❏ প্রশ্ন-২০৩: ঔষধ সেবন এবং চিকিৎসা করার বিধান কি? শারীরিক সুস্থ্যতা ও আত্মিক সুস্থ্যতা কাকে বলে এবং উভয়ের সংজ্ঞা কি? বর্ণনা কর।
✍ উত্তর: ইমাম ইবনে মাজাহ (رحمه الله تعالي ) তাঁর সুনান গ্রন্থে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় নির্ধারণ করেছেন-
باب ما انزل الله داءً الا انزل له شفاءً
অর্থাৎ- ‘আল্লাহ্ তা‘আলা এমন কোন রোগ নাযিল করেন নি, যার চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখেন নি।’
হযরত উসামা বিন সুরাইক (رضى الله تعالي عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উপস্থিত ছিলাম যখন বেদুঈন লোক হুযূর সৈয়্যদুল মুরসালীন (ﷺ) থেকে জিজ্ঞেস করছিল। হাদীসের বর্ণনা এই যে,
فقالوٰ يا رسول الله صلّى الله عليه وسلّم هل علينا جناح ان لا نتدوىٰ
‘তারা বললো, হে আল্লাহর রাসুল(ﷺ)! আমরা চিকিৎসা না করার দরুন আমাদের গোনাহ হবে কি? হুযূর বলেন, হে আল্লাহর বান্দা! চিকিৎসা কর। কেননা আল্লাহ্ সুবহানাহু তা‘আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নি, যার ঔষধ সৃষ্টি করেন নি। কিন্তু একটি মাত্র রোগ-বাধক্য, যার কোন ঔষধ নেই।’
ঔষধ সেবন ও চিকিৎসা এটা এক মহা গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবান শিক্ষণীয় বিষয়। কারণ এতে মানুষের শরীর সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং রোগ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান লাভ করা যায়। চারিত্রিক বা আত্মিক শিক্ষার গুরুত্ব ও মর্যাদার পর হচ্ছে চিকিৎসা বিদ্যার স্থান। কারণ সেখানে আত্মার পরিশুদ্ধতা ও আত্মিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা হয়। আত্মা শরীরের চেয়ে অধিকতর উত্তম ও মর্যাদাবান। এ কারণে চারিত্রিক শিক্ষাকে রূহানী ও আত্মিক চিকিৎসা বলা হয়। হুযূর মোস্তফা(ﷺ) -এর শরীয়তে মুখ্য আলোচনা বিষয় হচ্ছে আত্মিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা। হ্যাঁ! অবশ্য কোথাও কোথাও শারীরিক চিকিৎসা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। কারণ শরীরে যখন কোন ক্ষতি সাধিত হয়, তখন আত্মায়ও ক্ষতির প্রভাব বিস্তার করে। ঠিক একইভাবে আত্মায় কোন রোগ-ব্যাধি হলে, তার প্রভাব শরীরের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। তার কারণ হচ্ছে, আল্লাহ তা‘আলা দেহ ও আত্মার মধ্যকার এমন সম্পর্ক স্থাপন করে রেখেছেন যে, পরস্পরের সুখ-শান্তি ও দুঃখ-বেদনার প্রভাব একে অপরের ওপর বিস্তার লাভ করে। এ সম্পর্কের ধরণ ও বাস্তবতার রহস্য উদঘাটন করতে এখনও পর্যন্ত মানবজাতি অপারগ ও অক্ষম। হাজারো বছর ধরে অনেক বড় বড় হেকিম, দার্শনিক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে গবেষণা করার পরও তারা এর রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হননি। এ গভীর সম্পর্ক কেবল মৃত্যুর কারণে ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু আত্মা ধ্বংস হয়না এবং দেহও নিশ্চিন্ন হয় না। বরং উভয়ই আপন আপন স্থানে বিদ্যমান থাকে। এখন কথা হচ্ছে, আল্লাহ তা‘আলা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে একত্রিত করে আত্মার সাথে পুনরায় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা, তা আল্লাহ্ তা‘আলার মহান কুদরতী শক্তির সামনে কোন জটিল বিষয় নয়। জনৈক হাকিমের উক্তি- মানুষের মধ্যে দুটি জিনিস বিদ্যমান। একটি হচ্ছে- দেহ, অপরটি হচ্ছে রূহ বা আত্মা। উভয়ের সুস্থ্যতা ও পরিশুদ্ধির প্রতি লক্ষ্য রাখা মানুষের একান্ত প্রয়োজন। যে সকল আলাপচারিতায় আত্মা ও দেহ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে, সেগুলো থেকে বিরত থাকা উচিত। মানুষ আত্মিক পরিশুদ্ধি ও শারীরিক চিকিৎসাসহ উভয় বিদ্যায় পারদর্শিতা অর্জন করা ব্যতীত সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। আত্মিক পরিশুদ্ধতা ও উৎকর্ষতা যেভাবে প্রয়োজন, তেমনি শারীরিক চিকিৎসাও আবশ্যক। অতএব বুঝা গেল যে, সকল বিদ্যা ও জ্ঞানের মধ্যে দু’টি বিষয় মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশী জরুরী।
অতএব ওই সকল মানুষের জীবন ধন্য, যারা উক্ত দু’বিষয়ের জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজের মুল্যবান জীবন ও প্রিয় সময় ব্যয় করেছেন। তা হচ্ছে, চারিত্রিক জ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান। এছাড়া অন্যান্য সকল বিদ্যা যেমন- ভূগোল, প্রকৃতিবিদ্যা, জ্যোর্তিবিজ্ঞান ইত্যাদি মানুষের ঔষধ ও চিকিৎসা সম্পর্কিত নয়, বরং অন্যান্যের সাথে সম্পর্কিত। উক্ত দু’বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করার পর সময় থাকলে প্রয়োজনানুপাতে অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞান লাভ করা যেতে পারে। তা অর্জন করতে না পারলে কোন ক্ষতি নেই। একটি প্রসিদ্ধ প্রবাদবাক্য আছে, اول خويش بعده درويش ‘প্রথমে নিজের চেষ্টা পরে অন্যের’। কোরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছে- وَفِي أَنْفُسِكُمْ أَفَلَا تُبْصِرُونَ ‘নিজ সত্তার মাঝে কেন চিন্তা-গবেষণা করছ না’। মানুষের নিজের হাকীকত ও বাস্তবতা, গঠন, স্বভাব-চরিত্র ও আচার-অভ্যাস সম্পর্কিত যত জ্ঞান অর্জিত হয়, তা ওই দু’বিষয়ের জ্ঞানের বদৌলতে ও মাধ্যমেই অর্জিত হয়। চিকিৎসা বিদ্যার দ্বারা প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবস্থা এবং উপকারিতা ও অপকারিতা, নড়াচড়ার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং এতে কোন প্রকারের ক্ষতি সাধন হলে তা ঠিক করার নিয়ম-নীতি জানা যায়। ঠিক তদ্রুপ চারিত্রিক বিদ্যা দ্বারা আত্মার বাস্তবতা ও প্রভাব এবং এর সুস্থ্যতা ও রুগ্নতা এবং আত্মার ব্যাধির চিকিৎসার বিবরণ জানা যায়। আত্মার হাকীকত ও বাস্তবতা সম্পর্কে যে রকম জানা উচিত, সেরূপ কেউ জানতে পারেনি। কিন্তু মানুষের চিন্তা-গবেষণার মাধ্যমে যতটুকু জানা গেছে সে পরিমাণ অর্জন করাও আল্লাহ তা‘আলার বড় নি‘য়ামত। কারো মতে, উক্ত জ্ঞানের মাধ্যমে শিরিকের গন্ধ পাওয়া যায়। এটি ভুল ধারণা। কারণ মু’মিনরা ঔষুধের কার্যকারিতাকে সমর্থন করেন, তবে এ আক্বীদা পোষণ করেন যে, এ কার্যকারিতা খোদা প্রদত্ত এবং আল্লাহর হুকুমেই বটে। তাই উক্ত প্রভাবকে অস্বীকার করা সমীচীন নয়। কারণ পর্যবেক্ষণ ও প্রত্যক্ষভাবে একথা প্রমাণিত এবং হুযূর ও বিভিন্ন হাদীস শরীফে চিকিৎসা ও ঔষধ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
قال يا رسول الله صلّى الله عليه وسلّم ! ما خير ما اُعْطِىَ العبد ؟ قال خُلُقُ حَسَنٌ .
