২৮ - بَابُ مَا جَاءَ فِي رَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ اِفْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
৯৪ - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ ، أَنَّ النَّبِيَّ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّىٰ يُحَاذِيَ بِهِمَا شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ. وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنْ وَائِلٍ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي الصَّلَاةِ حَتَّىٰ يُحَاذِيَ شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ.
বাব নং ৪৩. ২৮. নামায আরম্ভ করার সময় উভয় হাত উত্তোলন প্রসঙ্গে
৯৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আসেম থেকে তিনি তার পিতা থেকে তিনি ওয়ায়েল ইবনে হুজর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করিম (ﷺ) (নামায আরম্ভ করার সময়) তাঁর উভয় হাত এতখানি উপরে উঠাতেন যে, তা কানের লতি বরাবর হয়ে যেতো।
অন্য এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, হযরত ওয়ায়েল (رضي الله عنه) রাসূল (ﷺ) কে নামাযের (প্রারম্ভে) হাত উঠাতে দেখেছেন, তখন ঐ হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠে যেত। (তাবরানী, আল মু’জামুল কবীর, ১৯/২৮৫/৩৬০)
ব্যাখ্যা: রাসূল (ﷺ) কিভাবে নামায শুরু করতেন উপরে বর্ণিত হাদিসে তা আলোচনা করা হয়েছে। তা হলো- তিনি তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। কখনো এতখানি হাত উঠাতেন যে, তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলী কান বরাবর উঠে যেত।
নামাযের প্রারম্ভে হাত কাঁধ বরাবর উঠানো উত্তম, না কানের লতি পর্যন্ত উঠানো উত্তম এ বিষয়ে হানাফী ও শাফেঈ মাযহাহাবের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। হানাফী মাযহাবে কানের লতি পর্যন্ত উঠানো উত্তম। তাঁরা উপরে বর্ণিত হাদিসসহ একই বিষয়ে যেসব সহীহ রেওয়ায়েত রয়েছে, তা দলীল হিসেবে পেশ করে থাকেন। শাফেঈ মাযহাবে কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো উত্তম। তাঁরা দলীল হিসেবে আবু হোমাইদ সায়েদী (رضي الله عنه) বর্ণিত হাদিস অথবা ইবনে ওমর (رضي الله عنه) বর্ণিত হাদিস পেশ করে থাকেন।
মূলত:- উভয় মাযহাবের মতের উপর সহীহ হাদিস বিদ্যমান রয়েছে এবং এ হাদিস সমূহের মধ্যে সমন্বয় করা খুবই সহজ। যেমন একদা ইমাম শাফেঈ (رحمة الله) মিসর গমন করেন। সেখানে লোকজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন যে, এ সমস্ত হাদিসের মধ্যে কি সমন্বয় করার কোন সুযোগ আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এভাবে সমন্বয় করা যায় যে, হাতের তালু কাঁধের সামনে থাকবে, আর বৃদ্ধাঙ্গুলী কানের লতি বরাবর এবং অঙ্গুলি সমূহের শেষাংশ কানের উপর অংশের বরাবর থাকবে। অবশ্য হানাফী মাযহাবও এ সমন্বয় সমর্থন করেছে। হানাফী মাযহাবের ফাতহুল কাদীরের লেখক এটাই গ্রহণ করেছেন। উপরোক্ত হাদিস সমূহের মধ্যে এভাবেও সমন্বয় করা যায় যে, রাসূল (ﷺ) কোন বিশেষ নির্ধারিত নিয়ম ব্যতীত কখনো কাঁধ পর্যন্ত, কখনো কানের লতি পর্যন্ত এবং কখনো কানের উপর মাথা বরাবর পর্যন্ত হাত উঠাতেন।
৯৫ - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ الْـجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيْهِ ، قَالَ: رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ يَرْفَعُ يَدَيْهِ عِنْدَ التَّكْبِيْرِ، وَيُسَلِّمُ عَنْ يَمِيْنِهِ وَيَسَارِهِ.
৯৫. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আসেম থেকে, তিনি আব্দুল জাব্বার ইবনে ওয়ায়েল ইবনে হুজর থেকে, তিনি তার পিতা ওয়ায়েল ইবনে হুজর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে (প্রথম) তাকবীরের সময় হাত উঠাতে দেখেছি এবং তিনি (নামায শেষে) ডান ও বাম দিকে সালাম ফিরাতেন।
ব্যাখ্যা: এ হাদিসের মধ্যে প্রথমত: দু’টি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি হল হাত উঠানো এবং সাথে সাথে আল্লাহু আকবর বলে তাকবীর বলা, অথবা একটার পর একটা বলা। অতঃপর এর মধ্যে অন্য একটি বিষয় হলো- প্রথমে হাত উঠাবে, পরে তাকবীর বলবে, নাকি প্রথমে তাকবীর বলে পরে হাত উঠাতে হবে?
