দেওবন্দী আকীদা বনাম ইসলামী আকীদা 

 



(১) 


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


আল্লাহ মিথ্যা বলতে পারে। (মাসায়েলে ইম্কানে কিয্ব’) মওলভী খলিল আহমদ সাহেব আম্বেঢী রচিত ‘বারাহিনূল কাতিয়া’ ও মওলভী মাহমুদুল হাসান সাহেব রচিত ‘জাহদুল মকিল’ দ্রষ্টব্য।   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


চুরি করা, যেনা করা ইত্যাদির মত মিথ্যা বলা দোষ। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক দোষ থেকে পবিত্র।

وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ حَدِيثًا

আল্লাহ থেকে অধিক সত্যবাদী কে আছে?  ৫৩০

➥530. সূূরা নিসা, আয়াত নং-৮৭।


(কুরআন) অধিকন্তু আল্লাহর গুণাবলী হচ্ছে অব্যশম্ভাবী, সম্ভাব্য নয়। সুতরাং আল্লাহর বেলায় “সম্ভব” বলাটা ধর্মহীনতার পরিচায়ক।

                                                                        

(২) 


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


আল্লাহর শান হচ্ছে-যখনই ইচ্ছে করে, অদৃশ্য জ্ঞান জেনে নেয়। কোন ওলী, নবী, জ্বীন, ভুত, ফিরিশ্তাকে আল্লাহ তা’য়ালা এ ক্ষমতা দেননি। (মওলভী ইসমাইল সাহেব দেহলবী রচিত ‘তক্বিয়াতুল ঈমান।   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


আল্লাহ তা’আলা সবসময়ের জন্য অদৃশ্য জ্ঞানী। এ অদৃশ্য জ্ঞানটা হচ্ছে তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা অবশ্যম্ভাবী। যখন ইচ্ছা পোষণ করে, তখন জেনে নেয়- এর অর্থ হচ্ছে যখন তিনি ইচ্ছে করেন না, তখন এ ব্যাপারে অজ্ঞ থাকেন। এ ধরনের ধারণা কুফরী। অধিকন্তু আল্লাহ তা’আলা স্বীয় প্রিয় জনদেরকেও গায়বী ইলম দান করেছেন। (কুরআন করীম)  

                                                                        

 (৪)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


বান্দাদের কাজসমূহের বেলায় আল্লাহ তা’আলা আগে থেকে অবগত থাকেন না। বান্দা ভালমন্দ কাজ যখনই করে ফেলে, তখনই জানা হয়ে যায়। মওলবী রশিদ আহমদ সাহেবের শিষ্য মওলবী হোসাইন আলী সাহেব রচিত ‘বুলগাতুল হয়রান’ কিতাবের ৫৭ পৃষ্ঠায় إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُبِينٍ এ সূরা হুদের ৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


আল্লাহ তাআলা সবসময়ের জন্য সব কিছুর ব্যাপারে জ্ঞাত। তার জ্ঞান হচ্ছে অবশ্যম্ভাবী ও স্থায়ী। যে কোন কিছুর ক্ষেত্রে একমুহূর্তের জন্যও যদি তাকে অজ্ঞ মনে করা হয়, তা ধর্মদ্রোহিতার সামিল। (আকায়েদের কিতাব দ্রষ্টব্য) দেওবন্দীরা যেখানে খোদার গায়বী ইলমকে অস্বীকার করে, সেখানে হুযূর আলাইহিস সালামের ইলমে গায়বকে অস্বীকার করলে, আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

                                                                        

 (৫)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


‘খাতিমুন নবীয়ীন’ এর অর্থ হুযূর (ﷺ)কে শেষ নবী মনে করাটা ভুল। আসলে, এর অর্থ হচ্ছে তিনি (ﷺ) আসল নবী এবং অন্যান্য নবীগণ হচ্ছেন আরেযী (মূল নবীর ভূমিকা অনুসরণকারী) নবী সুতরাং হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের পরে অন্য কোন নবী এসে গেলেও হুযূরের শেষ নবী হওয়ার ক্ষেত্রে এর কোন প্রভাব পড়বে না। (দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মৌলভী কাসেম রচিত “তাহযিরুন নাস” কিতাব দ্রষ্টব্য)   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


