১৫- كِتَابُ الْـحُدُوْدِ
১- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ حُرْمَةِ الْـخَمْرِ وَالْقِمَارِ وَغَيْرِهِمَا
٣١٢- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، عَنِ النَّبِيِّ ، قَالَ: إِنَّ اللهَ كَرِهَ لَكُمُ الْـخَمْرَ وَالْـمَيْسِرَ وَالْـمِزْمَارَ وَالْكُوْبَةَ.
১৫. শরয়ী শাস্তির অধ্যায়:
বাব নং ১৫৬: মদ, জুয়া এবং এ জাতীয় বস্তু হারাম হওয়া প্রসঙ্গে
৩১২. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা মুসলিম থেকে, তিনি সাঈদ ইবনে জুবাইর থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে, তিনি নবী করমি (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর মদ, জুয়া, বাঁশি এবং তবলা মাকরূহ (হারাম) করেছেন।
(শুআবুল ঈমান, ৪/২৮২/৫১১২)
ব্যাখ্যা: হাদিসে كوبة শব্দের ব্যাখ্যায় কেউ কেউ বলেছেন এর অর্থ নারদ ও শতরঞ্জ, কেউ বলেছেন ছোট তবলা এবং বরবত। মোট কথা এ সব বাদ্যযন্ত্র হারাম। এভাবে মিযমার তথা বাঁশি ঐ সব যন্ত্রকে বুঝায় যা গান-বাজনার মধ্যে ব্যবহার করা হয়। যেমন বীণা, তাম্বুরা ইত্যাদি।
মদ, বাদ্যযন্ত্র ও গান হারাম হওয়ার উপর অনেক সহীহ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মদ হারাম হওয়ার উপর পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্টভাবে আয়াত নাযিল হয়েছে।
❏মুসলিম শরীফে বুরাইদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি জুয়া ও দাবা খেলে, সে যেন তার হাত শুকুরের মাংস ও রক্ত দ্বারা অপবিত্র করল।
❏ইমাম আহমদ (رضي الله عنه) আবু উমামা (رضي الله عنه) থেকে একটি মারফু হাদিসে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা আমাকে দুনিয়াবাসীর জন্য রহমতস্বরূপ এবং পথ প্রদর্শক হিসাবে প্রেরণ করেছেন।
তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমি পৃথিবী থেকে বাদ্যযন্ত্র, মুর্তিপূজা, ক্রুশপূজা এবং অজ্ঞতাকে মুছিয়ে দেই। আর আমার প্রভূ স্বীয় ইযযতের শপথ করে বলেছেন, আমার যে বান্দাহ এক ঢোক মদ পান করবে, আমি তাকে সমপরিমাণ পূজ পান করাবো। আর যে আমার ভয়ে তা ছেড়ে দেবে আমি তাকে পবিত্র নহর থেকে তৃষ্ণা মিটাবো।