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো- নামায শেষে দু’টি সালাম দিতে হবে না একটি? উপরে বর্ণিত প্রথম বিষয়ে তথা হাত উঠানো ও তাকবীর বলা সম্পর্কে হানাফী মাযহাবের অধিকাংশ ফিকাহবিদ যেমন- তাহাভী, কাযীখান ও ইমাম আবু ইউসূফ (رحمة الله) প্রথম পদ্ধতিটি গ্রহণ করেছেন। এ মতের সমর্থনে হযরত ওয়ায়েল (رضي الله عنه), হযরত আবু হোরায়রা (رضي الله عنه), হযরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه), হযরত আলী (رضي الله عنه) এবং হযরত বারা ইবনে আযিব (رضي الله عنه)’র বর্ণিত হাদিস রয়েছে। এর মধ্যে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ) যখন তাকবীর বলতেন, তখন কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠাতেন। এখানে তাকবীর বলা ও হাত উঠানোর সময়ের সূ² মিলনের কারণে একটি অপরটির শর্তবিশেষ। তাছাড়া উক্তদল আরো একটি দলীল পেশ করে বলেন যে, হাত উঠানো তাকবীরের সুন্নত। সুতরাং এর সাথেই তা আদায় করতে হবে।
ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র মতে প্রথমে হাত উঠাতে হবে এরপর তাকবীর বলতে হবে। তাঁর যুক্তি হলো- হাত উঠানোর দ্বারা গায়রুল্লাহকে অস্বীকার করা বুঝায় আর তাকবীর ও হাত উঠানোর মধ্যে এর স্বীকৃতি রয়েছে। যেহেতু নীতি অনুযায়ী نفى তথা অস্বীকৃতি اثبات তথা স্বীকৃতির উপর প্রাধান্য পেয়ে থাকে। তাই তাকবীরের পূর্বে হাত উঠানো প্রয়োজন। যেমন লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র মধ্যে نفى তথা লা-ইলাহা اثبات তথা ইল্লাল্লাহু’র উপর অগ্রগামী হয়েছে। ইমাম নাসাঈ (رحمة الله) এটা সঠিক বলেছেন অনেক ওলামা ও মাশায়েখ এ মত গ্রহণ করেছেন এবং তাঁদের মতের সমর্থনে আবু দাউদ ও নাসাঈ শরীফে হযরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه)’র বর্ণিত মারফু হাদিস পেশ করেছেন। উক্ত হাদিসে বর্ণিত আছে, كان يرفع يديه حذوء منكبيه ثم يكبر “ রাসূল (ﷺ) কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠাতেন অতঃপর তাকবীর বলতেন”,
➥ ইমাম নাসাঈ (رحمة الله), (৩০৩ হিঃ) নাসাঈ শরীফ, খন্ড ১, পৃষ্ঠাঃ ২২১, হাদীস নং-৬৪৪, বৈরুত
এখানে ثم শব্দ দ্বারা সামান্য বিলম্ব করা বুঝায়। আবু হুমাইদ সায়েদী (رضي الله عنه) বর্ণিত হাদিসেও ثم শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লামা ইবনে হুম্মাম (رحمة الله) তৃতীয় পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। একদল ওলামায়ে কিরাম তা সমর্থন করেছেন। তাঁদের দলীল বায়হাকী শরীফে হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত মারফু হাদিস اِذَا اِفْتَتَحَ الصَّلَوةَ كَبَّرَ ثُمَّ رَفَعَ “ রাসূল (ﷺ) যখন নামায শুরু করতেন তখন তাকবীর বলতেন অতঃপর হাত উঠাতেন।” এছাড়া হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (رضي الله عنه) বর্ণিত হাদিসে আছে, فَكَبَّرَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ “রাসূল (ﷺ) প্রথমে তাকবীর বলতেন অতঃপর হাত উঠাতেন।”
সমাধান: উপরোক্ত হাদিস সমূহের মধ্যে এভাবে সমন্বয় করা যায় যে, রাসূল (ﷺ) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আমল করেছেন। সুতরাং এর মধ্যে যে কোন একটি আমল করা বাঞ্ছনীয়।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সালাম। অর্থাৎ নামায শেষে কয়বার সালাম ফিরাবে। এ ব্যাপারে ইমাম মালিক (رحمة الله) ব্যতীত সকল ওলামায়ে কিরাম একমত যে, দু’বার সালাম ফিরাতে হবে। প্রায় পনেরজন সাহাবী সহীহ ও নির্ভুলভাবে রাসূল (ﷺ) থেকে এ ব্যাপারে হাদিস বর্ণনা করেছেন। এর উপর রাসূল (ﷺ) সর্বদা আমল করতেন এবং সাহাবা ও তাবেঈগণও এ আমল করতেন।