খাতিমুন নবীয়ীন এর অর্থ হচ্ছে হুযূর (ﷺ) শেষ নবী। তার প্রকাশ্য যুগে বা পরে কোন আসলী, নকলী, অস্থায়ী ক্ষণস্থায়ী কোন রকমের নবীর আগমন একেবারে অসম্ভব। এ অর্থে মুসলমানদের ঐক্যমত রয়েছে এবং হাদীছেও এ অর্থ প্রকাশ পায়। যে এ অর্থের অস্বীকার করে, সে ধর্মদ্রোহী হিসেবে গণ্য যেমন কাদিয়ানী ও দেওবন্দীরা।

                                                                        

 (৬)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


আমলসমূহের বেলায় বাহ্যতঃ উম্মত নবীর বরাবর হয়ে যায়। এবং অনেক সময় অতিক্রমও করে যায়। (তাহযিরুন নাস’ দ্রষ্টব্য)।   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


নবী ভিন্ন অন্য কেউ, তিনি ওলী হোক বা গাউছ বা সাহাবা, ইলম ও আমলের ক্ষেত্রে নবীর বরাবর হতে পারে না। এমনকি, সাহাবী নয় এমন কেউ সাহাবীর বরাবর হতে পারেন না। সাহাবীর যৎসামান্য গম খয়রাত আমাদের শত শত মণ স্বর্ণ খয়রাত থেকেও অনেক উত্তম।

                                                                        

 (৭)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের তুলনা ও দৃষ্টান্ত সম্ভব। মৌলভী ইসমাইল দেহলবী রচিত يكروزي গ্রন্থের ১৪৪ পৃষ্ঠা)   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


আল্লাহ তা’আলা অতুলনীয় সৃষ্টিকর্তা আর তাঁর মাহবুব অতুলনীয় বান্দা। তিনি (ﷺ) সমস্ত জগতের জন্য রহমত ও গুণাহগারদের সুপারিশকারী। এ সব গুণাবলীর জন্য তার তুলনা সত্ত্বাগতভাবে অসম্ভব। (মৌলানা ফজলুল হক খায়রাবাদী রচিত রেসালা امتناع النظير দেখুন)

                                                                        

 (৮)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


হুযূর (ﷺ)কে ভাই বলা জায়েয, কেননা তিনিও মানুষ। (মৌলভী খলিল আহমদ সাহেব রচিত বারাহিনুল কাতিয়া ও মৌলভী ইসমাঈল সাহেব রচিত ‘তক্বিয়াতুল ঈমান’ দ্রষ্টব্য।   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লা)কে সাধারণ শব্দসমূহ দ্বারা ডাকা হারাম  আর তা যদি অবজ্ঞার নিয়তে হয়, তাহলে কুফরী (আল:কুরআন)।

হুযূর (ﷺ)কে ইয়া রাসুলাল্লাহ ইয়া হাবিবাল্লাহ বলা প্রয়োজন।

نسبت خود به سگت كردم وبس منفعلم زانكه نسبت به سگ كوئے توشد بے ادبى است

অর্থাৎ নিজেকে আপনার কুকুরের সমতুল্য বলতে পারলে ধন্য মনে করতাম। কিন্তু তা বলতেও বেআদবী মনে হয়।

                                                                        

(৯)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


শয়তান ও মৃত্যুর ফিরিশতার জ্ঞান হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম থেকে বেশী (মৌলভী খলিল আহমদ রচিত ‘বারাহিনুল কাতিয়া’)   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


যেই ব্যক্তি সৃষ্টিকুলের কাউকে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম থেকে বেশী জ্ঞানী মনে করে, সে কাফির (শেফা শরীফ দেখুন) খোদার সমস্ত সৃষ্ট জীবের মধ্যে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের সব চেয়ে বড় জ্ঞানী।

                                                                        

 (১০)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের জ্ঞান শিশু, পাগল ও পশুদের জ্ঞানের মত বা ওদের সমতুল্য (মৌলভী আশরাফ আলী সাহেব রচিত ‘হিফজুল ঈমান’ দেখুন)   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের কোন পবিত্র বৈশিষ্ট্যকে সাধারণ জিনিসের সাথে তুলনা করা বা ওসবের বরা বর বলা সুস্পষ্ট মানহানিকর এবং এটা কুফরী।