‘লোকজন আরয করল যে, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! ‘সর্বোত্তম বস্তু কি যা বান্দাকে দেয়া হয়েছে? হুযূর (ﷺ) ইরশাদ করেন, সৎ চরিত্র।’ সুবহানাল্লাহ!
হুযূর ইরশাদ করেছেন, চারিত্রিক জ্ঞান হচ্ছে যেখানে আত্মার মূল অবস্থা ও প্রভাব এবং এর সুস্থ্যতা ও রুগ্নতা এবং আত্মার অসুস্থতার প্রতিষেধনের বর্ণনা করা হয়। সুবহানাল্লাহ! হুযূর রাসূলে উম্মী উপাধিতে ভূষিত হওয়া সত্ত্বেও এমন রহস্যময় কথা বলে দিয়েছেন যে, যেগুলো সম্পর্কে অনেক বড় বড় হাকিম, দার্শনিকগণ সারা জীবন চিন্তা-ভাবনা, কঠোর সাধনা ও গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করে যাচ্ছেন। এটা একটি সুস্পষ্ট নিদর্শন ছিল যে, তিনি অদৃশ্য জগতের সংবাদদাতা, নবুওয়তের দলীল এবং বিশ্বস্ততা ও সত্যবাদিতার উজ্জ্বল প্রমাণ। উক্ত হাদীস শরীফে প্রথমে উভয় জগতের অাঁকা ও মাওলা সাধারণ মানুষের জন্য দৈহিক চিকিৎসার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন এবং সার্বজনীন নীতিমালার বর্ণনা দিয়েছেন- যা প্রত্যেক শ্রেণির ধনী-দরিদ্র মানুষ, জীব-জন্তু এবং মুসলিম-অমুসলিম সকলের উপকারী জ্ঞান। যা হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান বা শরীরিক শিক্ষা। অতঃপর যখন লোকেরা সর্বোত্তম জ্ঞান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। তিনি উত্তরে বলেন, চারিত্রিক জ্ঞান। মূলতঃ হুযূর মোস্তফা(ﷺ) অত্র হাদীসে উভয় প্রকারের জ্ঞান অর্জন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেন। অর্থাৎ চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং চারিত্রিক জ্ঞান বা ইলমে তাসাউফ। উক্ত হাদীস দ্বারা একথাও প্রমাণিত হয় যে, ঔষধ সেবন করা জায়েয এবং উক্ত বিষয়ে ঈমান-আক্বীদা মজবুত হওয়ার মাধ্যমও প্রমাণিত হয়েছে; এতে শিরকের গন্ধ আসারও কোন অবকাশ নেই। কেননা হুযূর নির্দেশ দিয়েছেন, যার নিম্নতম স্তর হচ্ছে মুবাহ হওয়া। আর কেউ কেউ চিকিৎসা করাকে মুস্তাহাব বলেছেন।
রোগ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে এবং সাথে তার ঔষধও নাযিল হয়। ঔষুধের দ্বারা আরোগ্য ও মুক্তি লাভ করা সবই আল্লাহ তা‘আলার ভাগ্যলিপির অন্তভুর্ক্ত। এ বিষয়ে কারো এ ধরনের প্রশ্ন করা উচিৎ হবে না যে, হুযূর (ﷺ) ওই সকল লোকের প্রশংসা করতেন না, যারা আল্লাহ'র ওপর ভরসা করে ঔষধ ব্যবহার করতেন না এবং যাদু-টোনা করতেন।
উপরোক্ত প্রশ্ন এখানে সমীচীন না হওয়ার কারণ হচ্ছে, এখানে ঔষধ দ্বারা দাগ দেয়া উদ্দেশ্য, যা আরবে প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ। বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো দাগানোর চেয়ে না দাগানোই উত্তম ও শ্রেয়। অন্যান্য চিকিৎসা এর সম্পূর্ণ বিপরীত, কারণ এ সকল চিকিৎসার প্রতি হাদীসসমূহে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। স্বয়ং হুযূর চিকিৎসা করেছেন। যদি কেহ হুযূর (ﷺ) -এর অনুসরণের উদ্দেশ্যে চিকিৎসা করে থাকে, তাহলে অবশ্যই সে সওয়াব পাবে। উক্ত হাদীস শরীফ ইমাম আহমদ, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম তিরমিযী, হাকিম এবং খোযাইমা বিশুদ্ধ ও সহীহ বলেছেন।