96 - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، أَنَّهُ قَالَ فِيْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ : وَأَعْرَابِيٌّ لَـمْ يُصَلِّ مَعَ النَّبِيِّ صَلَاةً قَبْلَهَا قَطُّ، أَهُوَ أَعْلَمُ مِنْ عَبْدِ اللهِ وَأَصْحَابِهِ، حَفِظَ وَلَـمْ يَحْفَظُوْا، يَعْنِيْ: رَفْعَ الْيَدَيْنِ. وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، أَنَّهُ ذَكَرَ حَدِيْثَ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، فَقَالَ: أَعْرَابِيٌّ صَلَّىٰ مَعَ النَّبِيِّ صَلَاةً قَبْلَهَا، أهُوَ أَعْلَمُ مِنْ عَبْدِ اللهِ. وَفِيْ رِوَايَةٍ: ذُكِرَ عِنْدَهُ حَدِيْثُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ: أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ رَفَعَ يَدَيْهِ عِنْدَ الرُّكُوْعِ وَعِنْدَ السُّجُوْدِ، فَقَالَ: هُوَ أَعْرَابِيٌّ لَا يَعْرِفُ شَرَائِعَ الْإِسْلَامِ، لَـمْ يُصَلِّ مَعَ النَّبِيِّ إِلَّا صَلَاةً وَاحِدَةً. وَقَدْ حَدَّثَنِيْ مَنْ لَا أُحْصِيْ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ ، أَنَّهُ رَفَعَ يَدَيْهِ فِيْ بَدْءِ الصَّلَاةِ فَقَطْ، وَحَكَاهُ عَنِ النَّبِيِّ ، وَعَبْدُ اللهِ عَالِـمٌ بِشَرَائِعِ الْإِسْلَامِ وَحُدُوْدِهِ، مُتَفَقِّدٌ لِأَحْوَالِ النَّبِيِّ ، مُلَازِمٌ لَهُ فِيْ إِقَامَتِهِ وَفِيْ أَسْفَارِهِ، وَقَدْ صَلَّىٰ مَعَ النَّبِيِّ مَالَا يُحْصَىٰ.
৯৬. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (رضي الله عنه)’র সমালোচনা করে বলেন- তিনি একজন গ্রামের লোক ছিলেন। তিনি এর পূর্বে কখনো রাসূল (ﷺ) ’র সাথে নামায আদায় করেন নি। তিনি কি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) এবং তাঁর সাথীদের থেকে অধিক জ্ঞাত ছিলেন? তিনি কি (হাত উঠানো সম্পর্কে) মুখস্থ করে নিয়েছিলেন এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه)’র সাথীগণ তা মুখস্থ করতে পারেন নি?
অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, হযরত ইব্রাহীম নখঈ (رحمة الله) হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (رضي الله عنه)’র হাদিস বর্ণনা করেন। অতঃপর বলেন, তিনি একজন গ্রাম্য ব্যক্তি ছিলেন। তিনি এ নামাযের আগে নবীর সাথে আর কোন নামায আদায় করেন নি। তিনি কি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বেশী জ্ঞান রাখেন?
অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, হযরত ইব্রাহীম নখঈ (رضي الله عنه)’র সামনে হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (رضي الله عنه)’র হাদিস বর্ণনা করা হলো যে, তিনি রাসূল (ﷺ) কে রুকু ও সিজদার সময় হাত উঠাতে দেখেছেন। তখন তিনি (ইব্রাহীম) বলেন, হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (رضي الله عنه) একজন গ্রাম্য লোক। তিনি (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের মত) ইসলামের ফকীহ্ নন। তিনি কেবল একবার নবী (ﷺ)’রর সাথে নামায আদায় করেছিলেন। আমার নিকট অসংখ্য বর্ণনাকারী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তাঁরা শুধু নামাযের শুরুতে হাত উঠাতেন এবং তা নবী থেকে রেওয়ায়েতে করেছেন। হযরত ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) শরীয়ত ও ইসলামের বিধান সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন। রাসূল (ﷺ) ’র সাথে সফরে ও বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে সাথে সাথে থাকতেন। তিনি রাসূল (ﷺ) ’র সাথে অসংখ্যবার নামায আদায় করেছেন।
ব্যাখ্যা: রুকু-সিজদার সময় হাত উঠানো একটি বিতর্কিত মাসয়ালা। এ ব্যাপারে ওলামায়ে কিরাম বিভিন্ন মতামত পেশ করেছেন। প্রত্যেক দল স্বীয় মতের স্বপক্ষে শক্তিশালী দলীল পেশ করে অপর দলের দুর্বলতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন।
ইমাম নববী (رحمة الله) বলেন, তাকবীরে তাহরীমায় হাত উঠানো মুস্তাহাব হওয়ার উপর সকল উম্মত একমত। তবে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত অন্যান্য স্থানে হাত উঠানো নিয়ে ওলামায়ে কিরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম শাফেঈ, ইমাম আহমদ ও অধিকাংশ ফকীহ সাহাবীগণের মতে রুকু‘র আগে ও পরে হাত উঠানো মুস্তাহাব। ইমাম মালিক থেকেও অনুরূপ মত পাওয়া যায়।
ইমাম আবু হানিফা, কূফা’র ফকীহগণ এবং ইমাম মালিক (رحمة الله)’র প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া হাত উঠানো মুস্তাহাব নয়।
➥ ইয়াহিয়া ইবনে শরফ নববী (র.) (৬৭৬ হিঃ) শরহে মুসলিম, খন্ড ১ম, পৃষ্ঠাঃ ১৬৮