                                                                        

(১১)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


হুযূর (ﷺ) উর্দ্দু বলাটা দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে শিখেছেন (মৌলভী খলিল আহমদ সাহেবের “বারাহিনুল কাতিয়া”)।   

❏ ইসলামী আকীদাঃ


আল্লাহ তাআলা হযরত আদম (عليه السلام)কে সমস্ত ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন। আর হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের জ্ঞান হযরত আদম থেকে অনেক গুণ বেশী। তাই যারা বলে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের এ ভাষা জ্ঞান অমুক মাদ্রাসা থেকে অর্জন করেছে, তারা ধর্মদ্রোহী। 

                                                                  

 (১২)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


প্রত্যেক ছোট বড় মখলুক (নবী ও গায়র নবী) আল্লাহর শান মানের সামনে চামার থেকে নিকৃষ্ট (মৌলভী ইসমাঈল রচিত “তাক্বিয়া তুল ঈমান” দ্রষ্টব্য)   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


❏ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ ফরমান,

وَكَانَ عِنْدَ اللَّهِ وَجِيهًا

-আল্লাহর নিকট সে মর্যাদাবান।  ৫৩১

➥531. সূরা আহযাব, আয়াত নং-৬৯।


❏ আরও ইরশাদ করেন

وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ

সম্মানতো আল্লাহর আর তার রাসুল ও মুমিনদের।  ৫৩২

➥532. সূরা মুনাফিকুন, আয়াত নং-৮।


খোদার সামনে যে নবীকে নিকৃষ্ট মনে করে, সে নিজেই চামার থেকে নিকৃষ্ট।

                                                                        

 (১৩)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


নামাযে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামকে স্মরণ করা, স্বীয় গরু গাধার ধ্যানে মগ্ন থাকার চেয়েও নিকৃষ্ট। (মৌলভী ইসমাইল দেহলবী রচিত “সিরাতুল মুস্তাকীম” দ্রষ্টব্য)   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


যে নামাযে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের শ্রেষ্ঠতার কথা মনে পড়বে না, সে নামাযই অগ্রাহ্য হবে। এ জন তাশাহুদে হুযূর (ﷺ)কে সালাম করা হয়। এ তাশাহুদ ছাড়া নামায হতে পারে না। (হাযির নাযির আলোচনা দেখুন।)

                                                                        

 (১৪)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


আমি হুযূর আলাইহিস সালামকে স্বপ্নে দেখলাম যে তিনি আমাকে পুলসিরাতে নিয়ে গেলেন। কিছু দূর অগ্রসর হয়ে দেখলাম তিনি (ﷺ) পড়ে যাচ্ছিলেন, তখন আমি তাকে (ﷺ) ধরে ফেললাম। (মৌলবী রশিদ আহমদ ছাহেবের শিষ্য মৌলভী হোসাইন আলী রচিত بلغة الحيران গ্রন্থ দ্রষ্টব্য।   

❏ ইসলামী আকীদাঃ


হুযূর আলাইহিস সালামের কতেক গোলাম পুলসিরাতের উপর দিয়ে বিদ্যুত বেগে চলে যাবে। আবার পুল সিরাতের উপর পিচ্ছিল খাওয়া অনেক লোক হুযূরের বদৌলতে রক্ষা পাবে। তিনি (ﷺ) আল্লাহর দরবারে দুআ করবেন,

ربى سلم

 (আল-হাদীছ)। যে বলে আমি হুযূর (ﷺ)কে পুলসিরাতে পড়ে যাবার থেকে রক্ষা করেছি, সে বেঈমান।

                                                                        

 (১৫)


❏ দেওবন্দী আকীদাঃ


মৌলবী আশরাফ আলী ছাহেব বৃদ্ধকালে তার অল্পবয়স্কা এক মহিলা মুরীদকে বিবাহ করেন। এ বিবাহের আগে তার কোন এক মুরীদ স্বপ্নে দেখেছিলেন যে মৌলবী আশরাফ আলীর ঘরে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (رضي الله عنه) তশরীফ এনেছেন। এর তাবীর প্রসঙ্গে মৌলভী আশরাফ আলী সাহেব বলেন- কোন অল্পবয়স্কা মহিলা আমার হাতে আসবে। কেননা হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম সাথে হযরত আয়েশা সিদ্দীকার যখন বিবাহ হয়, তখন তাঁর বয়স ছিল সাত বছর মাত্র। এ স্বপ্নে সেই ইঙ্গিতই রয়েছে যে আমি হলাম বৃদ্ধ এবং বিবি সাহেবা হচ্ছে বালিকা। (মৌলভী আশরাফ আলী রচিত রিসালাতুল ইমদাদ দ্রষ্টব্য)   


