তাঁর বিশিষ্ট কয়েকজন উস্তাদের নামঃ  


ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) সাহাবী সহ উল্লেখযোগ্য তাবেঈগণ থেকে ইলমে হাদিস অর্জন করেন, যাদেরকে হাদিস শাস্ত্রের ইমাম ও হুজ্জত হিসাবে গণ্য করা হয়। সদরুল আইম্মা ইমাম মুয়াফ্ফিক (رحمة الله) আবু আব্দুল্লাহ ইবনে হাফ্সের উদ্ধৃৃতি দিয়ে তাঁর উস্তাদের সংখ্যা চার হাজার উল্লেখ করেছেন।

    ইমাম মুয়াফিফক ইবনে আহমদ (رحمة الله) (৫৬৮হিঃ), মানাকিবে ইমাম আ‘যম, খন্ড ১, পৃষ্ঠাঃ   ৩৮


বিভিন্ন মুহাদ্দিসগণ যেসব প্রসিদ্ধ উস্তাদগণের নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন সাহাবী তথা হযরত আনাস ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবি আওফা (رضي الله عنه) হলেন অন্যতম। হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) নিন্মোক্ত উস্তাদগণের নাম উল্লেখ করেছেন। 

১. আতা ইবনে রাবাহ মক্কী (১১৪হি.) 

২. আসিম ইবনে আবিন  নজওয়াদ কূফী, 

৩. আলকামা ইবনে মারসাদ কূফী,

৪. হাম্মাদ ইবনে আবি সোলায়মান (১২০হি.) 

৫. হাকাম ইবনে কুতাইবা কূফী 

৬. সালমা ইবনে কুহাইল কূফী 

৭. আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে আলী তথা ইমাম বাকির (১১৪ হি.) 

৮. আলী ইবনে আহমার বা আকমার কূফী 

৯. যিয়াদ ইবনে আলকা কূফী,

১০. সাঈদ ইবনে মসরূক সওরী , 

১১. আদী ইবনে সাবিত আনসারী, 

১২. আতিয়্যাহ ইবনে সাঈদ আওফী, 

১৩. আবু সুফিয়ান সা’দী, 

১৪.আব্দুল করিম আবু উমাইয়্যা, 

১৫.ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আনসারী ও 

১৬.হিশাম ইবনে উরওয়া।  

    ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) (৮৫২হিঃ) তাহযীবুত তাহযীব, খন্ড ১, পৃষ্ঠাঃ   ৪৪৯

 

হাফিয যাহাবী (رحمة الله) এঁদের ছাড়া যাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন-তাঁরা হলেন, 

১৮.হযরত না‘ফে মাদানী (১২০ হি.), 

১৯.আব্দুর রহমান ইবনে হুরমুজা আল মাদানী (১১৭ হি.), 

২০. কাতাদাহ (১২৭ হি.) 

২১.আমর ইবনে দীনার আল মক্কী, ২২.আবু ইসহাক সাবঈ আল কূফী (১২৭ হি.)। 

    শামশুদ্দিন যাহাবী (رحمة الله) (৭৪৮হিঃ), তাযকারাতুল হুফফায, খণ্ড ১, পৃষ্ঠাঃ  ১৬৮


মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন, 

২৩.রবীয়া, 

২৪.যায়েদ ইবনে আসলাম, 

২৫. শো’বা ইবনে হাজ্জাজ, 

২৬.আবু বকর ইবনে আসিম এবং 

২৭.আমের ইবনে শুরাহবীল আল কূফী (১০৩ হি.)।  

    মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) (১০১৪হি), জওয়াহিরুল মুদিয়্যাহ, খন্ড ২, পৃষ্ঠাঃ  , ৪৫৪


২৮ হযরত ইকরামা মাওলা ইবনে আব্বাস আল মক্কী (১০৭ হি.), 

২৯.মুহারিব ইবনে দিসার আলকূফী (১১৬হি.), 

৩০. মুহাম্মদ ইবনে দিসার আলকূফী, 

৩১. মুহাম্মদ ইবনে মুনকাদির, 

৩২. ইবনে শিহাব যুহুরী, 

৩৩.আবু যুবাইর আলমক্কী (১২৭হি.), 

৩৪. সিমাক ইবনে হারব আলকূফী, 

৩৫. কায়েস ইবনে মুসলিম আলকূফী, 

৩৬. ইয়াযিদ ইবনে সুহাইব আলকূফী, 

৩৭. আব্দুল আজীজ আলকূফী, 

৩৮.আবু যোবায়ের মুহাম্মদ মুসলিম আলমক্কী, 

৩৯.মনসুর ইবনে মু’তামির আলকূফী ও 

৪০. সোলায়মান ইবনে মেহরান (رحمة الله)।  

    ফিকহে হানাফীর ইতিহাস ও দর্শন, পৃষ্ঠাঃ  ১২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ


