ইদ্দত পালনকালীন বিধান


স্ত্রী স্বামীর ঘরেই ইদ্দত পালন করবে। স্বামী জোর জরবদস্তি করে নিজের ঘর থেকে বের করে দিতে পারবে না। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-

لَا تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلَا يَخْرُجْنَ 

ইদ্দত চলাকালীন সময়ে তোমরা (স্বামী) তাদেরকে তাদের ঘর থেকে বের কর না এবং তারা নিজেরাও বের হবে না। ১৯৭

১৯৭.সূরা তালাক, আয়াত: ১

 

ইদ্দত কালীন সময়ে স্ত্রীকে স্বামীর ঘরে রাখার পেছনেও হেকমত আছে। এতে উভয়ের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ থাকে। এ কারণেই ইমাম আবু হানিফা র বলেন, ইদ্দত পালনকালীন সময়ে স্ত্রী খুব সাজসজ্জা ও রূপচর্চার সাথে থাকা উচিত। উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও অলঙ্কারাদি পরিধান করা এবং উৎকৃষ্ট মানের সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করা উচিত। যেন স্বামী তার দিকে আকৃষ্ট হয়। 


ইদ্দতের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর কোন একজন যদি মারা যায় তবে উভয়েই একে অন্যর উত্তরাধিকারী হবে।


ইদ্দত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মহিলা অন্য কাউকে বিয়ে করতে পরবে না। ইদ্দতের সময়ে স্বামী চাইলে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে পারবে। এতে স্ত্রীর অনুমতি ও সম্মতির প্রয়োজন পড়বে না।


এ পর্যন্ত আমরা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি, তাদের দাম্পত্য জীবনের বিভেদ ও সমস্যাবলীর ইসলামী সমাধান এবং তালাক, ইদ্দত ইত্যাদির শরয়ী নীতি ও বিধিবিধান সম্পর্কে সংক্ষিপ্তাকারে আলোকপাত করেছি। এসব আলোচনার ফলে ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব ও উপকারিতা এবং মানব সমস্যাবলির সমাধানে ইসলামের গভীর আন্তরিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এতে ইসলামী শিক্ষা ও আদর্শের বাস্তব ভিত্তিরও ভারসাম্যপূর্ণতার ছবি স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। ইসলাম যে, সহজ ও উদারনৈতিক জীবনাদর্শ এবং এতে চরম পন্থার কোনো সুযোগ নেই আমাদের আলোচনা থেকে সেই সত্যতাও ফুটে উঠেছে।

Top