❏ ইসলামী আকীদাঃ


হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম সমস্ত বিবি সাহেবান মুসলমানদের জন্য মায়ের মত (আল-কুরআন)। বিশেষ করে হযরত আয়েশা সিদ্দীকাতুল কুবরা (رضي الله عنه) এর সেই উচ্চ মর্যাদা রয়েছে যে, সারা বিশ্বের মায়েরা তার পবিত্র চরণে উৎসর্গীত। কোন মূর্খ ব্যক্তিও মা কে স্বপ্নে দেখে স্ত্রী হিসেবে তাবীর করবে না। তাই এটা হযরত সিদ্দীকা (رضي الله عنه) এর প্রতি অবমাননা কর বরং তার শানে সুস্পষ্ট বেআদবী বোঝা যায়। মাকে স্ত্রী হিসেবে তাবীর করার চেয়ে জঘন্য বেআদবী আর কি হতে পারে?


এ হলো দেওবন্দী আকীদার কিছু নমুনা। যদি তাদের সমস্ত আকীদা বর্ণনা করতে যাই, তাহলে এর জন্য বিরাট দফতরের প্রয়োজন হবে। আসল কথা হলো রাফেজীরা ও খারেজীরা কেবল সাহাবায়ে কিরাম বা আহলে বাইতে এজামের সমালোচনা করেছে। কিন্তু দেওবন্দীদের কলমের খোঁচা থেকে আল্লাহর জাতে পাক, রসুল করীম (ﷺ), সাহাবায়ে কিরাম, হুযূরের পবিত্র স্ত্রীগণ কেউ রক্ষা পাননি; সবারই সমালোচনা করা হয়েছে। কেউ কোন ভদ্র লোককে যদি বলে যে, সে ওনার মাকে স্বপ্ন দেখেছে এবং স্ত্রী হিসেবে এর তাবীর করে, তখন সেই ভদ্র লোক কিছুতেই সহ্য করবেন না। কিন্তু আমরা আমাদের মা হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (رضي الله عنه) এর বেলায় এ ধরনের উক্তি কিভাবে সহ্য করি! হাতে কলম ব্যতীত আর কিছু নেই, তাই এ কলমের সাহায্যে মুসলমানদেরকে সজাগ করে দিচ্ছি। যেন তাদের থেকে দূরে থাকেন বা তারা (দেওবন্দীরা) সে সব আকীদা থেকে যেন তওবা করে।


আমার প্রাণ প্রিয় ও স্নেহ ভাজন শাগরীদ মৌলবী সৈয়দ মাহমুদ শাহ খুবই আগ্রহ করেছিল, আমি যেন “ইমকানে কিযব” ও “ইমকানে নযির” সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করি। কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে কেবল দেওবন্দী আকীদার কিছু নমুনা পেশ করলাম। ইন্শাআল্লাহ, এ কিতাবের পরবর্তী খণ্ডে উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তখন দেওবন্দীদের যুক্তি বিদ্যার দৌড় কতটুকু, তা জানা যাবে এবং মৌলভী হোসাইন আহমদ ছাহেব ও মৌলভী মরতুজা হোসেন ছাহেব যে সব বিশ্লেষণ দিয়েছেন, সে সবের অন্তঃসার শূন্যতাও প্রমাণিত হবে। আমাদের সুন্নীদের প্রতি অপবাদ দেয়া হয় যে আমরা পীর পূজারী। নবী (ﷺ) ও নিজেদের পীরদেরকে খোদার মত মনে করি। তাই আমরা নাকি মুশরীক। আমি এখন দেখাচ্ছি স্বয়ং দেওবন্দীরা কতটুকু পীর পূজারী এবং পীরদেরকে কি করেন। 

Top