তাঁর বিশিষ্ট কয়েকজন ছাত্রের নামঃ 


ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) উস্তাদ হাম্মাদের ইন্তেকালের পর উস্তাদের হালকায়ে দরসের স্থলাভিষিক্ত হন। অল্প দিনের মধ্যে তাঁর দরস-তদরীসের সুখ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জ্ঞান পিপাসু ছাত্রগণ তাঁর দরসে অংশ গ্রহণ করতে থাকেন। তৎকালে অন্য কোন মুহাদ্দীস বা ফকীহর এত সংখ্যক ছাত্র ছিলনা। মক্কা মুয়াযযমা, মদীনা মুনাওয়ারা, দামেশক, বসরা, কূফা, ওয়াসিত, মু’সিল, জাযীরা, রিককা, রামাল্লাহ, মিসর, ইয়েমেন, বাহরাইন, বাগদাদ, আহওয়ায, কিরমান, ইস্কাহান, হালওয়ান, হামদান, দাগমান, তাবারিস্থান, জুরযান, সারাখ্স, নিশাপুর, বুখারা, সমরকন্দ, তিরমিয, বলখ, কুহিস্থান, খাওয়ারিজম, সিজিস্থান, মাদইয়ান, হিম্স ইত্যাদি এলাকার সহস্র শিক্ষার্থী ইমাম আ‘যমের দরসে শরীক হন, এবং কুরআন, হাদীস, ফিকহ সহ অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন। 

ইমাম আ‘যমের ছাত্রদের মধ্যে বহুসংখ্যক কুরআন বিশেষজ্ঞ, ফকীহ, মুহাদ্দিস ও বিচারক ছিলেন। তাঁর প্রসিদ্ধ ছাত্রদের মধ্যে-

১.কাযী আবু ইউসুফ (১৮৩ হি.), 

২. মুহাম্মদ ইবনে হাসান আস শায়বানী (১৮৯হি.), 

৩.যুফার, (১৫৮হি.), 

৪. হাম্মাদ ইবনে আবু হানিফা (১৭৬হি.), 

৫. হাসান ইবনে যিয়াদ, (২০৪ হি.) 

৬. আবু ইসমাত নূহ ইবনে মরিয়ম (১৭৩হি.), 

৭. কাযী আসাদ ইবনে আমর, 

৮. হাকাম ইবনে আব্দুল্লাহ বালখী, 

৯.ফযল ইবনে মুসা (১৯২হি.), 

১০. মুগীরা ইবনে মিকসাম, 

১১. যাকারিয়া ইবনে আবু যায়দা, 

১২. আসাদ ইবনে উমর (১৮৮হি.)

১৩. মিসআর ইবনে কুদাম, 

১৪. সুফিয়ান সওরী, 

১৫. মালিক ইবনে মিগওয়াল, 

১৬. ইউসুফ ইবনে খালিদ (১৮৯হি.), 

১৭. ইউনুস ইবনে আবু ইসহাক, 

১৮. দাউদ তাঈ, (১৬০হি.), 

১৯. আফিয়া ইবনে ইয়াযিদ (১৬০হি.), 

২০. মিন্দাল ইবনে আলী (১৬০হি.), 

২১. হাসান ইবনে সালিহ, 

২২.আবু বকর ইবনে আইয়্যাশ, 

২৩.ঈসা ইবনে ইউনুস, 

২৪.আলী ইবনে মুসায়েব (১৮৯হি.), 

২৫.হাফস ইবনে গিয়াস (১৯৪হি.), 

২৬. ইয়াহিয়া ইবনে যাকারিয়া (১৮২হি.), 

২৭.আবুল আসীম নাবীল (২১২হি.), 

২৮. জারীর ইবনে আব্দুল হামিদ, 

২৯.আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (১৮১হি.), 

৩০. ওয়াকী ইবনুল জাররাহ (১৮৭হি.), 

৩১. হাব্বান ইবনে আলী (১৭২হি.), 

৩২.আবু ইসহাক ফাযারী, 

৩৩. ইয়াযিদ ইবনে হারূন (২০৬হি.), 

৩৪. আব্দুর রাজ্জাক ইবনে ইব্রাহীম, 

৩৫. আব্দুর রাজ্জাক হাম্মাদ সা’আনী, 

৩৬. আব্দুর রহমান আল মুকরী, 

৩৭. হায়শাম ইবনে বশীর, 

৩৮. কাসিম ইবনে মা’আন(১৭৫হি.), 

৩৯.আলী ইবনে আসীম, 

৪০. ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ কাত্তান (১৯৮হি.), 

৪১ জাফর ইবনে আউন, 

৪২. ইব্রাহীম ইবনে তাহমান (১৬৯ হি.), 

৪৩. হামযা ইবনে হাবীব (১৫৮ হি.), 

৪৪. ইয়াযীদ ইবনে রাফী, 

৪৫. যুবায়ের, 

৪৬. ইয়াহিয়া ইবনে ইয়ামান, 

৪৭. খারিজা ইবনে মুস’আব, 

৪৮. মুস’আব ইবনে কুদাম ও 

৪৯. রাবীয়া ইবনে আব্দুর রহমান রাঈ আল মাদানী (رحمة الله)।  

    ফিকহে হানাফীর ইতিহাস ও দর্শন, পৃৃ, ১৩০-৩১ ইফাবা
Top