সপ্তম অধ্যায়
নখ কাটার সুন্নাত
(১) জুমার দিন নখ কাটা মুস্তাহাব। অবশ্য যদি বড় হয়ে যায় তবে জুমার দিনের জন্য অপেক্ষা করবেন না। (দুররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃ-৬৬৮) সদরুশ শরীয়া মাওলানা আমজাদ আলী আজমী رحمة الله বলেন, বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে, আল্লাহ তাআলা তাকে পরবর্তী জুমার পর্যন্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং তিন দিন অতিরিক্ত অর্থাৎ দশদিন পর্যন্ত। অন্য বর্ণনায় এটাও রয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন নখ কাটবে, তবে রহমতের শুভাগমন হবে এবং গুনাহ্ দূরীভূত হবে।
(দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৯, পৃ-৬৬৮, বাহারে শরীয়াত, খন্ড-১৬, পৃ-২২৫, ২২৬)
(২) হাতের নখ কাটার পদ্ধতি পেশ করা হচ্ছে : সর্বপ্রথম ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে কনিষ্ঠা আঙ্গুলের নখ কাটবেন তবে বৃদ্ধাঙ্গুল ছেড়ে দিবেন। এবার বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবেন। এখন সবশেষে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ কাটবেন।
(দুররে মুখতার, খন্ড-৯, পৃ-৬৮০, ইহইয়াউল উলূম, খন্ড-১ম, পৃ-১৯৩)
(৩) পায়ের নখ কাটার কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই তবে উত্তম হচ্ছে ডান পায়ের কনিষ্ঠা আঙ্গুল থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ পর্যন্ত কেটে নিন অতঃপর বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল থেকে শুরু করে কনিষ্টা আঙ্গুলের নখ কাটুন।
(প্রাগুক্ত)
(৪) অপবিত্রাবস্থায় (অর্থাৎ গোসল ফরয অবস্থায়) নখ কাটা মাকরূহ।
(আলমগীরী, খন্ড-৫, পৃ-৩৮৫)
(৫) দাঁত দ্বারা নখ কাটা মাকরূহ এবং এর দ্বারা শ্বেত রোগ হওয়ার আশংকা রয়েছে।
(প্রাগুক্ত)
(৬) কর্তিত নখ মাটিতে পুতে দিন আর যদি সেগুলো বাইরে ফেলেও দেন তবে কোন অসুবিধা নেই।
(প্রাগুক্ত)
(৭) কর্তিত নখ পায়খানা কিংবা গোসলখানাতে ফেলা মাকরূহ কেননা এতে রোগ সৃষ্টি হয়।
(প্রাগুক্ত)
(৮) বুধবার নখ কাটা উচিত নয় এতে শ্বেতরোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অবশ্য যদি ৩৯ দিন পর্যন্ত নখ কাটেনি, আজ বুধবার ৪০ তম দিন হয়ে গেল যদি আজ কাটা না হয় তবে তার জন্য ওয়াজিব হচ্ছে যেন আজই কেটে নেয় কারণ চল্লিশ দিনের অতিরিক্ত নখ রাখা না জায়েজ ও মাকরূহে তাহরীমী।
(বিস্তারিত জানতে ফাতাওয়ায়ে রযবীয়্যাহ সংশোধিত খন্ড-২২, পৃ-৫৭৪ থেকে ৬৮৫ পর্যন্ত দেখুন)
(৯) লম্বা নখ শয়তানের বৈঠকখানা অর্থাৎ তাতে শয়তান বসে।
(ইত্তিহাফুস সাদাহ লিয যায়দী, খন্ড-২, পৃ-৬৫৩)