৩৫১৮)
ব্যাখ্যা: মুহরিম ও মুহরিমা ইহরাম অবস্থায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে কিনা-এই নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। হানাফী মাযহাবে এমতাবস্থায় উভয়ের বিবাহ বৈধ। ইবনে মাসউদ, ইবনে আব্বাস, আনাস ইবনে মালিক, সাঈদ ইবনে জুবাইর, আতা, তাউস, মুজাহিদ, ইকরামা, জাবির, আমর ইবনে দীনার (رضي الله عنه) সহ ইরাকবাসীগণ এই মত পোষণ করতেন।
❏পক্ষান্তরে ইমাম শাফেঈ, ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (رحمة الله)’র মতে এ অবস্থায় বিবাহ জায়েয নয়। হযরত ওমর ও আলী (رضي الله عنه) এই মত পোষণ করতেন।
❏হানাফী মাযহাবের পক্ষে কুরআন সুন্নাহ ও কিয়াসের দ্বারা দলীল পেশ করা হয়েছে- যেমন কুরআনে বর্ণিত আছে- وانكحوا الاياي منكم বাوانكحوا ما طاب لكم من النساء الاية এই আয়াতদ্বয়ের বিধান হলো সাধারণ (مطلق)। এর মধ্যে মুহরিম ও গায়রে মুহরিম উভয় অন্তুর্ভূক্ত আছে। খবরে ওয়াহিদ দ্বারা গায়রে মুহরিমের শর্ত যুক্ত করা কুরআনের উপর অতিরিক্ত করার শামিল। উপরোক্ত হাদিস সিহাহ সিত্তাহ্ গ্রন্থেও বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে।
কিয়াসও হানাফী মাযহাবকে সমর্থন করে থাকে।
প্রথমতঃ বিবাহ অন্যান্য ধর্মীয় বিধানের ন্যায় যা ইহরাম অবস্থায় বৈধ। সুতরাং বিবাহের মধ্যে হারামের কি আছে?
দ্বিতীয়তঃ যদি ইহরাম অবস্থায় বিবাহ জায়েয না হয়, তবে কিয়াসে বলবে যে, ইহরামের পূর্বে কৃত বিবাহও বাকী থাকবেনা। কেননা যে বস্তু বিবাহ বিরোধী সেটা বিবাহ হতেও দিবেনা এবং তা বাকীও রাখবেনা। এতে শুরু ও বাকী উভয়ই এক সমান।
তৃতীয়তঃ বিবাহ তো সঙ্গমের ন্যায় নয় যে, তা হারাম হবে। তাই এ অবস্থায় বিবাহ বৈধ। অবশ্য বিরত থাকা উচিত। রাসূল (ﷺ) এর আমল ছিল কেবল বৈধ বুঝানোর জন্য। বিরোধীপক্ষ থেকে যদি বলা হয়, বিবাহ সঙ্গমের কারণ হয় বলে তা অবৈধ। তাহলে তো ইহরাম অবস্থায় স্ত্রীকে সাথে রাখাও বৈধ হতনা। কারণ এটাও সঙ্গমের কারণ হতে পারে।