ইমাম মুসলিম হযরত জাবের (رضى الله تعالي عنه) হতে বর্ণনা করেন যে, প্রত্যেক রোগের ঔষধ রয়েছে। রোগী যখন উক্ত ঔষধ সেবন করে, তখন আল্লাহ তা‘আলার হুকুমে আরোগ্য লাভ করে। ঔষধ সেবন করাতে সে আরোগ্য লাভ করেছে, একথা বলা শিরক। যদি একথা মনে করে সেবন করে যে, ঔষুধের একটা গুণ ও কার্যকারিতা রয়েছে। অতএব যে ব্যক্তি একথা বিশ্বাস করে ঔষধ সেবন করে যে, আল্লাহর হুকুমে ক্রিয়া ও কার্যকারিতা হয়ে থাকে, তাহলে শিরক হবে না। অনুরূপ প্রত্যেক বস্তুর ব্যাপারে এ আক্বীদা-বিশ্বাস রাখা উচিত যে, তার ভাল ও মন্দ আল্লাহর হুকুমেই হয়ে থাকে। যদি কেহ বুঝে শুনে একথা বলে, অমুক বস্তুর দ্বারা উপকৃত হয়েছে, তাহলে এটা শিরক হবে এবং যখন ওই বস্তুকে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন উপকারের বস্তু মনে করবে, তাহলে শিরক হবে। অর্থাৎ- ওটাকে (বস্তু) প্রকৃত ফলপ্রদ ও ফলপ্রসূ মনে করা শিরক। যদি বলে আল্লাহ তা‘আলা উক্ত বস্তুর মধ্যে সেই প্রভাব নিহিত রেখেছেন যা দ্বারা নিরাময় লাভ করা যায়, তাহলে শিরক হবে না, বরং তা হবে আল্লাহর কুদরতের বহিঃপ্রকাশ এবং এটা আল্লাহ তা‘আলার হুকুমেই হয়েছে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা পূর্ব থেকেই নিরাময় দানকারী ঔষধকে হুকুম ও অনুমতি দিয়েছেন। অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলার মকবুল ও নৈকট্যবান বান্দাদের ইখতিয়ার দেয়া হয় যেমন কোরআন-হাদীস দ্বারা এর অসংখ্য প্রমাণ আছে। এটা শিরক নয় বরং আল্লাহ তা‘আলার কুদরতের বহিঃপ্রকাশ। যদিও বাহ্যিক দৃষ্টিতে অন্য কিছু দৃষ্টিগোচর হলেও মূলতঃ তা আল্লাহর পক্ষ হতে। প্রকৃত কার্য সম্পাদনকারী আল্লাহ তা‘আলার সত্তা। তা অস্বীকার করা মানে পক্ষান্তরে আল্লাহর কুদরতকে অস্বীকার করা। আল্লাহ্ তা‘আলা প্রত্যেক বস্তুর ওপর পূর্ণ ক্ষমতাবান। এ কারণে হুযূর রহমতে ‘আলম দৈহিক ও আত্মিক চিকিৎসার কথা বলেছেন। দৈহিক চিকিৎসা যদ্বারা দেহের রোগ নিরাময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অনুরূপ আত্মিক রোগের চিকিৎসা, যা দ্বারা আত্মার রোগ মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়। যা আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় বান্দাদের মধ্য হতে বিশেষ বান্দাদেরকে উক্ত চিকিৎসা বিদ্যার জ্ঞান দান করে বিশেষ পদমর্যাদার অধিকারী করেছেন এবং মানুষের আত্মিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিরাময় করার ইখতিয়ার দিয়েছেন। অতএব তাঁরা খোদা প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বলিয়ান হয়ে মানুষের আত্মার চিকিৎসা করে রোগ নিরাময়ের মাধ্যমে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য লাভের উপযোগী করে তোলেন। উক্ত চিকিৎসা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বোত্তম চিকিৎসা। এঁদেরকে অস্বীকার করা মানে আল্লাহ্ তা‘আলার কুদরত ও জ্ঞানকে অস্বীকার করার নামান্তর। এভাবে গভীরভাবে চিন্তা করে দেখলে প্রত্যেক বিষয়ে আল্লাহর কুদরত বিকশিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাবে।